|| লাইফ স্টাইল : পছন্দের খাবার গুলো দিয়ে ভুরিভোজ ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহেই একটি করে লাইফ স্টাইল পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। আজকের পোস্টটি মূলত জামাই ষষ্ঠীর দিনের খাওয়া-দাওয়া কে কেন্দ্র করে। যদিও আমাকে দেখলে খুব একটা বোঝা যায় না তবুও আমি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার গুলো খেতে অনেক ভালোবাসি। যেহেতু জামাই ষষ্ঠীতে আমরা বাড়িতেই থাকি, তাই মা এর কাছে আবদার করাতে সুন্দর একটা আয়োজন করেছিল ঐদিন। খুব মজা করে খেয়েছিলাম খাবারগুলো, আর খুব সুন্দরভাবে দিনটা কাটিয়েছিলাম। সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এটাই ছিল আমাদের ওই দিনের আয়োজন। খাবারের আইটেম গুলোর মধ্যে ছিল সাদা ভাত, আলু ভাজা, মুড়িঘন্ট ডাল , চিংড়ি মাছ দিয়ে শশার তরকারি, সর্ষে ইলিশ, মটন কষা, শসা, আম, কাঁঠাল, জাম, দই, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস আর আইসক্রিম। সবগুলো আইটেমই আমার অত্যন্ত প্রিয় , তাই অনেক মজা করে খেয়েছিলাম। আর প্রত্যেকের কাছেই তার মায়ের হাতের রান্না মানে অসাধারণ। আমাকে তো এভাবেই রোজ সাজিয়ে গুছিয়ে খেতে দিলে আমার খুব ভালো হয়। যাইহোক,সকাল থেকে উঠে মা আর আমি দুজন মিলেই গোছানো শুরু করেছিলাম। একা একা যে কোনো কাজ করতে গেলেই কষ্ট হয় আর বিরক্তও লাগে। তাও রান্না শেষ হতে হতে প্রায় দেড়টা বেজে গিয়েছিল। তারপর স্নান সেরে যখন গুছিয়ে দেওয়ার পর যখন খাবার গুলো নিয়ে বসলাম, মনে একটা আলাদাই ভালো লাগা কাজ করছিল। অনেকদিন ধরে কোনো নেমন্তন্ন পাইনি। তার ওপর আবার বাড়িতে যখন রান্না করে নিজের প্রয়োজন মত খাবার গুলো নিয়ে নিই । তার ওপর আবার মাঝে মাঝেই মায়ের সাথে দুঃখ করি , কেউ আমাকে নেমন্তন্ন করে খাওয়াই না। তাই এইভাবে বাটিতে বাটিতে দেওয়ায় খুব ভালো লাগা কাজ করছিল।
এই চারটে খাবারের আইটেম দেখে আমি কখনোই লোভ সামলাতে পারি না। মটন কষা আর ইলিশ মাছ যার জুড়ি মেলা দায় । মটন কষা আমার সবথেকে প্রিয় খাবার, সত্যি রান্নাটা এত টেস্টি হয়েছিল সেদিন এখন পোস্ট করতে গিয়েই আবার জিভে জল চলে আসছে, হা হা হা। মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ আমার সবচেয়ে প্রিয়। ইলিশ মাছ ভাজা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের আইটেম আমার খুব ভালো লাগে। সেদিন ছিল সর্ষে ইলিশ। দারুন হয়েছিল খেতে। শসা দিয়ে চিংড়ি মাছ আমি কখনো খাইনি , প্রথমবার খেয়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। মুড়িঘন্টর ডাল আমার সব সময়ের অত্যন্ত প্রিয় একটি আইটেম। অন্য যেখানেই খাই না কেন, বিয়ে বাড়ি আর মায়ের হাতে ছাড়া এই মুড়িঘন্ট ডাল আমার কারো হাতেই ভালো লাগেনা।
ফলের মধ্যে ছিল শসা , যেটাকে স্যালাড হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম। আর ছিল আম, কাঁঠাল আর জাম। কাঁঠাল যদিও আমি খুব একটা পছন্দ করি না, তবুও সেদিন ষষ্ঠী ছিল বলে আম,কাঁঠাল খেতে হয় বলে খেয়েছিলাম। তবে জাম আমার অত্যন্ত প্রিয়। আর এদিকে আম আর শসা ও বেশ ভালো লাগে। শশা তো আমাদের সকলেরই প্রায় নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে। তবে সিজনাল ফল হিসেবে আম খুবই জনপ্রিয়। হিমসাগর আম আমার সবচেয়ে প্রিয়।
শেষে ছিল দই, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিঙ্কস আর আইসক্রিম। মিষ্টি যদিও আমি খুব একটা খাই না, তবে রসমালাই আর দই আমার অত্যন্ত প্রিয়। আর কোল্ড ড্রিংকস তো সারাদিন পেলেই ভালো হয়। আইসক্রিমটা কিন্তু হোমমেড ছিল,এটা আমি নিজেই তৈরি করেছিলাম। যেহেতু আইসক্রিম খেতে খুব ভালোবাসি , আর রোজ রোজ বাজারেও বেরোনো হয় না, তাই বাড়িতেই আইসক্রিম তৈরি করে ফেলি। খেতে সত্যিই দারুণ হয়। যাইহোক এইভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে খাবারগুলো দেওয়ায় নিজেকে বেশ বিশেষ ব্যক্তি মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আমি বাড়ির অতিথি, হা হা হা।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://x.com/GhoshPuja2002/status/1808897927533703462?t=febJuJlfgpD-Wg7XnNPk8Q&s=19
পছন্দের খাবারগুলো বেশ মজা করে খেয়েছেন আশা করি। আপনার পছন্দের অনেকগুলো আইটেম আমারও বেশ পছন্দ আপু, আমিও লোভ সামলাতে পারি না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টের জন্য।
আমার পছন্দের অনেকগুলো আইটেম আপনারও পছন্দ জেনে ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জামাইষষ্ঠীর দিন আপনাদের বাড়িতেও দারুণ আয়োজন হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আপনার মা এবং আপনি দুজনে মিলে দারুন আয়োজন করেছেন আপু। আসলে এভাবে বাটিতে খাবার পরিবেশন করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু,এভাবে বাটিতে খাবার গুলো পরিবেশন করলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মায়ের কাছে আবদার করা তো দেখছি জামাইষষ্ঠীতে অনেক রকমের খাবারের আয়োজন করেছিলেন তিনি। আর সেই খাবারগুলো অনেক বেশি মজা করে খেয়েছিলেন দেখেই বুঝতে পারতেছি। এতগুলো খাবার দেখে তো আমার নিজেরই অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। প্রত্যেকটা খাবার অনেক লোভনীয় এবং সুস্বাদু হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। এতগুলো খাবার সামনে দিলে কোনটা রেখে কোনটা খাওয়া হবে এটাই তো বুঝতে পারি না। নিশ্চয়ই সবগুলো থেকে একটু একটু টেস্ট করেছিলেন।
আসলেই, প্রত্যেকটা খাবার অনেক বেশি টেস্টি হয়েছিল আপু। হ্যাঁ, অল্প করেই টেস্ট করেছিলাম সবগুলো খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।