|| রতন জেলে ( পর্ব - ০৩ ) ||

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি,"রতন জেলে"গল্পটির তৃতীয় পর্ব নিয়ে। গত দুটি সপ্তাহে আমি এই গল্পটির প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজ তারই তৃতীয় পর্বটি লিখবো। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।


fishing-3062034_1280.jpg

সোর্স


রতনের সেই দিন খুব মন খারাপ হলেও, সে কিন্তু থেমে থাকল না। রাত্রিবেলায় শুয়ে শুয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে সে ঠিক করে নিল, সে আরও বেশি পরিমাণে মাছ ধরবে কাল থেকে। আর সেগুলোকে বিক্রি করতে যাবে বাজারে। তার থেকে যা উপার্জন হবে তার অর্ধেক সে সংসার খরচের জন্য তার দিদাকে দেবে আর অর্ধেক টাকা নিজের জন্য গুছিয়ে রেখে দেবে। আর পরে সময় মতো সেই টাকা কাজে লাগাবে। পরের দিন ভোর বেলাতেই রতন আবার ছিপ নিয়ে বেরিয়ে পড়ল , সেদিন সত্যিই রতন দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করার পর অন্যদিনের তুলনায় আরও বেশি পরিমাণে মাছ ধরল। তারপর সেই মাছ গুলোকে নিয়ে বাজারে চলে গেল বিক্রির জন্য।

সে যেহেতু অন্যদের তুলনায় , একটু কম দামে মাছ বিক্রি করত , তাই দ্রুতই তার মাছগুলো বিক্রি হয়ে যেতে লাগলো। মাছ বিক্রি হয়ে গেলে, সে একটু ভয়ে ভয়ে বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে এগিয়ে যাচ্ছিল, এই দিন আর তার মনে কোনো আনন্দ ছিল না। ছিল শুধুই ভয়, সে ভাবছিল এই বুঝি পেছন থেকে আবারও গত দিনের মতন বাজারের সব মাছ ওয়ালারা একজোট হয়ে তার কাছ থেকে তার টাকাগুলো নিয়ে গেল। কিন্তু না পরের দিন আর সেসব কিছুই হলো না। তাই সে বাড়ি গিয়েই হাসি মুখে তার দিদার হাতে তার রোজকারের অর্ধেক টাকা তুলে দিল। দিদা তো খুব খুশি। আর বাকি অর্ধেক টাকা , রতন ঘটে ফেলে দিল।


boy-909552_1280.jpg

সোর্স


এই ভাবেই ধীরে ধীরে রতনের ব্যবসার উন্নতি ঘটছিল । আর ঠিক একইভাবে সে বেশ কয়েকটা ঘট ভরে ফেলল। তারপর একদিন সমস্ত ঘট গুলো একসাথে ভেঙে দেখল , অনেক টাকা জমে গিয়েছে। তখন সেই টাকা দিয়ে, প্রথমেই ঘরের চালটা সারাই করে নিল। তার সাথে সাথে ঘরের প্রয়োজনীয় টুকটাক কিছু আসবাবপত্র কিনে নিল। নিজের জন্য আর তার দিদার জন্য কিছু জামা কাপড়ও কিনলো। আর সেই সাথে কিনল, মাছ ধরার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী। আর কিনে নিল আবারো টাকা রাখার জন্য কয়েকটি ঘট।

এইভাবেই কয়েক বছর পর, রতন একজন পাকা ব্যবসায়ীতে পরিণত হলো। তাকে এখন গ্রামের প্রায় সকলেই এক ডাকে চেনে। কিন্তু বেশিদিন তার কপালে সুখ সহ্য হলো না। রতন এখন পুকুর ছেড়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। কারণ একজন ভালো ব্যবসায়ী তো, সব রকম মাছই রাখে। সেরকমই একদিন পাশের গ্রামের একটি নদীতে রতন মাছ ধরতে গিয়েছিল। আর সেখানেই ঘনিয়ে এলো , তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসময়।


boy-909554_1280.jpg

সোর্স


(চলবে.......)


পোস্ট বিবরণগল্প লিখন

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

রতনের দুঃখটা কাটলো অস্বচ্ছলতা দূর হলো। কিন্তু সে যখন আবার নদীতে মাছ ধরতে গেল তখন আবার নতুনভাবে তার খারাপ দিন শুরু হলো। কিন্তু সেটা কী?? বেশ দারুণ জায়গাই কৌতূহল রেখে গল্পটার এই পর্ব শেষ করেছেন আপু। যাইহোক আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। দেখ শেষমেশ কী হয়।।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

পরবর্তী পর্বটি খুব দ্রুতই নিয়ে আসবো ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 61124.40
ETH 2666.44
USDT 1.00
SBD 2.60