||লাইফ স্টাইল : অনেকদিন পর বাজার করতে যাওয়া ||
নমস্কার বন্ধুরা
মায়ের অসুস্থতার পর থেকে আসলে আমার বনগাঁ চলে আসা। আর এরপর থেকে কখনো বাজারে ঘাট করা হয়নি কিংবা বাজার করতে বাইরে বেরোনো হয়নি। তবে আজকে হঠাৎ করেই বাজারে বের হতে হল টুকটাক বাজার করার জন্য। আসলে বর্তমানে যে গরম পড়েছে তাতে ঘরে টেকা মুশকিল। এজন্য বিকেল বেলায় একটু বাইরে বের হতেই হচ্ছে। না হলে অনেকটাই অস্বস্তি লাগছে শরীরের ভিতরে। মূলত এই কারণেই প্রত্যেকদিন বিকেল বেলা একটু বাইরে ঘুরতে বেরোই। তবে আজকে হঠাৎ করেই দেখলাম বাবা আর বাড়ি আসতে পারিনি দোকান থেকে। এজন্য আমাকেই রাতের বাজার করতে বের হতে হয়েছিল। যেহেতু স্টেশনের পাশেই বাজার এজন্য হেঁটে পাঁচ মিনিটের ভিতর আমি বাজারে চলে আসলাম। বাজারে সবকিছু আগের মতোই আছে। শুধু নতুন নতুন কিছু দোকান হয়েছে যেগুলো আগে ছিল না। বিশেষ করে সবজির দোকান গুলো বেশি হয়েছে।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাজারে সবকিছু অনেক বেশি সস্তা ছিল। বিশেষ করে শসা ছিল দশ টাকা করে কেজি আজকে গিয়ে দেখলাম সেটা ৪০ টাকা কেজি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কদিন আগে পিঁয়াজ ১৫ টাকা করে কেজি কিনে খেয়েছি। আজকে ৩৫ টাকা করে কেজি কিনতে হলো। তবে কাঁচা লঙ্কার দাম বেশ খানিকটা কমেছে আগের থেকে। তাছাড়া অধিকাংশ জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। যেমন ধরেন আগে দশটা পাতি লেবু ১০ টাকা দিয়ে কিনে আনতে পারতাম। আজকে গিয়ে দেখলাম একটা পাতি লেবুর দাম ৬ টাকা করে হয়ে গেছে। আবার কোথাও তিনটে কুড়ি টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একেতো প্রচন্ড গরম তার উপর আবার দ্রব্যমূলের এই ঊর্ধ্বগতি সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আসলে বাজারে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে বেরোলে বাড়ি কয়েকটা খুচরো পয়সা ছাড়া আর ফেরত নেওয়ার কোন কিছু থাকে না।
আমি মূলত বাজারে গিয়েছিলাম তিনটি কাজের জন্য। প্রথমত সবজি বাজার করা, দ্বিতীয়ত কিছু শুকনো বাজার করা যেমন আটা-ময়দা তেল এগুলো এবং একদম শেষে প্রয়োজন ছিল কিছু বাসনপত্র কেনার। যেহেতু আমাদের এখানে বর্তমানে জলের খুব সমস্যা হচ্ছে এজন্য ওয়ান টাইম প্লেট খুব দরকারি হয়ে পড়েছে। প্রথমে তো আমার যাবতীয় কাঁচাবাজার কমপ্লিট করলাম। মোটামুটি আমার ৩৭০ টাকার মত খরচ হয়েছিল কাঁচা বাজার করতে। তারপর শুকনো বাজার করতেও প্রায় ৪৩০ টাকার মতো খরচ হয়ে গেছিল। প্লেট এবং অন টাইম গ্লাস এগুলো কিনতেও মোটামুটি ৭০ টাকার মত খরচ হয়। আমি অবশ্য হিসেব করিনি যে সব মিলিয়ে টোটাল কত খরচ হয়েছে। ও আর একটা জিনিস, সিজনের সময় পাকা আমের কেজি যেখানে ৩০ টাকা করে হয়ে যায়। আজকে দেখলাম কাঁচা আমের কেজি ৮০ টাকা করে। ঢেঁড়স ৭০টা করে। আগে আমি দুই কেজি ঢেঁড়স ৩০ টাকা দিয়েও কিনেছি।
যাইহোক আমার সবকিছু বাজারঘাট করে এরপর বেশ খানিক সময় স্টেশনের উপর বসে থাকলাম। যেহেতু অনেক বাজার ঘাট করা হয়েছিল এজন্য অনেকটাই কষ্ট হয়ে গেছিল। এরপর সমস্ত বাজার ঘাট সাথে করে নিয়ে একটা টোটো ভাড়া করে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে যে পরিমাণ বাজার ঘাট করেছিলাম তাতে দুই হাতে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে গেছিল আমার জন্য। সত্যি কথা বলতে আজকের বাজার করার অভিজ্ঞতা আমার যথেষ্ট খারাপ ছিল। কারণ কিছুদিন আগে সব কিছুর দাম কত কম ছিল। তবে ইদানিং গরম পড়ার কারণে সব কিছু দাম আরো অনেক গুনে বেড়ে গেছে, যেটা আমার কাছে খুব বেশি একটা সুবিধার মনে হয়নি। যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের ব্লগ। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে আমার পোস্ট পড়ে।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
https://twitter.com/GhoshPuja2002/status/1784989908853252437?t=5jmy-lz4QopMVuezUjYMmA&s=19
বাজার করতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। তবে সেটা নিজের টাকায় নয়, বাবার টাকায়। আপনি দীর্ঘ দিন বাজারে প্রবেশ করে বেশ কিছু কেনাকাটা করেছেন। বর্তমান বাজারমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে মর্ধবিত্ত পরিবার গুলোর অনেক কষ্ট হয়ে পড়ছে। আপনি আজকে আপনার বাজার করার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার বাজার করার অভিজ্ঞতা পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আপনার কাছে বাজার করার অভিজ্ঞতাটা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আপনার বাজার করার অনুভূতি গুলো পড়ে কিছুটা অবাক হলাম।আপনি বলছেন,কিছু দিন আগে আপনি এতো এতো কমে সবজি কিনেছেন।তাই শুনেই তো অবাক হলাম।আমাদের এখানে তো এতো কমে সম্ভবই হয় না কেনার।দাম আগেও বেশী।এখন তো আরো বেশী।যাক আপনি সবজি,শুকনো বাজার আর ওয়ান টাইম প্লেট, গ্লাস নিলেন পানির সমস্যার জন্য। সবকিছু কেনাকাটা করে টোটো করে বাড়ি চলে গেলেন।ধন্যবাদ দিদি বাজার করা অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ওখানের তুলনায় আমাদের এখানে সব জিনিসের দামই কিছুটা কম থাকে আপু। পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি তার পরেও তো আমাদের বাংলাদেশের তুলনায় আপনাদের দেশের জিনিসপত্রের দাম অনেক কম। তবে আপনার পোস্ট থেকে আজকে জানতে পারলাম যে, ইন্ডিয়াতেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দিদি এই গরমের ভেতরে অনেক বেশি বাজার করে রেস্ট নেওয়ার জন্য আবার স্টেশনে বসে ছিলেন কিছু সময়। যাইহোক টোটোতে করে ভালোভাবে বাড়ি ফিরেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের তুলনায় ইন্ডিয়াতে সব জিনিসের দাম কিছুটা কম থাকে ভাই সব সময়। তবে আমাদের দেশের দামের তুলনায় এখন দাম অনেকটাই বেড়েছে সবজির।
আপনি বাজারে গিয়েছিলেন তিনটি কাজের জন্য এক সবজি কেনার জন্য ২ আটা ময়দা কেনার জন্য ।৩ বাসনপত্র কেনার জন্য ।ধন্যবাদ আপু অনেকদিন পর বাজার করতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে,পোষ্টটি পড়ে একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমারও আসলে অনেকদিন পর বাজার করতে গেলে ঠিক একই রকম অভিজ্ঞতা হয়। গতকাল আমিও বাজার থেকে দুটো লেবু কিনে নিয়ে এসেছি ১২ টাকা দিয়ে। এখন লেবুর অনেক দাম। সত্যি কথা বলতে, ৫০০ টাকার একটা নোট নিয়ে বাজার করতে গেলে তেমন কিছুই ফেরত আসে না বাড়িতে। তারপরও বাজারের ব্যাগ ভর্তি হয় না। কিছুদিন আগে আমাদের এখানেও সবকিছু অনেক বেশি সস্তা ছিল, ইদানিং দাম বেড়েছে। যাইহোক, ভালো লাগলো দিদি, তোমার বাজার করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পেরে।
হ্যাঁ এখন ৫০০ টাকা বাজারে নিয়ে গেলে অর্ধেক ব্যাগ বাজারও ঠিকমতো হয় না। যাই হোক পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে আমি বাজার করতে যাই তো দিদি, এই জন্য এই ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই জানি।
বাজার করতে যাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। আপনার কাছ থেকে এরকম একটি পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ তবে আমাদের দেশের থেকে আপনাদের দেশে সবকিছুর দাম কমই রয়েছে৷ আমাদের দেশে তো প্রতিদিনই যেভাবে দাম বেড়ে যাচ্ছে যা কোনোভাবে সহ্য করা যায় না।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।