একটি মেলার কয়েকটি দৃশ্য
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি , কয়েকদিন আগে বারাসাতের ছোটবাজারে অনুষ্ঠিত হওয়া , মেলার কয়েকটি দৃশ্য নিয়ে। আমি ছোট বাজারেই একটি কাজের জন্য গিয়েছিলাম, গিয়ে দেখলাম সেখানে পাশেই মেলা হচ্ছে তাই মেলা থেকেও এক পাক ঘুরে আসলাম। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
মেলায় ঢুকেই ,একটা জিনিস আমাকে খুব অবাক করেছিল ।মেলার মধ্যে একটা জায়গাতে বেশ ভিড় দেখতে পাচ্ছিলাম। যার মধ্যে অল্প বয়সের ছেলেদের সংখ্যায় বেশি ছিল এবং কিছু মধ্যবয়স্ক লোকেরাও ছিল সেখানে। দেখলাম গোল করে ঘিরে, কিছু একটা হচ্ছে ,যেখানে সাধারন মানুষকে খুব একটা যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। একটু কৌতূহল বশতই কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম, জুয়া খেলা হচ্ছে। মেলার
মধ্যেই এই ধরনের জিনিস দেখতে পেয়ে একটু অবাক হয়েছিলাম।
এগুলো হলো সেই সবের দোকান ,মেলায় ঢুকেই যেই জিনিসের দিকে সবার প্রথম চোখ যায় এবং সেখানেই চোখ আটকে যায়। অসম্ভব সুন্দর লাগে বিভিন্ন রকমের কানের , গলার হার আর চুড়ি গুলো একসাথে দেখতে। দেখে মনে হয় সব কিনে নিয়ে বাড়ি চলে আসি, হি হি হি। যদিও আমি এখান থেকে কিছুই কিনিনি ওই দিন।
এগুলি হলো ,সংসারের টুকটাক জিনিসপত্র এবং বাচ্চাদের খেলনার দোকানপাট। তাই এখানে আমার একেবারেই কাজ নেই। তাই সেখান থেকে ফটাফট কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়ে চলে গেলাম অন্যদিকে।
এখানে রয়েছে বাচ্চাদের জন্য মিকি মাউস জাম্পিং আর কার রাইডিং এর ব্যবস্থা। অন্যদিকে বড়দের জন্য রয়েছে নাগরদোলা। নাগরদোলায় খুব সম্ভবত আমি আজ থেকে ৮ থেকে ৯ বছর আগে একবার উঠেছিলাম। তারপর থেকে সঙ্গীর অভাবে আর ওঠা হয়নি।
মেলাটি খুব ছোট ছিল তাই খুব একটা খাবারের দোকানপাট এখানে বসেনি, টুকটাক খাবারের দোকানগুলির মধ্যে এটি একটি। যেখানে জিলিপি ,নিমকি প্রভৃতি খাবারের আইটেমগুলো পাওয়া যাচ্ছিল।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
লোকেশন | বারাসাত |
আজ আর নয় ।আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি ।দেখা হবে পরবর্তীতে ,আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
আপনি দারুণ কিছু ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আসলে ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সুন্দরী হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন মেলায় যে দোকানে আপনি ঢুকেছিলেন এখানে দেখার মত কিছু জিনিস আছে। যা সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার তোলা ফটোগ্রাফিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই ।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মত আমিও অবাক হলাম শুনে যে মেলার মত এরকম জনবহুল জায়গায় ওপেনলি জুয়া খেলা হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে গিয়ে তো আপনার ভালো হয়েছে মেলাও ঘুরে আসতে পারলেন। সেই সাথে মেলার কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার কারণে ছোটবেলায় মেলায় যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
একদমই একটা অবাক করা বিষয় আপু। হ্যাঁ বাজারে গিয়ে ঐদিন বেশ ভালোই হয়েছিল।
নাগরদোলায় উঠেছো ৮-৯ বছর আগে তার মানে তো সে অনেক পুরনো কথা। আমি তো মনে হয় গত বছর রথের মেলায় নাগরদোলায় চড়েছিলাম বন্ধুদের সাথে। যদিও এই বছর তেমন কোনো সুযোগ আর পেলাম না। আর জুয়া খেলার ঐ ব্যাপারটা আমার কাছেও বেশ অবাক লাগে। এখন তো অনেক মেলাতেই দেখা যায় এরকম জুয় খেলা হয়, যেটা আইনবিরোধী কাজ। তবে পুলিশ কেন যে ব্যবস্থা নেয় না এটা আমি বুঝতে পারি না। যাইহোক মেলায় ঘুরতে গেছো কিছু তো অন্তত কিনে নিয়ে আসতে পারতে, একেবারে ফাঁকা হাতে চলে আসলে কেন 🤭
আসলে মেলায় ঘুরবো বলে তো যায়নি, সেই জন্য সেখানে বেশি সময় দিতে পারিনি আর কিছু কিনিওনি। ঠিকই বলেছেন, জুয়া খেলাটা অনেকটাই আইনবিরোধী একটা কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।