||অবশেষে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার অবসান ঘটলো||
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
টাইটেলটা দেখেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ,আজ কি বিষয়ে পোস্ট লিখতে চলেছি। বেশ কয়েকদিন ধরে অনেক চাপের মধ্যে দিয়ে দিন যাচ্ছে। হঠাৎ করেই পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দেওয়ায় সকলেই একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছি। যাই হোক কিছু তো করার নেই ,এগুলো নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আসলে আমাদের পরীক্ষাটা শুরু হওয়ার কথা ছিল আরও এক মাস পরে, কিন্তু এটা যেহেতু আমাদের ফাইনাল সেমিস্টার তাই এরপরে অনেকে মাস্টার্সে ভর্তি হবে আর সেখানে ভর্তি হওয়ার জন্য গ্রাজুয়েশনের সার্টিফিকেট টা দরকার ,সে জন্যই সবকিছুর কথা মাথায় রেখে আমাদের পরীক্ষাটা অনেকটাই এগিয়ে এসেছে।
এতে অবশ্য বিষয়টা আমাদের কাছে অনেকটাই চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনো পুরোপুরি সিলেবাস শেষ হয়নি, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসও শেষ হয়নি। কোনো রকমে পরীক্ষার রুটিন পাওয়ার সাথে সাথে প্রায় প্রতিদিন কলেজে ডেকে শেষ করানো হয়েছে সবকিছু। কিন্তু কলেজ থেকে সিলেবাস কোনরকমে শেষ করা হলে কি, সেটা আমাদেরও হয়ে গেল? একেবারেই হলো না, কারণ সেগুলোকে ৩-৪ দিনের মধ্যে কমপ্লিট করে খাতা জমা দেওয়া ,পরীক্ষার পড়া মুখস্থ করা সেগুলো যে কতটা বেশি চাপের সেটা আমরা সকলেই জানি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সকলকে এই চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।
যাই হোক এই ভাবেই ,গতকাল আমাদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা অবসান ঘটলো। যেহেতু এটা আমাদের কলেজ জীবনের শেষ প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা ছিল আর বাইরে থেকে এক্সামিনার এসে এই পরীক্ষাটা নিয়েছিল, তাই বেশ চাপের ছিল সবকিছুই। তা সত্ত্বেও যতদূর সম্ভব সবকিছুই কমপ্লিট করে পরীক্ষা দিতে যেতে পেরেছিলাম এটাই ভালো। আর শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রায় সকলেরই পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছিল ,তাই অনেক খুশি হয়ে কলেজের এই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার শেষ দিনে, কয়েকজন কাছের বান্ধবীরা মিলে কয়েকটি নিজেদের ফটোগ্রাফি না করে আর পারলাম না।
এর উদ্দেশ্য আসলে শুধুমাত্র ফটোগ্রাফিই ছিল না। এই ছবিটা গুলোকে আমরা আসলে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখার জন্যই তুলেছিলাম। এরপর আর আপাতত আমাদের কলেজে যেতে হবে না রেজাল্ট আনতে যাওয়া ছাড়া। কারণ লিখিত পরীক্ষাগুলো তো অন্য কলেজে গিয়ে দিতে হবে, তাই নিজেদের কলেজে যাওয়ার সুযোগ আর আপাতত নেই। এদিকে লিখিত পরীক্ষাও ঘনিয়ে এসেছে , আগামী বুধবার থেকেই সেটি শুরু হচ্ছে। তাই এত চাপের মধ্যে নিজেদের মনকে একটু হালকা করার জন্য , সকলে মিলে একসাথে সামান্য কিছু সময় কাটিয়ে নিজেদের মন কেও একটু হালকা করে নিলাম।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা মানে কিছুটা চিন্তার বিষয়। আপনার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ভালো হয়েছে জেনে খুবই আনন্দিত হলাম। আর এটা সত্যিই যে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষ হলে অন্যরকম একটি ভালো কাজ করে।বান্ধবিরা মিলে খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ ভাই প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে বলে, একটু ভালো লাগা কাজ করছে । তবে লিখিত পরীক্ষাগুলো শেষ হলে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারব । ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনিও অনেক ভাল থাকবেন।
স্টেট ইউনিভার্সিটি সবসময় এরকমই করে। সেমিস্টার পরীক্ষা কমপক্ষে মাসখানেক আগে এগিয়ে নিয়ে আসে, এটা নতুন কিছু না। অন্যান্য ইউনিভার্সিটি আবার এরকম ফাজলামো করে না। যাই হোক প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা মানেই একটা চাপের বিষয়। তারপরও তুমি এত সুন্দর করে প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছ এটাই বা কম কিসের। তবে এটা সত্যি কথা যে কলেজ জীবন শেষ হয়ে গেলে ঐ দিনগুলো খুব মনে পড়ে ভবিষ্যতে। আর এই ফটোগুলো যে শুধুমাত্র আনন্দের জন্য নয় সারা জীবন মনে রাখার জন্য সেটা তোমাদের হাসি মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাগুলো বেশ চাপেরই হয় ,সেটা ভালো করে দিতে পেরেছি এটাই আমার জন্য অনেক। আসলেই ফটোগুলোকে স্মৃতি হিসেবে তুলে ধরার জন্যই তুলেছিলাম। ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অবশেষে আপনাদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার অবসান ঘটেছে এটা জেনে ভালো লাগলো দিদি। যেহেতু লিখিত পরীক্ষা অন্য কলেজে হবে সেজন্য আপনাদের কলেজে যাওয়া আর হবেনা। তাই সবাই মিলে বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত সময় কাটিয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের মুহূর্তটা নিশ্চয়ই ভালো কেটেছিল। ফটোগ্রাফিতে আপনার ফ্রেন্ডদেরকে আপনার সাথে একসাথে দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু ,আমাদের মুহূর্তটা অনেক ভালো কেটেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার মনে হয় পরিক্ষার ঝামেলা যত তারাতারি শেষ হয় তত তারাতারি মুক্ত। গতকাল আপনাদের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা অবসান ঘটিয়ে বন্ধুরা মিলে সময়টা স্মৃতির পাতায় ধরে রাখার জন্য ভালই আনন্দ করেছেন। লিখিত পরিক্ষার জন্য প্রস্তুুত হয়ে যান। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই, যত তাড়াতাড়ি পরীক্ষার ঝামেলা মিটে যায় ততই ভালো। লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলছে এখন।