কলেজ স্ট্রিটের একটি হোটেলে গিয়ে খাওয়া - দাওয়া
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি ফুড রিভিউ নিয়ে। যেগুলো আসলে আমি, কলকাতার আদর্শ হিন্দু হোটেল থেকে খেয়েছিলাম গত মঙ্গলবার দিন। যেহেতু পার্ক স্ট্রিটে আমার কিছু কাজ ছিল তাই ভেবেছিলাম সেখান থেকে কলেজ স্ট্রিট গিয়ে এই হোটেলটি থেকে একবার খেয়ে আসবো। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন, এই হোটেল থেকেই কেনো? আসলে এই হোটেলটির সম্পর্কে আগে থেকে ইউটিউবে বিভিন্ন জায়গায় দেখেছিলাম এটি ১০০ বছরের পুরনো হোটেল। মানে স্বাধীনতার আগে থেকেই চালু হয়েছিল এই হোটেলটি আর এখনও পর্যন্ত একই ভাবে চলে আসছে। তাই এতো কাছ গিয়ে কিভাবে একবার না খেয়ে চলে আসি। তাই চলেই গেলাম একবার খেতে।
প্রথমেই যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিল, তা হলো মাটির গ্লাসে জল খেতে দেওয়া আর প্লেটের উপর কলা পাতা মোড়া। খাবারের আইটেম এর মধ্যে আমরা দুজন অর্ডার করেছিলাম সাদা ভাত, ডাল, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, পুঁই শাকের চচ্চড়ি, চিতল মাছের মুইঠা আর মটন।
প্রথমেই আসি ডাল আর ঝুরঝুরে আলু ভাজাতে। যেটি আমার অতি প্রিয় একটি খাবার। প্রায় প্রতিদিন সকালে কেউ যদি আমাকে এই একই খাবারও দেই আমি সত্যিই খুব খুশি হব। ঝুরঝুরে আলু ভাজা খাওয়ার মজা টাই আলাদা, তবে সব জায়গায় এতো ভালো আলু ভাজা আমি পাইনা, এখানে গিয়ে সেটা পেয়েছিলাম।
এবার আসি পুঁই শাকের চচ্চড়িতে যেটা আমার খেতে ভালই লাগে, তবে খুব ভালো লাগে বললে ভুল হবে। তবে এখানে গিয়ে আমি যে পুঁই শাকের চচ্চড়ি খেয়েছিলাম সেটা এতো বেশি সুস্বাদু ছিল বলে বোঝাতে পারবো না। এখানের পুঁই শাকের চচ্চড়ি সবচাইতে সুস্বাদু খাবার বলে শুনেছিলাম, তবে সেটা যে এতটা সুস্বাদু হবে বুঝতেই পারিনি। মাছের মাথা দিয়ে তৈরি এই পুঁই শাকের চচ্চড়ি অসাধারণ খেতে ছিল।
এবার আসি চিতল মাছের মুইঠাতে। চিতল মাছের মুইঠা নামটি এর আগে আমি বহুবার শুনেছি তবে এই প্রথমবার খেলাম । এতো টেস্টি খেতে হয় জানতাম না। মুখে দিয়েই এতো সুন্দর স্বাদ পেয়েছিলাম যে আমরা পরে আরও একটা করে অর্ডার করেছিলাম।
এবার আসি আমি আমার সবচাইতে প্রিয় খাবার মটনে। মটন মানেই আমার জিভে জল চলে আসে। আর তার এতো সুন্দর কালার দেখে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কতো সুস্বাদু ছিল এটি খেতে। সত্যিই দারুণ টেস্ট ছিল এই মটনের । এখন মুখে লেগে আছে।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
লোকেশন | কলেজ স্ট্রিট |
আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
দিদি খাবার গুলো দেখেই তো মনটা ভরে গেল কিন্তু পেটটা তো ভরলো না ! ১০০ বছরের পুরনো হোটেল মানে তো বিশাল ব্যাপার। আপনি বলছেন মাটন অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো কিন্তু আমার তো খেতে ইচ্ছা করতেছে।
পেট ভরানোর জন্য তাহলে ,একবার ওই হোটেলে গিয়ে খেয়েই আসেন ভাই, আশা করছি খাবারগুলো আপনারও ভালো লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে যেতে হলে তো অনেক প্যারা দিদি। তবে ইন্ডিয়াতে মামাদের বাড়ি তাইতো একদিন না একদিন যাবোই বেড়াতে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কলেজ স্ট্রিটের একটি হোটেলে গিয়ে খাওয়া - দাওয়া এর কিছু মুহূর্ত। এটি এক হাজার বছরের পুরনো হোটেল আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আসলে বেশ ভালো লাগলো জেনে। আসলে এই হোটেলে খেতে পারা মানে অনেক বড় একটি ব্যাপার যেহেতু স্বাধীনতার অনেক আগেই হোটেলটি চালু হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ,এই হোটেলে খেতে পারাটা সত্যিই একটা ভাগ্যের ব্যাপার ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কলেজে স্ট্রিটের একটি হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আপনি যে হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেছেন সেই হোটেলটি 100 বছরে পুরনো। এ তো অনেক বছর আপু। আর আপনার খাবারে মেনুগুলো দারুন ছিল। খাবারগুলো বেশ লবণীয় দেখাচ্ছিল। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার খাবারে মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই সত্যি ,খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খাবার দেখেই তো লোভ লেগে গেলো। যেহেতু ১০০ বছরের পুরনো হোটেল তার মানে সেখানকার খারার এর টেস্ট টা একটু ভিন্নই হবে। পরবর্তীতে কলকাতা গেলেই সেই হোটেলে গিয়ে খাবার খেয়ে আসবো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ অবশ্যই, কখনো কলকাতায় আসলে একবার এই হোটেলে গিয়ে খেয়ে আসবেন।
যাক আপু ১০০ বছর আগে পুরানো হোটেলে তাহলে খাওয়া খেলেন। আসলে কিছু কিছু জায়গাতে এ ধরনের হোটেল গুলো আছে যেগুলো অনেক পুরনো। তবে পুঁইশাকের চচ্চড়ি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে মনে হয়। মনে হয় এই হোটেলে খাওয়া খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেয়েছেন। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপু ,এই হোটেলের পুঁইশাকের চচ্চড়িটা অনেক সুস্বাদু খেতে। সত্যিই এই হোটেলে খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেয়েছিলাম।
আপনার খাবারগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক পুরনো একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করলেন। তবে এসব হোটেল গুলোতে খাওয়া-দাওয়া খেতে আলাদা একটা অনুভূতি আছে। তবে আমি বিদেশ থাকতে আপনাদের দেশের এবং আমি কোম্পানিতে কাজ করতাম অনেক লোকের সাথে আমি এভাবে কলা গাছের পাতার উপর খাবার খেয়েছি। তবে সেইগুলা আপনাদের বড় বড় উৎসবের সময় এবং পার্টির সময়। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালোই লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও এখানে থাকতে, কলার পাতার উপর উৎসবের সময় এভাবে খাবার খেয়েছেন, জেনে অনেক ভালো লাগলো।
এই হোটেলের নামটা আমি আগেও শুনেছি। সত্যি অসাধারণ একটা পরিবেশনা তাদের। একদম পুরো বাঙালিয়ানা সাজ। আর আমিও আপনার মত ডাল আর ঝুরঝুরে আলু ভাজা খেতে ভীষণ পছন্দ করি। ইদানিং মাংস অতটা ভালো লাগেনা। তাই মাছ দিয়ে খাওয়াটা বেশ জমজমাট লাগে। বিশ্বাস করুন খুব লোভ লেগে গেল পোস্টটা দেখে। আর কলকাতা যেহেতু বেশ কয়েকবার গিয়েছি তাই খাবার গুলো দেখেই বুঝতে পারছি কতটা মজার ছিল খেতে। আহা কি মিস টাইনা করছি এখন বসে বসে!
আবার যখন এখানে আসবেন কলকাতার খাবারগুলো টেস্ট করে যাবেন। সত্যিই মাংসের তুলনায় ডাল আর ঝুরঝুরে আলু ভাজা খেতেই অনেক বেশি ভালো লাগে।
কলেজ স্ট্রিটের এই ১০০ বছরের পুরনো হোটেলটির কথা আমিও এর আগে বহুবার শুনেছি, কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনি কখনো যাওয়ার। তবে তুমি বললে , পুঁই শাকের চচ্চড়িটা অনেক সুন্দর খেতে , একবার যেতে হবে মনে হচ্ছে সেখানে খেতে। আর মটন টা দেখে তো জিভে জল চলে এল। ভালই তো ঘুরছো আর খাচ্ছো দেখছি।
একবার তাহলে গিয়ে খেয়ে এসো ,আশা করছি ভালো লাগবে ।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।