প্রিয় বন্ধু (গল্প: পর্ব - ০১)
নমস্কার বন্ধুরা
আজকে আমি একটি গল্প লিখবো বলে ঠিক করেছি। জানিনা কতটা ঠিক হবে বা ভুল হবে! তবে আমার বাংলা ব্লগের অনেক সদস্যরা অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প লেখেন, এটা দেখেই আমারও গল্প লেখার ইচ্ছে জাগলো মনে। তাই একটু লেখার চেষ্টা করে দেখেতে চাই। আমার এই গল্পটি বেশ কয়েকটি পর্বে বিভক্ত। আজকে আমি তার প্রথম পর্বটি লিখছি। আর দেরি না করে তবে শুরু করা যাক।
প্রিয় বন্ধু
সৃজন, শ্রী এর থেকে বয়সে ৪ বছরের বড় ছিল। তাই সব ক্ষেত্রেই সৃজন এটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতো। শ্রী তার কোনো কথা না শুনলে সে যে বয়সে শ্রী এর থেকে ৪ বছরের বড়ো এটা বারবার মনে করিয়ে দিত। তবে শ্রী এতে কিছু মনে করতো না। সবই মেনে নিত।
আসলে তাদের দুজনের বাড়িটা এমন জায়গায় ছিল যে চারিদিকে ধূ ধূ মাঠ। মাঠ পেরিয়ে কিছু গাছপালা আর তার পড়েই আবার অনেক বসতি গড়ে উঠেছে। তাই ছোটবেলা থেকে তাদের আর অন্য কোনো খেলার সঙ্গী ছিল না। তাই তাদের মধ্যে খুব সুন্দর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা টাই স্বাভাবিক। এদিকে সৃজন এর মায়ের আর শ্রী এর মায়েরও খুব সুন্দর একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। মাঝে মধ্যেই তারা তাদের মায়েদের সাথে এদিকে ওদিকে ঘুরতে যেত। কখনও কখনও ছুটোছুটি করতে করতে নিজেরাই অনেকটা দূরে চলে যেত।
সৃজন যখন চতুর্থ শ্রেণীতে উঠলো তখন শ্রী নার্সারিতে ভর্তি হলো। গ্রামের সবচেয়ে বড়ো আর ভালো স্কুলেই তারা পড়াশুনা করত। রোজ তাদের মায়েদের সঙ্গে একসাথে স্কুলে যেত তারা। তবে সৃজন যেহেতু শ্রী এর থেকে উঁচু শ্রেণীতে পড়ত তাই তার ফিরতে একটু দেরি হত। এই সময়ের মধ্যে শ্রী বাড়ী ফিরে তার রান্নাবাটি সাজিয়ে রোজ সৃজনের জন্য মিথ্যে মিথ্যে ভাত, তরকারী রান্না করে নিয়ে বসে থাকত। প্রথমেই সৃজন তাদের বাড়ী এসে বলতো" কই গো খুব খিদে পেয়েছে। খেতে দাও।" তখনি শ্রী তার মিথ্যে মিথ্যে রান্না করা ভাত তরকারী নিয়ে সৃজন এর সামনে এসে হাজির হতো। তারপর সেগুলো খেয়ে নিয়েই দুজনে হাত ধরে বেরিয়ে পড়ত চারিদিকে ছুটোছুটি করতে। তারপর যতক্ষন না পর্যন্ত সৃজন এর মা লাঠি হাতে নিয়ে খুঁজতে যেত ততক্ষন পর্যন্ত তাদের দেখা পাওয়া যেত না।
সৃজনকে মারতে মারতে নিয়ে আসতে দেখে শ্রী এর খুব হাসি পেতো। আর সৃজন তার উপর রাগ করে কিছুক্ষন কথা বলতো না। কিন্তু কতক্ষন আর রাগ করে থাকবে? প্রিয় বন্ধু তো। আবার ঠিক বিকেল বেলার খেলার সময় দুজনের ভাব হয়ে যেত। এইভাবেই একটা বছর কেটে গেল। এরপরেই সৃজন পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলো। তার পড়াশুনোর চাপও বাড়লো। এদিকে সৃজন আর শ্রী এর স্কুলের সময় টাও পাল্টে গেল। সৃজনের ডে স্কুল এখন আর শ্রী এর মর্নিং। সকালে উঠেই শ্রী স্কুলে চলে যায় আর বাড়ী ফিরে সৃজনকে সে দেখতে পায় না। এদিকে নতুন স্কুলে নতুন নতুন বন্ধু-বান্ধবী পেয়ে সৃজন যেন শ্রীকে কিছুটা ভুলতে শুরু করল।
কিন্তু শ্রী এর কি হলো? সেও কি ভুলে গেল তার প্রিয় বন্ধু সৃজনকে?
আপু আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর গল্প নিয়ে হাজির হয়। যাইহোক সৃজন ও শ্রী যেহেতু ভালো বন্ধু। আসলে এই ছোটবেলার বন্ধুত্ব কতো দূর টিকিয়ে রাখতে পারবে শ্রী। সৃজন যেহেতু নতুন বন্ধুবান্ধব পেয়ে শ্রী কে ভুলতে বসেছে।তাহলে এদিকে শ্রী ও কি সৃজনকে ভুলতে পারবে।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপু প্রথমবারের মতো এরকম গল্প লিখে,আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ,আরও বেশি উৎসাহ পেলাম । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সৃজন আর শ্রীর বন্ধুত্বের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ছোটবেলায় এরকম বন্ধুত্ব অনেকের সাথেই হয়। তবে প্রিয় বন্ধু একজনই থাকে। যাকে ছাড়া কোন কিছু কল্পনা করাও ভালো লাগেনা। আর তার সাথে খেলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়। যেহেতু তাদের স্কুলের সময় বদলে গেছে তাই হয়তো তাদের আর দেখা হয় না। কিন্তু সৃজন শ্রীকে ভুলে গেছে এটা ভেবে খারাপ লাগছে। দেখা যাক এরপর কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দিদি।
হ্যাঁ আপু প্রিয় বন্ধুর সাথে সবকিছু শেয়ার করে নেওয়া যায় , তাদের সাথে খেলতেও অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সোর্স সঠিক হয়নি। এটা ব্যবহার করুন।:https://pixabay.com/illustrations/children-boy-girl-people-brothers-3609517/
ঠিক আছে ভাই ধন্যবাদ।