|| লাইফ স্টাইল : চশমা বানাতে lenskart এর শোরুমে ||

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি চোখে পাওয়ার এসেছে। অর্থাৎ আগে যে চশমা ব্যবহার করতাম সেখানে কোন পাওয়ার ছিল না, আর এই কারণেই নতুন করে চশমায় পাওয়ার দিয়ে বানানোর অত্যন্ত দরকার ছিল। এটাতো গেল বেসিক কারণ। কিন্তু সবথেকে দরকারি যে ব্যাপারটা ছিল সেটা হল যেহেতু নতুন ইউনিভার্সিটিতে যাব সুতরাং নতুন স্টাইলের চশমা না হলে তো হয় না। এইজন্যই মূলত চশমা বানাতে যাওয়া। তবে আমি একা যায়নি চশমা বানাতে, সাথে আমার একটা প্রিয় বন্ধু গিয়েছিল। আসলে lenskart এ চশমা বানাতে গেলে একটা বিশেষ অফার দেয় তারা আর সেটা হলো, বাই ওয়ান গেট ওয়ান। এক্ষেত্রে একটা চশমা বানাতে যদি 2000 টাকা নেয় তাহলে ওই দুই হাজার টাকার ভিতরে আরো একটা চশমা আনা যায়। তবে একটা শর্ত প্রযোজ্য থাকে সেটা হলো যে গোল্ড মেম্বারশিপ থাকতে হবে lenskart এর।

InShot_20240408_205244956.jpg

20240326_180114.jpg

তবে সত্যি কথা বলতে আমার কাছে lenskart এর গোল্ড মেম্বারশিপ ছিল। এমনিতে গোল্ড মেম্বারশিপ করতে ৬০০ টাকার মতো নেয়। কিন্তু আমি একটা অফার পেয়েছিলাম এই কারণে আমাকে ফ্রিতে lenskart এর গোল্ড মেম্বারশিপ দিয়েছিল। আমার প্রথম পছন্দ ছিল lenskart এর সদ্য রিলিজ হওয়া চশমার ফ্রেম যেটাকে তারা hustlr বলছে। যদিও আমি যে এক্সপেক্টেশন নিয়ে সেখানে গেছিলাম আমার কাছে চশমার ফ্রেমগুলো অতটা ভালো লাগেনি। আর তার থেকে বড় কথা হল আমার চোখের সাথে ঠিকঠাক এডজাস্ট হচ্ছিল না। অর্থাৎ খুব বেশি একটা ভালো লাগছিল না দেখতে। তবে এখানে এত পরিমান চশমার ফ্রেম ছিল যেটা বলে বোঝানো যাবে না।কারণ স্টাইলের দিক থেকে lenskart এর জুড়ি মেলা অনেক ভার। মোটামুটি এক মাথা থেকে চশমা পরা শুরু করলাম এবং একটার পর একটা ফ্রেম চোখে দিয়ে এডজাস্ট করতে লাগলাম। আসলে আমার চোখের সাথে অধিকাংশ চশমার ফ্রেম ঠিকঠাক মত ভাল লাগছিল না। তবে একদম শেষের দিকে একটা সেমি ট্রান্সপারেন্ট চশমার ফ্রেম পছন্দ হল। দাম দেখলাম ২০০০ টাকা। তবে এখানে কিন্তু ১৭০০ টাকা থেকেই চশমার দাম শুরু এর পরে আরো অনেক দাম পর্যন্ত রয়েছে।

20240326_175826.jpg

20240326_175823.jpg

যাই হোক চশমার ফ্রেম পছন্দ হওয়ার পর আমার সাথে যে আমার বন্ধুটাকে ছিল তার জন্য একটা চশমা পছন্দ করতে লাগলাম। সত্যি কথা বলতে আমার মত তারও একই অবস্থা হচ্ছিল ঠিকঠাক চশমার ফ্রেম চোখের সাথে এডজাস্ট হচ্ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত বেশ সুন্দর একটা ফ্রেম পছন্দ হয় এবং সেটাকে ফাইনাল করা হয়। যাইহোক এখানেই কিন্তু সমস্ত প্রসেস কমপ্লিট হয়নি। আসলে আমরা যে চশমা পছন্দ করেছিলাম ওগুলো শুধুমাত্র ডেমো ছিল। এরপর ওই ডিজাইনের চশমা গুলো পরবর্তীতে বানিয়ে তারপর দেওয়া হবে। এতে করে সমস্ত প্রসেস কমপ্লিট হয়ে আমার হাত পর্যন্ত আসতে তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত লাগবে। এরপর শুরু হলো আসল কাজ অর্থাৎ চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করা। যেহেতু আমি আগে থেকেই জানতাম যে আমার চোখে পাওয়ার রয়েছে তাই একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে চোখ পরীক্ষা করলাম। মজার বিষয় হল এখানে চোখ পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয় সুতরাং আমাকে অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হলো না। এরপর আমার যে চোখের পাওয়ার আসলো সেটা তারা আমার ফোন নাম্বারে পাঠিয়ে দিল।

20240326_175816.jpg

20240326_175807.jpg

এরপর শুরু হলো ফাইনাল প্রসেসিং অর্থাৎ আমার নাম্বারে ঢুকে তারা সমস্ত ডিটেলস এড করে দিল। আর আমরা যে চশমা অর্ডার করেছিলাম সেটা এবং সাথে পাওয়ার যোগ করে অর্ডার কনফার্ম করা হলো। টোটাল চশমা বানাতে আমাদের ২৫০০ টাকা পড়েছিল। অর্থাৎ একটা ফ্রেমের দাম ছিল ২০০০ টাকা আর সাথে ব্লু কাট আর পাওয়ার দিয়ে আরো ৫০০ টাকা। অর্থাৎ দুটো চশমা বানাতে আমাদের ৫ হাজার টাকার মত লেগেছিল। আর যেহেতু আমার গোল্ড মেম্বারশিপ ছিল সেহেতু ফিফটি পার্সেন্ট অফ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ সবমিলে আমাদের খরচ পড়েছিল মাত্র ২৫০০ টাকা। যাইহোক আমরা সেখান থেকে অর্ডার দিয়ে বাড়ি চলে আসলাম এবং আমাদের মোবাইলে একটা কনফার্মেশন মেসেজ ঢুকলো। আর আমাদের বলে দেয়া হলো তিন চার দিনের ভিতরে চশমা চলে আসবে। তখন এখানে এসে নিয়ে যেতে। যাইহোক পরবর্তীতে চশমা হাতে পেলে অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব বাকি ব্যাপার গুলো।
20240326_175733.jpg

20240326_175804.jpg


পোস্ট বিবরণলাইফ স্টাইল
ডিভাইসpoco m6 pro
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 months ago 

চশমা কিনতে গেলে আমার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হয়, চশমার ফ্রেম এডজাস্ট করতে পারিনা। তবে যদি বন্ধুদের সাথে যাই তাদের সাহায্যে চশমা পছন্দ করি। এবারে চশমা কিনতে গিয়ে তো একটু বাড়তি সুবিধা পেয়ে গিয়েছেন কারণ ফ্রিতে মেম্বারশিপ পেয়ে গিয়েছেন।

Posted using SteemPro Mobile

 last month 

হ্যাঁ ভাই,ফ্রিতে মেম্বারশিপ পাওয়ায় একটু বাড়তি সুবিধায় পেয়েছিলাম এবার।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

আসলে যে সকল চশমা গুলো আগে থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে এবং আমরা সেগুলো ক্রয় করে থাকি সেগুলো আমাদের সাথে খুব একটা বেশি অ্যাডজাস্ট হয় না৷ তার জন্য কাস্টমাইজ করে কোন কিছু তৈরি করলে সেটি অনেক সুন্দর হবে এবং আমাদের মনের মতো হবে৷ তাই আপনি এই চশমার শোরুমে গিয়ে আপনার নিজের জন্য চশমা তৈরি করার জন্য ফিয়েছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

 last month 

ঠিকই বলেছেন ভাই, আগে থেকে বানানো চশমা গুলি আমাদের মুখের সাথে সবসময় অ্যাডজাস্ট হয় না। তাই অর্ডার দিয়ে বানানো টাই ভালো।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

চশমা কেনার ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্যাটা বেশিরভাগ মানুষেরই দেখা দিয়ে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত চশমার ফ্রেম পছন্দ হয়েছিল। আপনার মত দেখছি আপনার বন্ধুরও ঠিক এরকমই সমস্যা হচ্ছিল। যেহেতু এখন চশমার অর্ডার দিয়ে দিয়েছেন, আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে চশমাটা তৈরি হয়ে যাবে। ফ্রিতে মেম্বারশিপ পাওয়ার বিষয়টা কিন্তু দারুন ছিল, ভালোই একটা সুবিধা পেয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার চশমা বানানোর সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে।

 last month 

হ্যাঁ আপু, ফ্রিতে মেম্বারশিপ পাওয়ায়,দারুন একটা সুবিধা পেয়েছিলাম। পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

আসলে চোখের পাওয়ার এর সমস্যা দেখা দিলে চশমা ব্যবহার করা উত্তম। আমি আশা করি আপনার বানানো চশমাটি অত্যন্ত সুন্দর হবে এবং উক্ত চশমা ব্যবহার করে আপনি আপনার চোখ দিয়ে সবকিছু সুন্দরভাবে দেখতে পারবেন। একই সাথে আমাদের সকলের উচিত নিজ নিজ চোখের সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 last month 

চশমাটি আসলে আমার অনেক পছন্দের হয়েছে ভাই। চোখে সমস্যা সামান্য দেখা দিলেও চশমা তখন থেকে ব্যবহার করাই শ্রেয়, যাতে পরবর্তীতে বড় কোন সমস্যা দেখা না দেয়।

Posted using SteemPro Mobile

 last month 

lenskart -এর "বাই ওয়ান গেট ওয়ান" ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে এখানে যে ধরনের চশমা গুলো পাওয়া যায় সেগুলো যথেষ্ট কোয়ালিটি সম্পন্ন এবং দেখতেও যথেষ্ট ভালো। তোমরা যেহেতু দুইজন চশমা বানাতে গেছিলে, এজন্য যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা পুষিয়ে গেছে। ২৫০০ টাকায় দুটি চশমা তাও আবার পাওয়ার দিয়ে উইথ ব্লু কাট, যেটা যথেষ্ট এফোর্টেবল বলে মনে করি আমি। আশা করি, দুই-তিন দিনের ভেতর ডেলিভারি দিয়ে দেবে চশমা।

 last month 

হ্যাঁ ভাই,আসলেই তিন দিনের ভিতরেই ডেলিভারি দিয়ে দিয়েছিল। আসলেই এখানকার চশমা গুলো যথেষ্ট কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়ে থাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last month 

কয়েকদিনের মধ্যে আমিও এই লেন্সকার্ট থেকে একটি চশমা কিনবো দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.031
BTC 68636.49
ETH 3719.81
USDT 1.00
SBD 3.75