|| জেনারেল রাইটিং : আমাদের ছোট্ট মিনি ||

in আমার বাংলা ব্লগlast month

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকের পোস্টটা কি বিষয়ে এবং কাকে নিয়ে তা নিশ্চয়ই ছবিগুলো দেখে আপনারা বুঝতেই পারছেন। হ্যাঁ,আজকের পোস্টটা আমাদের ছোট্ট মিনিকে নিয়ে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।


1000052816.jpg

হ্যাঁ,এটাই হলো আমাদের ছোট্ট মিনি, যার কারণে এক ফোঁটাও ঘরের দরজা খুলে রাখার উপায় নেই। দরজা খোলা পেলেই উঠে এসে খাটের উপর বসে থাকে। খাটের উপর বসে থাকাটা আমি আবার পছন্দ করি না। বারান্দাতে বা উঠোনে ঘোরাঘুরি করুক সারাদিন তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু ঘরে আসার কি দরকার! সেটা তো আর ও বোঝে না, তাই শুধুই ঘরে আসতে চাই। বারান্দাতে বেশ সুন্দর একটা বিছানা করে দিয়েছি, দিনের বেশিরভাগ সময় সেখানেই শুয়ে থাকে, সন্ধ্যার দিকে আবার উঠোনে ঘোরাফেরা করে, কখনো আবার সানসেটের উপর উঠে বসে থাকে, আর দু এক সময় তার দেখা পাই না তখন হয়তো অন্য কোথাও ঘুরে বেড়ায়।

1000052817.jpg

প্রতিদিন সকাল, দুপুর আর রাতে আমি ওকে খেতে দিই। ওর কোনো ঘড়িও লাগে না , হি হি হি। আমাদের সময়ের ভুল হতে পারে, কিন্তু ওর হয় না। কোনোদিন হয়তো দুপুরের রান্না করতে একটু বেশি সময় লাগলো, তখন এসে দেখি দরজার সামনে ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। মানে তার সময় ঠিক আছে। এটা আসলে প্রত্যেক দিন আমরা যে সময় খাই ঠিক একই সময়ে আমাদের খিদে পেয়ে যায়, হয়তো এরকম কোনোভাবেই ও বুঝে নেই। খুব বেশি ডিমান্ড আমাদের মিনির নেই। ওকে যা দিয়ে খেতে দিই, ও তাই খেয়ে নেয়। মাঝে মাঝে ঘুম থেকে ওঠার পর, যদি বিস্কুট দিই ও সেটাও খেয়ে নেয়।

1000052819.jpg

শুধু একটাই সমস্যা, দরজা খোলা পেলেই ঘরে ঢুকে পড়ে। তবে কোনো খাবারে মুখ দেয় না , শুধু খাটে উঠে বসে থাকে। যাইহোক, আজ সন্ধ্যার সময় পড়াশোনা শেষ করে যখন প্রচন্ড গরমের কারণে একটু বাইরে হাঁটাহাঁটি করছিলাম, তখন দেখি প্রতিদিনের মতো সেও এসে হাজির। প্রতিদিন অবশ্য আমি বেরোই না,কিন্তু মিনি প্রতিদিন থাকে। আর ওই একই গাছের সাথে তার খেলাধুলা।তাই ঘর থেকে ফোনটা বার করে নিয়ে গিয়ে, কয়েকটা ফটো তুললাম। এমনিতেও ভাবছিলাম কি বিষয়ে পোস্ট করব, আর পোস্ট করার বিষয় নিজেই এসে দেখি ঘোরাঘুরি করলো, তাই আর বাদ দিলাম না ওকে , হি হি হি।

1000052826.jpg

উঠোনে বেশ কিছু গাছ রয়েছে, তার মধ্যে একটা ছোট সাইজের বেল গাছকেই মিনির প্রতিদিন পছন্দ হয়। তাই ও সেই গাছের কাছে প্রতিদিন চলে যায়, আর প্রতিদিনই গাছে ওঠার চেষ্টা করে। যদিও কোনদিন পারে না। তবুও হয়তো চেষ্টা ছাড়ে না। প্রথমে দেখলাম গাছের চারপাশ দিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করল, তারপর আবার কোথায় চলে গেল! দু-তিন মিনিট পর দেখলাম আবার আসলো। বেশ রাজকীয় ভঙ্গিতে পেট দুলিয়ে দুলিয়ে। তখন থেকে আমিও ওর ফটোগ্রাফি করা শুরু করলাম।

1000052822.jpg

তারপর দেখলাম গাছের কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। তারপর আবার সেই নিত্য প্রচেষ্টা শুরু করে দিল। প্রথমে গাছের একদম নিচের দিকটাই নখ দিয়ে আঁচড় দিল। তারপর নিজেই সামনে আর একটু এগিয়ে, আরেকটু উপরে আঁচড় দেওয়া শুরু করল। ভাবল বুঝি একটু গাছে উঠতে পেরেছি। তাই তার হাত পা যতটা প্রসারিত করা যায়, ততটাই প্রসারিত করে গাছের বেশ খানিকটা উপরের অংশে আঁচড় দিতে শুরু করল।

1000052821.jpg

একটানা অনেকক্ষণ এইভাবে গাছের গায়ে আঁচড় দেওয়ার পর দেখলাম কোথায় যেন চলে গেল। ও হয়তো ভাবছিল ও গাছে উঠতে পারছে, কিন্তু ও তো গাছে উঠতে পারছিল না। নিজেই খানিকটা করে এগিয়ে এসে হাত-পা প্রসারিত করে উপরের দিকে আঁচড় দিচ্ছিল। কি জানি ও আবার নিজের হাইট মাপ ছিল না তো?


পোস্ট বিবরণজেনারেল রাইটিং

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last month 

আপনার মিনিকে দেখে আমাদের মিনির কথা মনে পড়ে গেলো সেও এরকম দেখতে ছিলো আমার ছোটবেলায়।খেতো আর ঘুমাতো।দুধ ভাত পছন্দ ছিলো বেশি। আমিও বিছানায় বিড়াল ওঠা পছন্দ করি না কারণ ওরা যেখানে শোয় শেখানেই অসংখ্য লোম ছড়ায়। বেশ ভালো লাগলো আপনার মিনির দুষ্টমীর খুটিনাটি পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 29 days ago 

হ্যাঁ দিদি,এটাই হল বিড়াল বিছানায় ওঠা অপছন্দ করার কারণ। আসলেই ওরা যেখানে শুয়ে থাকে সেখানে অনেক লোম ছড়ায় যেটা খুবই বাজে লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 67144.34
ETH 3517.40
USDT 1.00
SBD 2.69