এত পুতুল দেখে কী লোভ সামলানো যায়!!
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
গত দুইদিন আগে, একটি পোস্টে আমি আপনাদের সাথে বলেছিলাম রথের মেলায় গিয়ে কয়েকটি পুতুল পছন্দ হলেও প্রচন্ড ভিড় থাকার কারণে কোনোটিই কিনতে পারিনি। তাই মনে একটু আফসোস, অবশ্যই ছিল। তাই সেটা মেটাতে আজ আবার চলে গেলাম ঠিক একই জায়গায় রথের মেলায়। আর সেখান থেকেই কিনে নিয়ে আসলাম ,দুটি পুতুল আরেকটি মজার কৃষ্ণ ঠাকুর। মজার কৃষ্ণ ঠাকুর বললাম ,এটা নিয়ে নিশ্চয়ই মনে মনে ভাবনা হচ্ছে , মজার কেন !! আসুন তাহলে পোস্টটি পড়ে জেনে নেয়া যাক।
এটিই ছিল ,চোখ ধাঁধানো পুতুলের সম্ভার ।যা দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পাচ্ছিলাম না।
এখানে যে কয়টি পুতুল দেখছিলাম ,সবকটি কিনে নিতে ইচ্ছে করছিল। কোনটা ছেড়েছে কোনটা নেব সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। সবকটাই দেখতে অনেক কিউট লাগছিল। তাই রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর অবশেষে ঠিক করে দুটো পুতুল বেছে নেওয়া হলো। হরিণটা দেখুন, কি সুন্দর তাকিয়ে আছে! আর মেয়ে পুতুল দুটো, প্রথম বারের মতো দেখলাম । এই ধরনের পুতুল আগে কখনও দেখিনি ।খুবই কিউট লাগছিল দেখতে। পেঙ্গুইনটাও কারো থেকে কম যাচ্ছে না। আর পিকাচু তো সব সময়ই অনেক সুন্দর।
প্রথমে এই হলুদ রঙের পুতুল বেলুনটাকে দেখে এগিয়ে গিয়েছিলাম কেনার জন্য । তারপর গিয়ে দেখি সেখানে কৃষ্ণ ঠাকুর উপস্থিত। তাই দেখে ঠিক করে নিলাম, কৃষ্ণ ঠাকুর কেই নিয়ে যাব, কিন্তু এক মজার কৃষ্ণ ঠাকুর । রাস্তা দিয়ে আনার সময় দেখলাম হঠাৎ করে তার দড়িটা ছিড়ে গেল, তখন ঝুলিয়ে আনার আর কোনো উপায় নেই। তখন তাকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম ,আসলে সে কোলে উঠতে অনেক পছন্দ করে তো, সেই জন্য কোলে উঠে আসতে চাইছিল,হি হি হি। তারপর কিছু দূর এসে মাটিতে নেমে পড়েছিল, কি মুশকিল! রাস্তার মধ্যে ধরতেই পাচ্ছিলাম না ,তারপর গিয়ে দৌড়ে দৌড়ে তাকে কোনভাবে ধরে এনেছিলাম ।তারপর আবার বাড়িতে আসার পরে দেখি সে এদিক ওদিকে দৌড়ে চলে যাচ্ছে, তাকে ধরাই যাচ্ছে না। সেইজন্য তাকে এখন কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে দিয়েছি।
অবশেষে এনাদের তিনজনকে, বাড়িতে নিয়ে আসা হল।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে ,আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
আমার মেয়ে ঈলমাকে নিয়ে আমার এই বিপদটা হয়। মেলায় গেলে কোন পুতুল রেখে কোনটা কিনবে বুঝতে পারে না, অবশেষে আমার পছন্দ মতো কিনে দেই। যাইহোক আপনি শেষ পর্যন্ত তিনটি পুতুল কিনতে পেরেছেন এটাই বড় বিষয়।ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে।
বিপদ কেন বলছেন ভাই, বাচ্চারা তো পছন্দ করবেই পুতুল, হি হি হি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি আমার জন্য পুতুল পাঠিয়ে দিয়েন। সত্যি কৃষ্ণ ঠাকুরটা তো অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। কত সুন্দর বিছানায় শুয়ে আছে অসাধারণ লাগছে দেখতে। সেদিনে ভীরের ভেতরে কিনতে পারেন নাই বলে আজকে কিনে নিয়ে এসে বেশ ভালোই করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
না ভাই ,অন্য কিছুর ভাগ দেওয়া গেলেও পুতুলের ভাগ একদমই দেয়া যাবে না, হি হি হি। আপনি পারলে আরও কয়েকটা পাঠিয়ে দিয়েন আমার জন্য, হি হি হি।
কষ্ট পেলুম 😭 আপনার কাছে পুতুল যে এতটা প্রিয় সেটা আমি বুঝে গেছিলাম 😎। পাঠিয়ে আর দেবো কি! বিএসসি টা শেষ করে নিই নিজেই যাবো ইন্ডিয়াতে। হাজার হলেও মামা, কাকা,জেঠু বাড়ির দেশ।
কৃষ্ণ ঠাকুর চেয়েছিল আপনার কোলে উঠে বাসায় আসতে তাইতো দড়িটা ছিড়ে গিয়েছিল। আর সে একটু বেশি দুষ্টু তো সেজন্য একটু বেশি এদিক ওদিক দৌড়ে চলে যাচ্ছে। সবগুলো পুতুল খুবই কিউট আর পুতুল আমিও ভীষণ পছন্দ করি। আমার মেয়েকে নিয়ে যদি এরকম মেলায় বা দোকানে যাই, তখন সে যদি পুতুল দেখে সেখানে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় পুতুল কিনে দেওয়ার জন্য। আসলে সে অনেক ছোট তো তাই পুতুল অনেক বেশি পছন্দ করে। খুব কিউট দুটি পুতুল নিয়ে এসেছেন।
হ্যাঁ ভাই ,কৃষ্ণ ঠাকুর অনেক দুষ্টু তাই এরকম দুষ্টুমি করছিল। আপনার মেয়ে অনেক ছোট বলেই সেও অনেক পুতুল পছন্দ করে।
ঠিক বলেছেন আপু এমন পুতুল দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। আমার মেয়ের এই পুতুল গুলো অনেক পছন্দ। সে কোথাও গেলে শুধু পুতুল কিনবে।তবে এটা ঠিক কোনটা রেখে কোনটা কিনবে এটা পছন্দ করা অনেক কষ্টের। আপনার পুতুল গুলো কিন্তু দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু পুতুলের ফটোগ্রাফি করার জন্য।
বাচ্চারা তো পুতুল অনেক পছন্দ করবেই আপু। এই জন্য আপনার মেয়ে কোথাও গেলে পুতুল কেনে ।আমার কেনা পুতুলগুলো, আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপু এতগুলো পুতুল একসাথে দেখলে ভাবাচ্যাকা খেতেই হয়। আমিও যখন এতগুলো পুতুল দেখি তখন আমার ছেলে নেওয়ার জন্য অস্থির থাকে মনে মনে আমারও খুব নিতে ইচ্ছা করে। আপনার কৃষ্ণ ঠাকুর কিন্তু কিউট আছে আপু। কৃষ্ণ ঠাকুরকে অবশেষে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসতে পেরেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। আবার কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন।
হ্যাঁ আপু, আসলেই এতগুলো পুতুল একসাথে দেখে নিজেকে সামলানো অনেক মুশকিল হয়ে পড়ে ।সত্যি কৃষ্ণ ঠাকুরটা অনেক কিউট ।ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার কিনা পুতুলগুলো কিন্তু খুবই সুন্দর হয়েছে। আসলে যে কোন পুতুলই খুব সুন্দর লাগে। আমার কাছে পিকাচু এবং পেঙ্গুইন টা কে অনেক বেশি কিউট লেগেছে। হরিণ টাও খুব সুন্দর ভাবে তাকিয়ে আছে। প্রত্যেকটি পুতুলই খুব সুন্দর। এতগুলো পুতুল একসাথে দেখলে আসলেই সিলেক্ট করা কঠিন। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো দিদি।
ঠিক বলেছেন আপু ,এতগুলো পুতুল একসাথে দেখলেই সিলেক্ট করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে দিদি এত পুতুল দেখে একেবারেই লোভ সামলানো যায় না। আমার খুবই ফেভারিট এরকম পুতুলগুলো। বিছানায় এরকম পুতুলগুলো সাজিয়ে রাখলে খুব ভালো লাগে দেখতে। কিন্তু আমার মেয়ে তো পুরো ঘরে পুতুলগুলো নিয়ে খেলা করে। তার জন্য শুধু পুতুল কেনা লাগে। যেহেতু সে পুতুল খুব পছন্দ করে তাই আমরা বেশিরভাগ সময় তাকে পুতুল কিনে দিই বিভিন্ন রকমের। কৃষ্ণ ঠাকুর অনেক দুষ্টামি করছিল তাহলে। অনেক কিউট লাগছে প্রত্যেকটা পুতুল।
হ্যাঁ বাচ্চারা তো ,অনেক বেশি পুতুল নিয়ে খেলা করতে পছন্দ করে । হ্যাঁ আপু কৃষ্ণ ঠাকুর সত্যি অনেক দুষ্টুমি করছিল।
এমন সব পুতুলের ফটোগ্রাফি আমিও অনেক করেছি আপু। আমার মোবাইলে কমসেকম ১০০ এর বেশি এই জাতীয় ফটোগ্রাফি রয়েছে। কারণ আমিও পছন্দ করে থাকি এমন সুন্দর সুন্দর জিনিস গুলো দেখলে ফটোগ্রাফি করে রাখার জন্য এবং মাঝেমধ্যে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ, খুবই ভালো লাগলো আপু।
আপনিও তাহলে, পুতুলগুলো দেখতে অনেক পছন্দ করেন দেখছি ভাই ।শুনে ভালো লাগলো।
এই পুতুল গুলো দেখলে সত্যিই লোভ সামলানো যায় না। আমার তো ইচ্ছে করে যে পুরো দোকান ধরে তুলে নিয়ে আসি। আর গোপাল কিন্তু আপনার কোলে উঠবে বলেই ইচ্ছে করে অমন দুষ্টুমি করেছে 😅 হিহিহিহি। খুব মিষ্টি লাগছে বিছানার উপরে সব গুলো এক সাথে দেখতে।
আপনি পুরো দোকানটা কিনে নিয়ে এসে আমাকে তাহলে কয়েকটা ভাগ দিয়ে দেবেন, হি হি হি। সত্যিই শেষ পর্যন্ত, গোপাল কোলে উঠেই ছাড়লো।