"একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে " (পর্ব - ০৩)
নমস্কার বন্ধুরা
তারপর ধীরে ধীরে তার সাথে কথা বলে কিছু কিছু কথা জানতে পারলাম তার সম্পর্কে, পুরোটা জানার সুযোগ এখনো হয়ে ওঠেনি। তবে আশা করছি ,সেটাও আস্তে আস্তে হয়ে যাবে।
সুজয় তখন ,সন্দীপকে বলল কি জানতে পারলি শুনি?
সন্দীপ বলল, শ্রী এর যখন বয়স ছিল ১৬ বছর, তখন তার বড় দিদি অসৎ সঙ্গে পড়ে বিপথে চলে যায়। সামনে তখন তার জীবনের প্রথম একটি বড় পরীক্ষা ,কিন্তু তার দিকে তো কারোর খেয়ালই নেই ।কারণ তখন সবার আগে যেটা সবার মাথায় ছিল ,"কিভাবে তার দিদিকে আবারো আগের মত করে তোলা যায়"?
"কিন্তু সেটা কি অতটাই সহজ?"নিজের ইচ্ছায় কেউ যদি একবার অসৎ সঙ্গে চলে যায়, সেখান থেকে ফেরানো তাকে বড়ই দুষ্কর। যেমন ধর না, কেউ যদি মানসিক রোগী হয়ে যায় তাহলে কি তুই চাইলেই তাকে সুস্থ করে তুলতে পারবি, কয়েক দিনের মধ্যেই?
"পারবি না তো"? কারন সেটা কখনোই সম্ভব না।
সেই রকম ভাবেই ,একটু একটু করে দিন যাচ্ছিল এগিয়ে আসলো তার পরীক্ষা, আর সেই সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে গেল তার দিদির আরো বেশি পরিমাণে ঔদ্ধততা। বাড়ির সকলে তখন দিদিকে সামাল দিতেই ব্যস্ত ,কিন্তু ছোট্ট শ্রী এর মনে হতো তার দিকেও কারো খেয়াল রাখা উচিত ,হ্যাঁ অবশ্যই তার দিদির পাশে তখন সকলের দাঁড়ানো উচিত ছিল ,কিন্তু তার দিকেও কি ছিল না?
এদিকে পাগলামি বাড়তে বাড়তে তার দিদি ঘর থেকে বেরিয়ে পাড়ার ক্লাবে বসে কিছু ছোকরাদের সাথে মদ্যপান ও শুরু করে দিল। আশেপাশের লোকেরা এই নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিল, কেউ কেউ বাড়ি বয়ে এসে জিজ্ঞেসও করতে শুরু করলো। এই থেকেই শুরু হলো তাদের পারিবারিক অশান্তি। মাঝে মাঝে এসবের পর তার দিদি বাড়ী ফিরে এসে তাকে মারধর ও করতে বাদ রাখেনি, কখনও কখনও পড়তে বসলেই তার বই খাতা ছুঁড়ে ফেলে দিত, যাতে সে পড়তে না পারে। আবার কিছু কিছু দিন নাকি খেতে বসলে মুখের সামনে থেকে খাবারের প্লেট টাও ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে, কখনও কখনও পড়তে যেতে দেয়নি। প্রতিনিয়ত এগুলো ঘরে চলতে থাকলে কেমন লাগে বলতো! এগুলোকে কি তুই মানুষিক যন্ত্রণা বলবি না?
সন্দীপের মুখে এই কথা গুলো শুনে, সুজয় বললো, সত্যিই তো এগুলো তো এক ধরনের মানুষিক যন্ত্রণাই।
তখন সন্দীপ বললো, একটা জিনিসই এর মধ্যে সাহস যুগিয়েছে শ্রী কে, তার মা আর বাবা সবসময়ই তার পাশে ছিল। আবার খারাপ হলেও তার দিদিও যে তাদেরই এক সন্তান, কীভাবেই বা তারা তাকে ফেলে দেয়? তাই তাকেও ভালো করার চেষ্টা করতে থাকে তারা একদিন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এই আশা নিয়ে।
(চলবে.......)
পোস্ট বিবরণ | স্টোরি রাইটিং |
---|
দিদি আপনার লেখা গল্পটার দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এর আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছিল যার কারণে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। আসলে শ্রীর সাথে যা হয়েছে তা এক ধরনের মানসিক যন্ত্রণা এটা বলতে হয়। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। তা জানার জন্য আমার অনেক বেশি আগ্রহ হচ্ছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে উপস্থিত হবেন।
আমার লেখা গল্পটির আগের পর্বগুলো আপনি পড়েছিলেন, আর এই পর্বটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে ।
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে এই গল্পটার প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব আমার পড়া হয়েছে। আর আজকে তৃতীয় পর্ব পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। আসলে এই তৃতীয় পর্বের জন্য বসেছিলাম। এই পড়বে জানতে পেরেছি শ্রীর বোনের এরকম অত্যাচারের কথা। তার ফ্যামিলির সবাই বসে ছিল তার বোন একদিন ভালো হয়ে যাবে এবং সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। পরবর্তীতে কি হয় তা জানতে অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।
আমার লেখা গল্পটির তৃতীয় পর্বটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
এই গল্পের প্রথম পর্বটা আমি পড়েছিলাম, তবে মাঝখানে একটা পর্ব মনে হয় বাদ পড়ে গেছে। এজন্য গল্পের প্লট টা মাথায় সাজাতে একটু সমস্যা হয়ে গেল। তবে লেখাটা খুব সাজানো-গোছানো ছিল। যদিও আমি আগের পর্বটা পড়বো তারপর এই পর্বটা আরেকবার পড়বো। তাহলে হয়তো ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
হ্যাঁ আগের পর্বটা পড়া থাকলে তোমার এটা সাজাতে আর সমস্যা হতো না। তবে লেখাটা সাজানো গোছানো মনে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।