|| লাইফ স্টাইল : টুকটাক খাওয়া - দাওয়া ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রচন্ড গরমে আসলে কোনো কিছুই ভালো লাগছে না। তবুও সব কাজ চলছে। প্রচন্ড গরমে সারাদিন বাড়িতে থেকে একঘেয়েমি জীবন কাটাতে আর ভালো লাগছে না। তাই গতকাল সন্ধ্যায় আমি আর আমার এক বন্ধু বেরিয়ে টুকটাক খাওয়া দাওয়া করলাম।তাতে বেশ কিছুদিন পর বন্ধুর সাথে দেখাও হল আবার অনেকদিন পর বেশ অন্যরকম ট্রাই করা হলো। বেশ ভালো কেটেছে গতকাল সন্ধ্যাটা। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
খাবারের মেনু কার্ডটা হাতে নিয়ে সব আইটেমগুলো একবার দেখে নিলাম। যদিও এর আগে বহুবার আমি এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছি। তারপরেও দেখলাম নতুন কিছু অ্যাড হয়েছে কিনা। দেখলাম সেরকম কিছুই অ্যাড হয়নি। যাইহোক, কিছুক্ষণ ভাবনা চিন্তা করলাম কি কি খাবার অর্ডার করবো সে বিষয়ে। তারপর ভেবে চিন্তে তিনটি খাবারের আইটেম অর্ডার করলাম। তার মধ্যে থেকে দুটি ছিল আমার পছন্দের আইটেম। আর একটা ছিল বন্ধুর পছন্দের আইটেম। আমার পছন্দের আইটেম দুটি হলো - ক্রিসপি চিকেন আর চিকেন মোমো। আর তার পছন্দের আইটেম হল - ফিশ ফিঙ্গার। যাইহোক, সবকটা আইটেমই খেতে খুব ভালো লেগেছিল।
এটি হলো আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার, ক্রিসপি চিকেন। প্রায় প্রত্যেকবার রেস্টুরেন্টে গেলে আমি এই আইটেমটা রাখার চেষ্টা করি। চিকেনের এই আইটেমটা খেয়ে আমি যতটা মজা পাই,অন্য কোন আইটেম খেয়ে এতটা আমার ভালো লাগেনা। এটির দামও আবার খুব বেশি নয়। এক প্লেট এর দাম ছিল মাত্র ২২০ টাকা। আমরা এক প্লেট নিয়েই দুজন ভাগ করে নিয়েছিলাম। যেহেতু সন্ধ্যেবেলা স্ন্যাকস হিসেবে খেয়েছিলাম, তার উপর আবার পরিমাণেও অনেকটা ছিল। আর তার সাথে যেহেতু আরও দুটো আইটেম ছিল , সেই জন্য এক প্লেটই ঠিক বলে মনে হয়েছিল। যাইহোক, খাবারটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু বানিয়েছিল। যদিও এটি দিতে প্রায় ৩০ মিনিট দেরি করেছিল।
এটি হলো আমার বন্ধুর সবচেয়ে পছন্দের খাবার ফিশ ফিঙ্গার। এর আগেও বেশ কয়েকবার আমি তার সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছি, আর যতবারই খেতে যাই এই আইটেমটা তার জন্য মাস্ট। যাইহোক,আমার কাছে খেতেও বেশ ভালো লাগে এটি। এটি অর্ডার করার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই দিয়েছিল।এর দাম ছিল মাত্র ১৮০ টাকা। এতে ৪ পিস ছিল। যেটা আমাদের ভাগ করে নিতে সুবিধা হল, হি হি হি। সব আইটেমই আমরা একটা করেই নিয়েছিলাম। বেশ ভালো বানিয়েছিল ফিশ ফিঙ্গার টা। ভিতরে মাছের পরিমাণ টাও ভালো দিয়েছিল। আমার বন্ধু তো ফিশ ফিঙ্গার খেয়ে খুবই খুশি হয়েছিল।
এটি হলো আমার আরেকটি পছন্দের আইটেম, চিকেন মোমো। মোমো আমি খুবই পছন্দ করি। বাজারে গেলেই মোমো খাওয়া মাস্ট। এই দিন প্রথমে অবশ্য মোমো অর্ডার করিনি, তবে কিছুক্ষণ পর মোমো খেতে না পারলে ভালো লাগছিল না। তাই পরবর্তীতে অর্ডার করেছিলাম। এটি অর্ডার করার মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই দিয়ে গিয়েছিল। মোমো টা খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল , এর সাথে যে স্যুপ দিয়েছিল তাতে বেশ ভালো পরিমাণে চিকেন দিয়েছিল।এর দামও কম ছিল মাত্র ১১০ টাকা। স্নাক্সের বেশ কয়েকটি আইটেম একসাথে খেয়ে, একটু ঘোরাঘুরি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1783565979857076383?t=HvOLpneEwdGQYxDVE1HX4Q&s=19
একেকজনের পছন্দ একেক রকম তবে পছন্দের কথা বাদ দিলাম ইন্ডিয়ায় তুলনামূলক খাবারের দামও দেখছি অনেক কম মাত্র ২২০ টাকায় ক্রিসপি চিকেন তাও আবার পুরা এক প্লেট। যাইহোক আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ ভাই,আগেও কয়েকজনের মুখে শুনেছি বাংলাদেশের তুলনায় ইন্ডিয়ায় খাবারের দাম বা যে কোনো জিনিসের দাম অনেক কম।
আপনারা দুজনে দুজনের পছন্দের খাবারগুলো খেয়েছিলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টে গেলে যদি নিজের পছন্দের খাবারই না খাওয়া হয়, তাহলে তো ভালোই লাগে না একেবারে। ক্রিসপি চিকেন আর চিকেন মোমো আপনি অত্যন্ত পছন্দ করেন এটা তো দেখেই বুঝতে পারলাম। এই খাবারগুলো আমার নিজের কাছেও খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। দুইজনে মিলে প্রত্যেকটা খাবার ভাগ করে খেয়েছিলেন জেনে আরো ভালো লেগেছে। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা এত সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কাছেও দেখছি ক্রিসপি চিকেন আর চিকেন মোমো অনেক ভালো লাগে আপু। যাইহোক, সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে সব কম বেশি সবাই পছন্দ করে, তবে সব সময় না। মাঝে মাঝে আমরাও বাহিরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে থাকি। রেস্টুরেন্টে গিয়ে পছন্দের খাবার খাওয়া হয় সব সময়। পছন্দের খাবার না খেলে তো ভালো লাগেনা। যেন কোন কিছু মিসটেক রয়েছে এরকমটাই মনে হয়। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন, আর দুজনে দুজনের পছন্দের খাবার মজা করে ভাগাভাগি করে খেয়েছিলেন, শুনে ভালো লাগলো। ভাগাভাগি করে খাওয়া দাওয়া করার মধ্যে আলাদা রকম আনন্দ পাওয়া যায়, যেটা একা একা খাওয়ার মধ্যে পাওয়া যায় না।
আসলে, পছন্দের খাবারগুলো খাওয়ার জন্যই আমরা রেস্টুরেন্টে যেয়ে থাকি। এটাও ঠিক একা একা খাবার খেলে আসলে ভালো লাগে না সাথে কেউ না থাকলে। যাইহোক, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।