২০ তম জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত// পর্ব ০১ //

নমস্কার বন্ধুরা।
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
আজ আমার একটা স্পেশাল দিন। আসলে আমার কাছে দিনটা অনেক স্পেশাল। প্রতিটা মানুষের কাছেই তার জন্মদিনের দিনটা অনেক স্পেশাল হয়। তাই আমারও ব্যাতিক্রম নয়।

এবছর আমার ২১ তম জন্মদিন। কিন্তু এইবছর দিনটা অন্যবারের মতো অতটা ভালো না। অন্য বছর আমার প্রিয় কয়েকজন বন্ধু বান্ধবীর সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে যাই আর অনেক মজা করি আমরা সকলে। আর বাড়িতে মায়ের হাতের কষা মাংস তো থাকেই। কিন্তু এই বছর মায়ের রান্নাটা খাওয়া হলো ঠিকই কিন্তু বাইরে আর যাওয়া হল না টাকা দিয়েছে ঠিকই কিন্তু একা একা যেতে ইচ্ছে করে না। আর আমাদের এক সপ্তাহ পর থেকে ৫ ম সেমিস্টার এর পরীক্ষা শুরু তাই সবাই খুব ব্যস্ত, খুব টেনশনে আছি সবাই তাই এবছর কাওকে আর ডাকিনি।
তবে আমার দাদার থেকে একটা এক্সট্রা গিফট পেয়েছি তাই অনেক খুশী। গিফটের পোষ্ট অন্যদিন করবো । আজ আমি এই বছরের নয় কারণ এই বছর তো তেমন কিছুই হয়নি তাই ২০ তম জন্মদিন এর অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি এর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
চলুন তবে দেরি না করে শুরু করি।

এটা দিনটার শুরু ছিল। সেদিন আমাদের ৩য় সেমিস্টার এর পরিক্ষা ছিল। কিন্তু সেদিন পরীক্ষার শেষ দিন ছিল তাই আর অসুবিধা হয়নি। এটা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগের ফোটো।

আমি এই দিন অনেক খুশী ছিলাম কারণ ফুল আমার অনেক প্রিয় আর আমার এক বান্ধবী আমাকে এই গোলাপ ফুল দিয়েছিল তাই আমি অনেক খুশী হয়েছিলাম।

ওরা আবার ফুল দিয়ে আমাকে প্রপোজও করেছিল। খুব খুব খুশি হয়েছিলাম আমি। পরীক্ষার পরে আমরা অশোকনগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করতে করতে এটা করেছিলাম হা হা হা ।

এই যে আমরা ট্রেনে করে বনগাঁ এর বারো মাসে তেরো পার্বণ রেস্টুরেন্টে চলে এসেছি।

প্রথমে দুটো একটা ফোটো তুলেই কেক কেটেছিলাম। মাথায় ফুলের ক্রাউনটা পেয়ে অনেক খুশী হয়েছিলাম আমি।তারপর কেক খেয়ে খাবার অর্ডার করে দিয়েছিলাম। খাবার আসতে আসতে ফোটো তোলার কোনো কমতি ছিল না হা হা হা। খাবারের মধ্যে স্নাক্স এ ছিল চিকেন পাকোড়া , তারপর ফ্রাইড রাইস আর মটন কষা আর আইসক্রিম।

এই যে আমরা সবাই অনেক মজা করেছি আর একসাথে অনেক ফোটো তুলেছি। তবে আমার আরো দুজন খুব প্রিয় বান্ধবীকে বলেছিলাম ওরা আসতে পারেনি ওইদিন কিন্তু পড়ে গিফট নিয়ে হাজির হয়েছিল। ওরাও একসাথে থাকলে বেশী ভালো হতো।

এটা খুব ভালো একটা বান্ধবী আমার ।

ইনি হলেন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।৯ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের ।

এটা হলো আমার সেই দিদি যাকে আগের দুটো পোস্টেও আপনারা দেখেছেন।

এটা আমার আর এক ভালো বান্ধবী।

এতো ফোটো তুলেছি যে কোনটা কার ফোনে তোলা আর কোনটা কে তুলেছে কিছুই মনে নেই। তাই আর লিখতে পারলাম না।
তবে আমরা সবাই অনেক মজা করেছি। অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি।যেটা এই বছর পরীক্ষার কারণে হলো না। তবে মায়ের হাতের রান্নাটা মিস করিনি। আর বাড়ীর লোকের থেকে গিফটও মিস করিনি আর বেস্ট ফ্রেন্ড এর থেকেও তাই অনেক খুশী আমি হা হা হা।
আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি সবাই ভাল থাকবেন।