শেষ পর্যন্ত এইভাবেই পাঁপড়ি চাট খাওয়া হলো !!
নমষ্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি ।সকলের সুস্থতা কামনা করেই ,আমার আজকের পোস্টটি শুরু করতে চলেছি।
এরকম অনেক দিনই হয়েছে, তবে আমি গত সপ্তাহের কথা বলছি, কারণ এটি সদ্য ঘটে যাওয়া। শুধু একবার বলেছিলাম ,পাঁপড়ি চাট খেতে আমার খুব ইচ্ছে করছে,তবে গঙ্গার পাড়ে গিয়ে সময়ের অভাবে খাওয়া হলো না। এই কথা শুনেই হয়তো তার মনে কিছু চলতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেটা সে আমাকে এক ফোঁটাও বুঝতে দিল না । তবে মনে মনে তার সব ভাবা কমপ্লিট। তার কাছে আমার কিছু বলা লাগে না, নিজে থেকেই সে সবকিছুই বুঝে নেয় আর চেষ্টা করে সবসময় আমাকে খুশি রাখার।
কী ভাবছেন? বাড়িয়ে বলছি। না না, একটুও বাড়িয়ে বলছি না। বরং, কম বলছি। তার সম্পর্কে যতই বলিনা কেন কম হয়ে যাবে। অনেক কথা বলে ফেললাম, আর কথা না বাড়িয়ে গত সপ্তাহের ঘটনাটা বলি। ছুটির দিনে আমরা প্রায়ই আশে পাশে ঘুরতে বের হয়ে যায়। সেরকমই গত সপ্তাহেও বেড়িয়েছিলাম। সেদিন সামান্য দূরে গেছিলাম, গঙ্গার ঘাটে, কারণ সেই জায়গাটা আমাদের অনেক পছন্দের আর সেখানকার পাঁপড়ি চাট খেতে অনেক সুস্বাদু। কিন্তু হটাৎ করেই সেখানে গিয়ে দেখলাম আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তখন বেশি দেরি না করে, দ্রুত বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমরা, তাই সেদিন আর আমার প্রিয় পাঁপড়ি চাট খাওয়া হলো না।
এদিকে দুই দিন ধরে আমার মনে প্রাণে পাঁপড়ি চাট, পাঁপড়ি চাট সুর উঠছে। তাই কথায় কথায় তাকে বলে ফেললাম আজ পড়তে গিয়ে ছুটির পর পাঁপড়ি চাট খেতেই হবে। সে তো শুনেই খুব বকা দিল, বলে দিল ওই দুপুর সময়ে একদমই না। আমি বললাম চুপি চুপি খেয়ে নেব, সে বললো খেলে খাও, পেটে ব্যাথা হলে একদম বলবে না আমার সাথে। সেটা শুনে মনে মনে খুব রাগ হচ্ছিল আবার ভাবলাম থাক অন্যদিন খাবো ।
বকা আমাকে দিল ঠিকই কিন্তু সেটা আমাকে খেতে দেবে না বলে নয়, বরং সঠিক সময়ে সে নিজে আমার জন্য এনে দেবে বলে। কিন্তু সেটা তো আর তখন বুঝতে পরিনি। সন্ধ্যার সময় ফোন করে আমাকে সে বললো, একটু খানি নীচে চলে আসো, আমি তোমাদের বাড়ীর পাশে দাঁড়িয়ে আছি। আমি বললাম,এখন কেনো, কীভাবে এখন দেখা করবো, বললো এক মিনিট আসলেই হবে আমি দাঁড়িয়ে আছি। সুতরাং, কিছুটা বাধ্য হয়েই গেলাম। কিন্তু হটাৎ, আসার জন্য একটু রাগও করেছিলাম।
তারপর গিয়ে তো আমি অবাক,উনি বারাসাতের খুব ফেমাস একটা দোকান, মৌচাক এর থেকে আমার জন্য পাঁপড়ি চাট নিয়ে এসে দাঁড়িয়ে আছেন। কতটা খুশী হয়েছিলাম বলে বোঝাতে পারবো না। এই ছোটো ছোটো আবদার, ভালোলাগা গুলো বুঝে নিতে পারলে আর কি চায়!
মৌচাকের পাঁপড়ি চাট, খেতে খুবই সুস্বাদু, পাঁপড়ি চাট যে এতো ভালো খেতে হয়, সেটা ওই পাঁপড়ি চাট না খেলে বুঝতে পারতাম না। খুব মজা করে ঘরে নিয়ে এসে, সাজিয়ে গুছিয়ে, সেগুলোকে আস্তে আস্তে পেটের মধ্যে চালান করে দিলাম, হি হি হি।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
লোকেশন | বারাসাত |
আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
দিদি কে সেই ব্যক্তি যে আপনার জন্য সঠিক সময়ে পাপে পাঁপড়ি চাট নিয়ে এসেছিল। তার নামটা তো বললেন না। তবে আপনার পোস্টটা পড়েই বুঝতে পারছি সেই মানুষটা আপনার অনেক বেশি কাছের। তাইতো আপনার এরকম আবদার পূরণ করল। আসলে কেউ যদি এরকম ছোটখাটো আবদার ভালোলাগা পূরণ করে তাহলে কিছুই লাগেনা। অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছিল পাঁপড়ি চাট দেখেই বুঝতে পারছি।
নামটাও,একদিন বলবো আপু। সত্যিই সে আমার অনেক আপন একজন মানুষ।
দিদিকে আপনার এরকম আবদার এবং ভালোলাগা বুঝতে পারল এটা তো বললেন না, যার কারণে ভালো লাগলো না। ভেবেছিলাম হয়তো শেষে বলে দিবেন সেই মানুষটা কে, কিন্তু দেখলাম কিছুই বলেননি। তবে আপনার পাপড়ি চাট খাওয়া দেখে বুঝতে পারছি অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছে। সঠিক সময়ে তাহলে তিনি আপনার জন্য খাবারটি নিয়ে এসেছিল। ভালো লাগলো এবং সম্পূর্ণটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি।
আমার প্রিয় মানুষ ভাই সে,🤭🤭🤭🤭।
জীবনে পথ চলতে গেলে এরকম একজন মানুষের সাথ খুব দরকার। সঠিক সময়ে সঠিক আবদার মেটানো বা মনের মানুষের কথা বুঝতে পারা এরকম মানুষ এখন তো খুঁজেই পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে বলতে হয় তোমার ভাগ্য অনেক ভালো। মৌচাকের দই বড়া আমিও অনেকবার খেয়েছি, অনেক সুন্দর খেতে।
হ্যাঁ মানতে হবে, আমার ভাগ্যটা অনেক ভালো তাই একজন বুঝতে পারার মত মানুষ পেয়েছি।