|| জেনারেল রাইটিং : প্রচন্ড গরমে জীবন অতিষ্ঠ ||
নমস্কার বন্ধুরা
আমাদের কলকাতাতে আজ বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আপনাদের বাংলাদেশে বর্তমানে কি রকম গরম পড়েছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আসলে টাইটেল দেখে হয়তো বুঝতে পারছেন আমি কোন বিষয়ে আজকে কথা বলতে যাচ্ছি। বেশ কিছুদিন হয়ে গেল আমাদের কলকাতায় প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়েছে। শুধু যে গরম পড়েই থেমে রয়েছে তা কিন্তু নয়, বর্তমানে আমাদের এই জায়গায় প্রচন্ড পরিমাণে জলের সমস্যা হচ্ছে। তারপর থেকে থেকে লোডশেডিং, সবমিলিয়ে এমন একটা পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটা সহ্য করা অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গতকাল বোধহয় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বায়ুতে আদ্রতা ছিল প্রায় ষাট এর কাছাকাছি। বায়ুতে আদ্রতার পরিমাণ যত বেশি থাকে গরম তত বেশি অনুভূত হয়। গতকাল সকাল এগারোটা নাগাদ আমি একটু ব্যাংকের কাজে গেছিলাম কিন্তু বাড়ি আসার পরে এতটা অস্বস্তি লেগেছে, মোটামুটি সারাদিন মাথা এবং চোখে যন্ত্রণা ছিল।
সকালবেলাটা তাও একটু ঠান্ডা লাগছে কিন্তু যত বেশি বেলা হচ্ছে গরম যেন চারিদিক থেকে ঘিরে ধরছে। আর সারাদিনের কাজ করার পর একটু শান্তিতে বিকেল বেলাটা কাটাবো সেটাও হয় না। একদিকে কারেন্ট চলে যাচ্ছে অন্যদিকে গরম বাতাস, সবমিলিয়ে খুবই ভয়াবহ অবস্থা। বাড়িতে যতই ফ্যান থাকুক না কেন গরম যেন আরো বেশি মনে হচ্ছে আমার কাছে। এইবার বলি এই গরমে আমার কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে প্রথমত প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম হচ্ছে, তার ওপর আবার মাথা যন্ত্রণা চোখে ব্যথা এবং সবশেষে প্রচন্ড পরিমাণে ঘুম পাচ্ছে। আজকে বিকেল বেলা ভেবেছিলাম যে একটুখানি বাইরে ঘুরে আসবো এতে করে যদি একটু শান্তি লাগে। কিন্তু বাইরে বেরোতেই মনে হল যে ঘরেই আসলে ভালো ছিলাম। কারণ বাইরের বাতাসও প্রচন্ড পরিমাণে গরম ছিল।
এই গরমে যাদের বাড়িতে এয়ারকন্ডিশন রয়েছে তারা হয়তো কিছুটা বেঁচে যাচ্ছে, কিন্তু যাদের বাড়িতে এই সুবিধাটা নেই তাদের ক্ষেত্রে বলবো বেশি বেশি করে জল খেতে। তাছাড়া বিভিন্ন রকমের ফলের রস, বিশেষ করে তরমুজ যেটা এই সময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ডিহাইড্রোসেন থেকে রক্ষা করার জন্য। তাছাড়া আমাদের তো বিভিন্ন কাজে বাইরে বেরোতে হবে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চোখে সানগ্লাস যদি থাকে এবং অবশ্যই ছাতা নিয়ে বেরোতে হবে। এতে করে কষ্ট কিছুটা কম হয়। বাইরে বেরোলে অবশ্যই সাথে করে জল নিয়ে যেতে হবে। আর যদি জল নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বাইরে থেকে কিনে খেতে হবে। তাহলে হয়তো এই অসুস্থ হওয়াটা থেকে কিছুটা বিরত থাকা যায়। আসলে আমরা যদি এই অবস্থায় নিজেদেরকে মেইনটেইন না করি তাহলে ঠান্ডা গরম লেগে অনেকটাই অসুস্থ হয়ে যাব।
গতকালই মনে হয় বিগত সাত দিনের ওয়েদার রিপোর্ট দেখছিলাম। এর ভিতরে কোথাও বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই অর্থাৎ এই কয়দিন আমাদেরকে যথেষ্ট সচেতন অবস্থায় থেকে চলাফেরা করতে হবে। তবে আমি শুনেছি বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় নাকি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের কলকাতাতে এখনো তেমন কোন সম্ভাবনা দেখা যায়নি। আশা করি যদি কিছুটা বৃষ্টি হয় তাহলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হলেও হতে পারে। আমি আসলে দুইদিন খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছি। মনে হচ্ছে প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা এবং সাথে সাথে শরীর অনেক বেশি দুর্বল লাগছে। যদিও আমি প্রচন্ড পরিমাণ জল এবং জুস খাওয়ার চেষ্টা করছি এবং মাঝেমধ্যে টক দই খাচ্ছি, এতে করে একটু সুস্থ আছি বর্তমানে। তাই আপনাদের বলব এই গরমে আপনার অবশ্যই কিছু সচেতনতা অবলম্বন করবেন, তাহলে হয়তো সুস্থ থাকাটা সহজ হবে। ভালো থাকবেন সবাই।
পোস্ট বিবরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1781714917625843893?t=vbqmzcNVF-AhdYFaoQZbdA&s=19
আর বলবেন না আপু যে হারে গরম পড়া শুরু হয়ে গেছে। নিজেকে টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন। আর আমাদের রুমে এত গরম লাগে তা বলে বোঝাতে পারবো না। কবে যে এই গরম থেকে মুক্তি পাবো একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানে।
এই গরম থেকে মনে হয় সহজে আর মুক্তি মিলবে না আপু। যাইহোক, ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য।
অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীর একেবারে ভালোই লাগছে না। ইচ্ছে করছে এমন কোথাও চলে যাই, যেখানে অনেক বেশি বাতাস রয়েছে আর ঠান্ডা রয়েছে। এমনিতে তো রোদের তাপমাত্রা অনেক বেশি। সেই সাথে লোডশেডিং তো রয়েছেই। আস্তে আস্তে গরম আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়েছে। এখন সবাই শুধু বৃষ্টির কামনাই করছে। এটাই কামনা করি যেন খুব তাড়াতাড়ি আমরা সবাই বৃষ্টির দেখা পাই।
দ্রুত বৃষ্টি হলে সেটা আসলে সবার জন্যই খুব ভালো হবে। বর্তমানে গরমের তীব্রতা যেমন বেড়ে চলেছে তাতে অনেক মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
রমজান মাসে রোজা শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেকটা দিন তাপের প্রবণতাটা বেড়েই চলেছে। আর এই তাপের কারণে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ছোট-বড় বৃদ্ধ সকলেও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শুনছি তাপের এই প্রবণতাটা সামনের দিনে আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। এমনিতেই প্রচুর তাপ এর পরে আবার কারেন্ট থাকছে না সব মিলে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সত্যি কথা বলতে প্রতিটা মানুষ আশায় রয়েছে বৃষ্টির জন্য।
এখনই আমাদের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ হয়ে পড়েছে ভাই। আর এরপর যদি গরমের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়, তখন কি রকম অবস্থা হবে মানুষের সেটা ভেবেই খারাপ লাগছে।
গরমের জন্য কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। না পারছি বাহিরে থাকতে, না পারছি ঘরে থাকতে। ঘরে সমস্যা লোডশেডিং এর। বাহিরে সমস্যা রোদের। সব মিলিয়ে গরমে জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, কোন কিছুই করতে পারতেছি না। এই সময়টাতে আমাদের সবারই উচিত বেশি বেশি করে গাছ লাগানো। কারণ সামনে কি আসতে চলেছে এটা আমরা কেউই জানিনা। বেশি বেশি গাছ থাকলে হয়তো পরিবেশটা একটু ঠান্ডা থাকবে। গরমের তীব্রতার জন্য সবাই অসুস্থ হয়ে পড়তেছে।
হ্যাঁ আপু,বেশি বেশি করে গাছ লাগালে হয়তো ভবিষ্যৎটা কিছুটা হলেও সুন্দর হবে। না হলে যেরকম পরিমাণে গরম বেড়েই চলেছে তাতে খুবই দুর্দিনের দেখা দিতে চলেছে।
আমাদের এদিকটাতেও বেশ কিছুদিন ধরে প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়ছে দিদি। তবে তুমি যে এই গরমে কিছুটা অসুস্থ হয়ে গেছো, সেটা জেনে অনেক খারাপ লাগলো । তাছাড়া, গরম থেকে বাঁচার জন্য যে কথাগুলো বলেছো, সেগুলো একেবারেই সঠিক এবং মোটামুটি এই ব্যাপারগুলো মেইনটেইন করতে পারলে কিছুটা সুস্থ থাকা যাবে। আমাদের এদিকেও আজকে মনে হয় ৪১° টেম্পারেচার রয়েছে।
আসলেই ভাই, এতটা গরম পড়েছে যে সুস্থ থাকাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে এই ব্যাপারগুলো মেন্টেন করতে পারলে কিছুটা সুস্থ থাকা যায়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
দিদি, আপনার এই পোস্টটি পড়ার পর থেকেই আমি এই ব্যাপারগুলো মেইনটেইন করা শুরু করে দিয়েছি অলরেডি।
যেভাবে প্রতিনিয়ত গরমের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে ফলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি তো লোডশেডিং আছেই। গরম যতটা না বেশি কষ্ট দিচ্ছে তার থেকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে এই লোডশেডিং৷ এর ফলে কোন ভাবে কোন ধরনের কাজ করা যাচ্ছে না৷ এবং ফ্যানের বাতাস খাবার কথা তোর নাই বললাম৷ এই গরমের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিনিয়তই হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি হচ্ছে৷ এই গরম থেকে বাঁচার জন্য সকলেই বৃষ্টির জন্য কামনা করছে। আশা করি আমাদের সৃষ্টিকর্তা কিছু না কিছু করবেন৷