ঝাল ঝাল ডিম কষা রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি ভালো আছেন আপনারা। আমিও ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে ঝাল ঝাল ডিম কষা রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। বেশ কয়েকদিন হলো ডিম খাওয়া হয়নি। তাই আজ ভাবলাম ডিমের একটি রেসিপি তৈরি করা যাক। আর তরকারী একটু ঝাল ঝাল না হলে যেনো খেতে মজা লাগে না ।আমি খুব বেশী ঝাল খেতে পারিনা তবে যতটা দরকার টেস্ট আনার জন্য না দিলে যেনো ভালো লাগে না। তাই সবসময় একটু হলেও ঝাল করার চেস্টা করি। আজও ডিমের সেইরকম একটি রেসিপি তৈরি করেছি। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরী করলাম।
এটি হলো আমার আজকের রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
০১. ডিম ( ৪টি)
০২. পেয়াঁজ ( ১ টি)
০৩. কাঁচা লঙ্কা ( ৩ টি)
০৪. রসুন ( ৭ কোয়া)
০৫. আদা ( ২ টুকরো)
০৬. ধোনে পাতা (৩ টি ডাল)
০৭. লবণ ( ১চামচ)
০৮. হলুদ ( ১চামচ)
০৯. গোটা জিরে ( ১ চামচ)
১০. দারুচিনি ( ৪ টি)
১১. এলাচ ( ২ টি)
১২. লঙ্কা গুঁড়ো ( হাফ চামচ)
১৩. জিরে গুঁড়ো ( এক চামচ)
১৪. ধোনে গুঁড়ো ( হাফ চামচ)
১৫. গরম মশলা ( হাফ চামচ)
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে একটি প্লেটে নিয়ে নিয়েছি পেয়াঁজ, রসুন, আদা, কাঁচা লঙ্কা, ধোনে পাতা, লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মশলা, জিরে গুঁড়ো, ধোনে গুঁড়ো, দারুচিনি, এলাচ, লবণ, হলুদ, গোটা জিরে।
পেয়াঁজ, রসুন,আদা ঘষে নিলাম। লঙ্কা কেটে নিলাম।
ডিমগুলোকে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রেখেছিলাম।
এবার ডিমের মধ্যে লবণ ও হলুদ দিয়ে দিলাম।
লবণ ও হলুদ মাখিয়ে নিলাম।
এবার কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে দিলাম গরম করার জন্য।
তেল গরম হয়ে গেলে ডিম গুলোকে ভাজার জন্য কড়াইতে দিয়ে দিলাম।
ডিম ভাজা হয়ে গেছে তুলে নিলাম।
এবার ওই একই তেলে দারুচিনি, এলাচ ও গোটা জিরে ফোড়ন দিলাম। এলাচ টাকে একটু ফাটিয়ে দিয়েছি নাহলে ফেটে গিয়ে ছিটকে যাবে।
এবার দিয়ে দিলাম ঘষে রাখা পেয়াঁজ আর সেটাকে একটু নাড়াচাড়া করে নিলাম।
এবার দিয়ে দিলাম ঘষে রাখা রসুন ও আদা।সেটাকেও ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিলাম।
এবার দিয়ে দিলাম কেটে রাখা লঙ্কা।
এবার দিয়ে দিলাম লবণ, হলুদ, জিরে গুঁড়ো, ধোনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো আর গরম মশলা।
মশলা ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
মশলা কষানো হয়ে গেছে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো জল।
দিয়ে দিলাম ভেজে রাখা ডিম।
এবার ঝোল ফুটে উঠলে দিয়ে দিলাম ধোনে পাতা কুচি আর নামিয়ে নিলাম।
তৈরী হয়ে গেছে আমার আজকের রেসিপি।
ভালো থাকবেন সকলে। সুস্থ থাকবেন। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি।
বাহ্!ডিম কষা রান্না করেছেন।দেখে একেবারে জিহ্বে জল এসে পড়লো😋। আমি সাধারণত ডিম, ডিম ভুনা, ডিম ভাজা কিংবা অন্ন কোন রেসিপি খেয়েছি। তবে ডিম কষা আমার আগে কখনও খাওয়া হয়নি। কিন্তু রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বাসায় একদিন তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবো। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর এইভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
ডিম অনেকটা গোল আলোর মত। গোল আলু যেমন সব তরকারি মধ্য দিয়ে রান্না করা যায়, ঠিক তেমনি ডিম সব তরকারির মধ্যে দিয়েও রান্না করা যায়। ডিম আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আর আপনি যেভাবে ডিম রান্না করেছেন এইভাবে রান্না করাটাই আমার কাছে বেশি মজা লাগে খেতে। আমি বাসায় প্রায় প্রায় এভাবে রান্না করে খায়।ডিমের খুব সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাহ্ ডিম আপনার অনেক প্রিয় জেনে ভালো লাগলো ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন একটু ঝাল ঝাল না হলে খেতে মজা লাগে না। ডিম আমার খুবই পছন্দের। ডিম যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে ভালই লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ডিম আপনার অনেক প্রিয় জেনে ভালো লাগলো।
ডিম দিয়ে এভাবে যে কোন রেসিপি তৈরি করলে আমার কাছে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আর সেই রেসিপিটি যদি ঝাল হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। আপনি আজকে খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। যা দেখে আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। আপনার রেসিপির কালার কম্বিনেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা দেখে যে কেউ এটি খুবই সহজেই তৈরি করতে পারবে। আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করতেছে আপনার রেসিপিটি দেখে।
একদিন তবে এইভাবে রেসিপিটি খেয়ে দেখবেন আপু ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সুস্বাদু ঝাল ঝাল ডিম কষা রেসিপি দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। এরকম সেই গুলো ঝাল হলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে ডিমের রেসিপি। এরকম সুস্বাদু রেসিপি গুলো দেখলেই তো খেতে ইচ্ছে করে। এরকম ডিমের রেসিপি আমি অনেকবার খেয়েছিলাম। আপনার রেসিপিটি দেখে আবারও খেতে ইচ্ছে করছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম আমার এতটা বেশি পছন্দ যে তিনবেলা ডিম খেতে দিলে আমি তাই খেতে পারব।আপনার ঝাল ঝাল ডিম কষা রেসিপি দেখে আমার তো লোভ লাগছে।রেসিপির প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপু ডিম আপনার অনেক পছন্দ এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো আমার। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেকদিন পর দারুন একটা রেসিপি দেখতে পেলাম। আর ডিমের ঝাল ঝাল কষা রেসিপি যেটা দারুন মজা লাগে খেতে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি করেছেন রিসিপির কালার টা খুবই সুন্দর ছিল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম কোষা আহা দেখেই তো জিভে জল এসে গেলো ৷ সত্যি বলতে দিদি ডিম খেতে ভালোই লাগে আর মাঝে মধ্যেই ডিম ভাজি বা সিদ্ধ করে খাই ৷ তবে ঝোল খুব একটা খাওয়া হয় না ৷ আপনি দেখছি বেশ সুন্দর করে ডিমের ঝাল ঝাল কোষা রেসিপি করেছেন প্রতিটি ধাপ দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আপ বলা যায় ডিম হলো নিত্য দিনের তরকারি ৷ অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
হ্যাঁ ভাই মাঝে মাঝে ভালোই লাগে ডিম খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দিদি আমি একটা সত্যি কথা বলি হ্যাঁ, আপনার শেয়ার করা এই ঝাল ঝাল ডিম কষা রেসিপি দেখে খিচুড়ি ভাতের সাথে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে 😋 অনেক লোভনীয় ছিল।
তবে একদিন এইভাবে ডিম কষা করে খিচুড়ির সাথে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম অনেকভাবেই রান্না করে খেয়েছি এমনকি কষাও খেয়েছি তবে এত মসলা দিয়ে এত সুন্দরভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রান্নার পরিবেশন দেখেই লোভ লেগে গেল। রান্নার প্রনালী অনেক সুন্দর ছিল এবং খুব সুন্দরভাবে ছবি এবং বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। রান্নার রঙ দারুন এসেছে। ধন্যবাদ দিদি।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।