|| লাইফ স্টাইল : জন্মদিনের ট্রিট ||

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আমার আসলে বন্ধুবান্ধব বলতে তেমন কেউ নেই। কলেজ লাইফে যে কয়জন খুব কাছের বন্ধু ছিল, সময়ের সাথে সাথে তাদের সাথেও প্রায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও প্রত্যেক মানুষের জীবনে একজন স্পেশাল মানুষ বা বন্ধু থাকে যার জন্মদিন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিসই অনেক বেশি স্পেশাল হয়। সেরকম একজন বন্ধুর জন্মদিন ছিল বেশ কিছুদিন আগে। আসলে সে ই একমাত্র ব্যক্তি যার জন্মদিন আমার মনে থাকে। কারণ ওই ডেটে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল যেটা আমার সবসময় মনে থাকে। এজন্য তার জন্মদিন আমি কখনো ভুলে যাই না এজন্য সময়মতো তাকে উইশ করে দেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘড়ির কাটায় ঠিক বারোটা এক বাজার সাথে সাথে আমি তাকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম। এরপর তো খাওয়ার কথা উঠল অর্থাৎ আমি যেটা চাই আর কি। হা হা হা..তবে সে প্রতিশ্রুতি দিল যে সে আমাকে অবশ্যই খাওয়াবে এবং ভালো রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবে। তার পরিবর্তে তাকে একটা সুন্দর গিফট দিতে হবে আমার, এই আর কি।

InShot_20240424_152522015.jpg

তবে আমি তাতে রাজি ছিলাম। কারণ আমার জন্মদিন আসলে সে বেশ ভালো ভালো গিফট আমাকে উপহার দেয়। মোটামুটি জন্মদিন এর বিকেল বেলা কেক কেটে আমরা রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যেহেতু আগে থেকে আমরা প্ল্যান করেছিলাম যে দাদা বৌদি যাব আর আপনারা তো অনেকেই জানেন যে দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খেতে আমি কত পছন্দ করি। বিশেষ করে সেখানকার মটন বিরিয়ানি আমার অনেক বেশি পছন্দের। যাই হোক আমরা ব্যারাকপুর চলে গেলাম এখান থেকে গাড়িতে করে। তারপর রেস্টুরেন্টের তিনতলায় গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম খাবারের জন্য। আমরা অবশ্য আগে থেকেই প্লান করে রেখেছিলাম যে কি খাব। আমার যেহেতু ক্রিসপি চিকেন অনেক পছন্দ এজন্য তার একটা অর্ডার করলাম। কিন্তু সে আবার ফিস ফিঙ্গার বা ফিশ ফ্রাই খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে, তাই সে সিদ্ধান্ত নিল এর ভিতর যে কোন একটা আইটেম অর্ডার করবে।

20240402_145225.jpg

20240402_145211.jpg

তবে আমরা রেস্টুরেন্টের যে জায়গাটাতে বসে ছিলাম ওইখানকার যে ওয়েটার ছিল উনি আমাদের ভালো করে চিনতো। যেহেতু আমরা মাঝেমধ্যে সেখানে যাই। তাই বলল যে স্যার এবার একটু নতুন কিছু ট্রাই করেন। সব সময় তো ফিশ ফ্রাই ট্রাই করেন, এবার না হয় তান্দুরি ভেটকি ফ্রাই টা একটু ট্রাই করে দেখতে পারেন। আসলে আমার মাছের প্রতি খুব বেশি একটা আকর্ষণ নেই। তাই পুরো ব্যাপারটা তার উপর ছেড়ে দিলাম। কিন্তু সে দেখলাম আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর বলছে যে নতুন জিনিস কি ট্রাই করবো। আমি বললাম যে ভালো যেহেতু বলছে তাহলে ট্রাই করে দেখতেই পারো। যাইহোক অনেকটা সাহস নিয়ে একটা গোটা ভেটকি তান্দুরি অর্ডার করে দিলাম। যেহেতু তান্দুরি হতে প্রায় আধা ঘন্টার মত সময় লাগবে, তাই আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হলো। তবে তার আগে ক্রিসপি চিকেন এসে আমাদের টেবিলে উপস্থিত হলো।

20240402_144040.jpg

20240402_144029.jpg

সত্যি কথা বলতে আমি এ যাবত কালে যত ক্রিসপি চিকেন খেয়েছি তার ভিতরে এই চিকেনটা বেস্ট ছিল আমার খাওয়া। আর দাম হিসেবে যথেষ্ট পরিমাণ কোয়ান্টিটি দিয়েছিল, যেটা আমাদের দুজনেরই অনেক পছন্দ হয়েছিল। মোটামুটি খেয়ে শেষ করতে পারছিলাম না। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এরপর অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন ভেটকি তান্দুরি আসে। মোটামুটি কুড়ি মিনিট পর দেখলাম একটা গোটা ভেটকি তান্দুরি আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হলো। তবে ভেটকির গন্ধটা বেশ ফ্রেশ এবং সুন্দর ছিল। কিন্তু অবাক হলাম তখন যখন খাওয়া শুরু করলাম। ভেটকি মাছ তান্দুরি করার পরে আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগেনি। কেমন কাঁদা কাঁদা টাইপের লাগছিল আর ভেতরে মাছের পেটের ভিতর কি একপ্রকার মসলা ব্যবহার করেছিল যার কারণে কেমন যেন একটা নোনতা আর ঝাল ঝাল ভাব লাগছিল। যেটা আমার কাছে একেবারে ভালো লাগেনি। তবে আমার বন্ধু দেখলাম মোটামুটি জোর করে পুরোটা খেয়ে নিল, যেহেতু টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে তাই। যাই হোক মোটামুটি অভিজ্ঞতা ভালোই ছিল। এরপর খাওয়া-দাওয়া করে সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সব মিলিয়ে দিনটা বেশ ভালোই কেটেছিল।

20240402_142927.jpg

20240402_144032.jpg


পোস্ট বিবরণলাইফ স্টাইল
ফটোগ্রাফার@pujaghosh
ডিভাইসpoco m6 pro

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 81268.43
ETH 3146.04
USDT 1.00
SBD 2.76