|| গল্প : ভালোবাসার পরিণতি ( প্রথম পর্ব ) ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন পর আজকে একটি গল্প লেখার চেষ্টা করব। এটি আসলে বাস্তব জীবনের একটি গল্প। চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
মৌনি আর শুভ্রজ্যোতি দুজনেই আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। একসাথেই কোচিং এ পড়তাম আমরা তিনজনে, সেখান থেকেই শুভ্রজ্যোতির সাথে পরিচয় আমার। তবে মৌনির সাথে ছোটো বেলা থেকেই পরিচয়। যাইহোক,শুভ্রজ্যোতি আমাদের ক্লাসের হিরো ছিল বলা চলে। প্রথম যেদিন ক্লাস টেনে পড়তে এসেছিল আমরা সবাই ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম ওর এতো সুন্দর রূপ দেখে , হি হি হি। তবে নতুন কারো সাথে হঠাৎ করে হটাৎ করে বন্ধুত্ব হয় না। তাই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। তারপর দেখলাম আরও একটা নতুন জায়গায় পড়তে গিয়েও সেই বন্ধু। তখন আসতে আসতে কথা বলতে বলতে বন্ধুত্ব হয়েছিল। তারপরেই তার বন্ধুত্ব হয়েছিল মৌনির সাথে। মৌনি খুবই শান্ত স্বভাবের একটি মেয়ে। দেখতে মোটামুটি খুব বেশি ভালো নয় আবার খুব বেশি খারাপ নয়।
যাইহোক, বহু মেয়ে বাদ দিয়ে ক্লাস ১২ এ একদিন হঠাৎ শুনলাম শুভ্রজ্যোতির মৌনিকে খুব ভালো লাগে। তবে মৌনি তো রাজি নয়, তাকে দেখতে বেশি ভালো নয় তাই। আর এদিকে ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর শুভ্রজ্যোতি। কিছুদিন পর নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে তারা একটা সম্পর্কে চলেও যায়, আমরা সকলেই এটা জানতে পেরে খুব খুশি হয়েছিলাম। দুজনেই পড়াশুনাতে ভালো ছিল। তাই তাদের সুন্দর একটা ভবিষ্যত কল্পনা করা যায়। তবে খেয়াল করে দেখলে বা তাদের মুখে শুনলেও বোঝা যেত শুভ্রজ্যোতি মৌনিকে বেশি ভালোবাসে, মৌনির থেকেও। বেশ ভালোই চলছিল দুজনের সম্পর্ক। প্রায় দুই বছর পর, পারিবারিক কিছু কারণে মৌনি কম কথা বলতে শুরু করলো শুভ্রজ্যোতির সাথে। তাই বলে সে ভালোবাসে না তা কিন্ত নয়।শুভ্রজ্যোতিও সেটাকে মেনে নিয়েছিল।
কিন্তু, কিছুদিন পরে শুরু হলো অশান্তি। কারণ শুভ্রজ্যোতি মৌনিকে অনেক ভালোবাসলেও তাকে খুব আটকে রাখতো, যেমন - ছেলে বন্ধুদের সাথে একেবারেই কথা বলতে দিতো না, মনে সন্দেহ বাতিক ছিল হয়তো।এই জিনিসটা আমাদের সবার অপছন্দ ছিল, অতিরিক্ত মনে হতো, তাও মৌনিকে কখনও বলিনি, তাহলে তার মনটা আরও ভেঙে যেতো। তবে তার এতে কোনো দুঃখ ছিল না শুভ্রজ্যোতিকে নিয়ে ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন ফেসবুক থেকে কোনো একটা ছেলের মৌনিকে খুব পছন্দ হয়েছিল আর সে মৌনির ছবি এঁকেছিল। সত্যিই খুব অপূর্ব এঁকেছিল। তবে ছবিটা ছেলেটা মৌনিকে দেয়নি। মৌনির এক আর্টিস্ট বান্ধবী মৌনিকে দিয়েছিল। মৌনির ছবিটা দেখে এতো পছন্দ হয়েছিল, যে সে ফেইবুক, হোয়াটস্যাপ সব জায়গাতেই দিয়েছিল। কিন্ত সেখানেই তার ভুল হলো।
( চলবে.......)
পোস্ট বিবরণ | গল্প লিখন |
---|
ভালোবাসার পরিণতি গল্পটার প্রথম পর্ব পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দুজন দুজনকে ভালোবাসলেও ছেলেটা মেয়েটাকে বেশি ভালোবাসতো। কিন্তু অন্য যে ছেলেটা ওই মেয়েটাকে পছন্দ করত সে দেখছি তার স্কেচ এঁকেছিল। আর মেয়েটার এক ফ্রেন্ড তাকে এটা দেওয়ার পর সবকিছুতেই দেখলাম মেয়েটা দিয়েছিল। এর ফলে তার কি ভুল হয়েছিল এবং কি ঘটেছিল তাদের জীবনে, এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি আপনি শীঘ্রই পরবর্তী পর্বটা সবার মাঝে শেয়ার করবেন।
অনেক সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে আপনি। শুরু থেকে পড়তে খুব ভালোই লাগছিল। ভেবেছিলাম তাদের দুজনের ভালোবাসা হয়তো পূর্ণতা পাবে। কিন্তু শেষে এসে দেখলাম কিছু একটা ভুল হয়েছিল মেয়েটার। ওই ছবিটা মেয়েটার অনেক পছন্দ হয়েছিল। তাই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সবকিছুতেই দিয়েছিল। শেষ পর্যায়ে তাদের ভালোবাসার মধ্যে কি হবে এটা আশা করছি আপনি পরবর্তীতে শেয়ার করবেন। অধীর অপেক্ষায় থাকলাম গল্পটার পরবর্তী অংশ দেখার জন্য।
ভালোবাসার পরিণতি গল্পটি পড়ে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। কিছু কিছু ভালোবাসা আছে যেগুলো পরিণতি ভিন্ন রকম হয়। যদিও মৌনি আর শুভ্রজ্যোতি ক্লাসমেট এবং একজনকে একজন ভালবাসে। আসলে এরকম ভালবাসাগুলো একসময় ফ্যামিলির কারণে নষ্ট হয়ে যায়। আমার অনেক সময় এরকম ভালবাসার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি এসে ভালোবাসা নষ্ট করে দেয়। যাইহোক পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।