|| গরালগাছা জমিদার বাড়ি থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের পোস্ট। চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
এর আগে একটি পোস্টে আমি গরালগাছা জমিদার বাড়িতে গিয়ে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সেখানেই বলেছিলাম, আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের এক দাদার বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেছিল গরালগাছা জমিদার বাড়িতে। আসলে বরপক্ষ আর কনেপক্ষ উভয়ের বাড়ি বারাসাতে। তবে তারা বিয়ের আগে থেকেই দুজন মিলে প্ল্যান করে এই জায়গাটা ঠিক করেছিল। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরত্ব ছিল এই স্থানটির। তবুও খুব উপভোগ করেছিলাম দিনটি। বিয়ের জন্য যে মন্ডপটা সাজানো হয়েছিল , সেই জায়গাটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল। ফুল গুলোর কালার কম্বিনেশন অসাধারণ লাগছিল দেখতে। সেইজন্য এই স্থানটির ফটোগ্রাফি সবার আগে দিলাম।
বিয়ের দিন সকাল থেকেই প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরের দিকে বৃষ্টি সামান্য কমলেও, বিকাল থেকে আবারও প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সেই জন্য বিয়ে বাড়িতে ঢুকেই প্রচন্ড বৃষ্টি দেখে তখন আর বাইরে থেকে ফটো তুলতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে এসে বিয়ের গেটের একটি ফটো তুলে নিয়ে গিয়েছিলাম। গেটটি বেশ অন্যরকম করে সাজানো হয়েছিল । আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছিল।
এটি হলো বরের সিংহাসন, সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে আমরা এই জায়গাটি দেখতে পেয়েছিলাম। গিয়ে দেখেছিলাম সৃজন দাদা সেখানে ফটোশুট করছে, আমরাও তার সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। গত পর্বের পোস্টটিতে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ারও করেছিলাম। যাইহোক, এই জায়গাটিকেও ফুল দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ এখানে থাকার পর, যখন জায়গাটা পুরো খালি হয়ে গিয়েছিল তখন এই ফটোগ্রাফি দুটো করেছিলাম।
পুরো জমিদার বাড়িটিকে ফুল এবং ছোট ছোট লাইটের মাধ্যমে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। উপরের ফটো তিনটিতে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নীচ তলা থেকে যেমন বাড়িটির লাইটিং সহ ফুল দিয়ে সাজানো সাজসজ্জা টা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল ,ঠিক তেমনি উপর থেকেও আর একটা অন্যরকম সৌন্দর্য অনুভব করতে পারছিলাম। এই বাড়িটিতে প্রতিবছর খুব বড় করে দুর্গাপূজা পালন করা হয়। সেই জন্য পুরো বাড়ির উঠোনটা প্রায় সারা বছর আলপনা করা থাকে। সাথে কিছু ছোট ছোট গাছপালাও সাজানো রয়েছে সেখানে। বারান্দার রেলিংয়ের এই লাইটের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা নিজেদের কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। গত পর্বে সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।
এটি ছিল খাওয়া-দাওয়ার জায়গা। খাওয়া-দাওয়ার জায়গাটাও বেশ সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। খাবারের কথা আর আলাদা করে কিছু বলার নেই। কারণ প্রত্যেকটা আইটেমই ছিল আমার অত্যন্ত পছন্দের, আর অত্যন্ত সুস্বাদু। আসলে খাবার যাই হোক না কেন, খাবারের স্বাদ ভালো হলে যে কোন খাবারই অনেক সুস্বাদু লাগে খেতে। যাইহোক সবমিলিয়ে দারুন একটি সময় পার করেছিলাম সেদিন।
পোস্ট বিবরণ | ফোটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
বাহ জমিদার বাড়িতে বিয়ে এটা তো বেশ চমৎকার একটা বিষয়, গরালগাছা জমিদার বাড়ি আসলেই খুব সুন্দর ভেতরের দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। জমিদার বাড়িগুলো সুন্দর হয় অনেক।
হ্যাঁ ভাই, জমিদার বাড়ি গুলো আসলেই অনেক সুন্দর হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি জমিদার বাড়ির বিয়েতে গিয়ে কিন্তু দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন ফুটে উঠেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আপনি কিন্তু পাকা হাতেই করেছেন। ধন্যবাদ আপু বিয়ের ব্যস্ততায় থেকেও আমাদের জন্য এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে, অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে৷ পূর্বে কখনো এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো দেখিনি। আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো দেখতে পেলাম৷
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।