স্ন্যাক্স এবং ডেজার্ট এর কয়েকটি রেনডম ফোটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি , কিছু স্নাক্স এবং ডেজার্ট এর ফটোগ্রাফি নিয়ে। আসলেই সকাল থেকে ব্যস্ত থাকার কারণে, আজকে কি পোস্ট করব কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। তারপর ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে এই ফটোগুলো সামনে দেখতে পেলাম। প্রথমে দু' তিনটে ফটো দেখার পর আরও খুঁজতে থাকলাম, এই ধরনের ফটো আর আছে কিনা গ্যালারিতে। তারপর পেয়ে গেলাম আর সেগুলোকে নিয়েই আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম।
চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এই কেকটা আমার কাছে অনেক স্পেশাল। কারণ এটা আমার ছোট্ট স্টুডেন্ট টিনটিনদের বাড়িতে,গত বছর শিক্ষক দিবস পালনের জন্য এনেছিল । আমি তো খুবই খুশি হয়েছিলাম সেদিন। আর খুশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই ম্যাংগো কেকটার স্বাদ অসাধারণ। আমি মূলত খুব কম ধরনের কেক পছন্দ করি ,তার মধ্যে থেকে ম্যাংগো কেক অন্যতম। যাইহোক টিনের হাত ধরে কেকটা কেটেছিলাম ,আর খুব দারুন একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম।
এটি হলো রেড ভেলভেট কেক। যা আমার খুবই প্রিয় একটি কেক। আগেই বললাম, আমি খুব কম ধরনের কেক পছন্দ করি । তার মধ্যে থেকে ম্যাংগো কেক, রেড ভেলভেট কেক , দুটোই আমার খুবই পছন্দের। রেড ভেলভেট কেক, আমি যতবারই খাই মনে হয় কম পড়ে যাচ্ছে ,এতটাই বেশি ভালো লাগে। গতবছর ২৫শে ডিসেম্বর উপলক্ষে বাড়িতে এই কেকটি এনেছিলাম।
এই কেক টার নামটা আমার ঠিক জানা নেই। কারণ এটা আমি প্রথমবারের মতনই খেয়েছিলাম আর এরপরও কখনো খাওয়া হয়নি। এ বছর আমার জন্মদিনের দিন আমার প্রিয় বান্ধবী আমাকে এই কেকটা নিয়ে এসে সারপ্রাইজ দিয়েছিল। আমি তো অনেক বেশি খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। কেকটার স্বাদ খুব ভালো ছিল।আমার তো খুবই ভালো লেগেছিল ।অনেক রকম ফ্লেভার দিয়ে তৈরি ,সেটা আপনারা ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
কলকাতার ভবানীপুরে একটি বিখ্যাত চায়ের দোকান রয়েছে, যেখানকার চা খুবই বিখ্যাত। তবে চা আমি খুব একটা খাই না। যতটা সম্ভব না খেতে পারলেই নয় এমন একটা ব্যাপার। যেহেতু পরিবারের সকলের ইচ্ছে হয়েছিল একবার ওই দোকান থেকে চা খাওয়ার, তাই আমিও গিয়েছিলাম । কিন্তু আমি যেহেতু চা একেবারেই পছন্দ করি না, তাই সেখানকার নিমকিটাও খুব ফেমাস শুনে, আমি নিমকি টাই নিয়েছিলাম। আমার কাছে সত্যিই খেতে অন্যান্য জায়গা তুলনায় অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
এটি হলো ভবানীপুরের সেই বিখ্যাত চা। প্রথমে চা খেতে না চেয়ে , নিমকি টা নিলেও পরবর্তীতে চা টা দেখে খেতে ইচ্ছে করেছিল। চা আমি খুব একটা বেশি পছন্দ না করলেও বলবো এই চা টার মধ্যে সত্যি অন্যরকম একটা ব্যাপার ছিল। এই জন্যই হয়তো লোকজন সন্ধ্যা থেকে ভিড় করে এখানে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে চায়ের জন্য। তাছাড়া মাটির ভাঁড়ে চা খেতে খুবই ভালো লাগছিল।
এই আইসক্রিমটা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে, তবে এটা সচরাচর পাওয়া যায় না। সাধারণত মেলায়
পাওয়া যায়। তবে নামটা যে কি তা আমার ঠিক জানা নেই, হয়তো কোন এক ধরনের কুলপি হবে। একটা মেশিনের মধ্যে রোল অবস্থায় পাকানো থাকে ,আর সেখান থেকে কেটে কেটে দেয়। খেতে খুবই ভালো লাগে এই আইসক্রিম। তবে সব সময় পাওয়া যায় না বলে খাওয়া হয় না।
এটি হলো কুলপি আইসক্রিম। এগুলো অনেক রকম ফ্লেভার এর হয়, তবে এই ফ্লেভারটা প্রথমবারের মতো এই গত রবিবার দিন খেয়েছিলাম। প্রচন্ড গরমের জন্য , প্রথমে এই কুলপি আইসক্রিম খাওয়ার আগেও অন্য একটা আইসক্রিম খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। তবে সেটার ফটো তোলা হয়নি, কারণ ওটা প্রায়ই খাওয়া হয়। তবে এই কুলপিটা প্রথমবারের মতো খেয়ে এত বেশি ভালো লেগেছিল খেতে, যে একটা ফটো না তুলে পারলাম না।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
আজ আর নয় । আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি ।ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন । দেখা হবে পরবর্তীতে, আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
স্ন্যাক্স এবং ডেজার্ট এর এত সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গিয়েছে। এরকম খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে সত্যি অনেক লোভ লেগে যায়। আপনি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে করেছেন। আর বর্ণনা গুলো খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আপনি। এরকম খাবার গুলো খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি ফটোগ্রাফি করলেও খুব সুন্দর হয়। সব মিলিয়ে আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটা খুবই সুন্দর হয়েছে।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যখন আপনার লোভ লেগে গেছে ,তাহলে তাড়াতাড়ি চলে আসুন আপু দুজন মিলে ভাগ করে খেয়ে নেই, হি হি হি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাঝে মাঝে আমারও এরকম হয় যে কি নিয়ে পোস্ট করবো ভেবে পাই না তখন ফোনের গ্যালারী ঘেঁটে ঘেঁটে পুরোনো দিনের ছবি খুঁজে বের করি।তোমার স্ন্যাক্স ও ডেজার্ট এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো খেতে খুবই ইচ্ছে করছে বনু।আর আমি তো দুধ চা লাভার তাই এত্তো সুন্দর লোভনীয় দুধ চা চোখের সামনে দেখে নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।😋
অসাধারণ খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বনু।শুভকামনা রইলো।❤️
চলে আসুন দিদি। বোনু আর দিদি দুজন মিলে একসাথে ভাগ করে খেয়ে নিই। ধন্যবাদ দিদি অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেকগুলো লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
আহা দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না ইচ্ছে করছে এক একটা তুলে খেতে শুরু করি।।
বিশেষ করে কেকটা যা লাগছে না।।
এত মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে সকাল সকাল খুব লোভ হচ্ছে এরকম মজাদার খাবার খেতে।।
দৌঁড়ে চলে আসুন ভাই, কেকের থেকে এক টুকরো করে খেয়ে যান। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটা মজার মন্তব্য করার জন্য।
স্নাক্স আর ডেজার্ট এর অসাধারণ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। এত সুস্বাদু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা খুব ফটোগ্রাফি খুবই নিখুত ভাবে আপনি করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর আর লোভনীয় রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ,আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু ।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দারুন শেয়ার করেছেন আপনি আপু স্নাক্স এখন ডেজার্ট ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলে অনেক বেশি খাবারের লোভ লেগে যায়। কারণ প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ লোভনীয় ছিল বিশেষ করে স্নাক্স ফটোগ্রাফি গুলো। অনেক ধন্যবাদ আপু ফোনের গ্যালারি থেকে দারুন ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার করা স্নাক্স এবং ডেজার্ট এর ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম আপু । ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো খুবই লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করলেন। প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে আমার ইচ্ছে করছে খেতে। স্ন্যাক্স এবং ডেজার্ট এর ফটোগ্রাফি দেখে ইচ্ছে করছে সবগুলো থেকে কিছুটা নিয়ে খেয়ে নিতে। আর লোভনীয় দুধ চা দেখে তো ইচ্ছে করছে এখনই নিয়ে খেয়ে নিতে। আপনার প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
চলে আসুন ভাই, প্রত্যেকটা খাবারের থেকে এক টুকরো করে খেয়ে যান, হি হি হি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।