//নাটক রিভিউ:-লটারি//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-লটারি" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-লটারি আমি প্রতি সপ্তাহে একটা করে নাটক রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। তবে মুশফিকের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আমি বেশির ভাগ মুশফিকের নাটক দেখে থাকি।তো আজকে যে নাটক টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

---

---

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	লটারি
অভিনয়	মুশফিক আর ফারহান,মারিয়া শান্ত ,আরো অনেকে
পরিচালক	রুবেল আনুশ
মুক্তির তারিখ	২৪ শে জুন ২০২৪
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৪৬.৪০

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই নায়ক এবং নায়িকার, দুজনের মধ্যে ধাক্কা খেয়ে দেখা হয়।তবে মুশফিক তাকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে ফেলে।আসলে ভালোবাসার প্রথম প্রথম যে লাভ স্টোরিটা সেটা আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে।তো মুশফিক তাকে এক নজর চেয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলো।এইদিকে নায়িকাও ফিদা হয়ে গেছে। তবে এই নাটকের মধ্যে নায়িকা বোরকা পরে অভিনয় করছে এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।তো নায়িকা লটারি নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছিল।নায়িকা লটারি নিতে গিয়ে তাদের মধ্যে দেখা হয় এবং মুশফিক তাকে পছন্দ করে ফেলে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো পরের দিন থেকে মুশফিক তার পিছে লেগেই থাকে। নায়িকা যেখানে যায় না কেন মুশফিক তার পিছে পিছে ফলো করবেই। তো একদিন নায়িকা নদী পার হতে গিয়ে নৌকার মধ্যে উঠলো। সেই জায়গায়ও মুশফিক উপস্থিত হলো।তবে মুশফিক যে তাকে পছন্দ করেছে সে কিন্তু তাকে দেখেও নাই এবং তাকে চিনেও না। মুশফিক যে তার পিছে পিছে পড়ে রয়েছে। মুশফিক একটা বার তার পলক টা দেখার জন্য পিছে ঘুরঘুর করে।তো মুশফিক কিন্তু তার চোখ দেখেই প্রেমে পড়ছে।তো যখন তাদের নৌকার মধ্যে দেখা হলো,ওই সময়ও মুশফিক তার চেহারাটি দেখতে পারেনি।তবে এইদিকে নায়িকার বিয়ের জন্য একটা প্রস্তাব তার বাসায় নিয়ে এসেছিল একটি ঘটক।এইদিকে তার বিয়ের সব কথা বার্তা চলতেছিলো।তো মুশফিক তাকে একটা চিঠির মাধ্যমে বলছিল যে, তোমার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে এই জায়গায় চলে আসিও।তো পরের দিন নায়িকা সেই সময় এবং সেই জায়গায় উপস্থিত হলো। এবং তাকে সবকিছু ঘটনা খুলে বললো।তারপরে মুশকি বললো যে আমি যতদিন থাকবো তোমাকে নিয়েই থাকবো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তারপর থেকেই মুশফিক এবং নায়িকার প্রথম লাভ স্টোরি শুরু হলো।এখন এই দিকে যে নায়িকার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিলো।এখন যার সাথে বিয়ে হবে সেই লোক এবং ঘটক তাকে ফলো করতেছিলো।কারণ লোকটি চায় যে, আমি যাকে বিয়ে করবো তার মধ্যে যেন কোন খারাপ অভ্যাস না থাকে। তো তাকে ফলো করতে করতে দেখতে পায় যে, নায়িকা এবং মুশফিক তারা দুজনেই আড্ডা দিতেছে।এখন এই দৃশ্যটি দেখার পর তারা আর বিয়ে করতে চায় না।তবে এইদিকে নায়িকার বাসা থেকে অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল বিয়ের জন্য। তো নায়িকা ভাবছিলো আমার লটারি লেগে গেলে আমি গ্রাম থেকে শহরে চলে যাবো। তো পরে যখন নায়িকার খালা জানতে পারে যে বিয়েটি আর হবে না সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাসায় আটকে রাখলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তবে মুশফিক যে তার সাথে প্রেম করে তাকে দেখার জন্য সে অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু দেখতে পারে নাই।এখন যে তাকে বাসায় বন্দি করে রাখা হয়েছিল হঠাৎ করে তার লটারি লেগে যায়।এই লটারি পাওয়ার পর সাথে সাথে নায়িকা বাসা থেকে বেরিয়ে চলে যায়।তবে ওইদিকেও মুশফিক তার চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করতেছে।তো পরে নায়িকা বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, যেই লটারির স্থান দেওয়া হয়েছিল ওই জায়গায় চলে গেলো।তবে লটারি টি ভুয়া ছিল যার কারণে সে কোন কিছু পায়নি।নায়িকা যেখানে থাকবে মুশফিককে তার জায়গার স্থান দেওয়া হয়েছিল।মুশফিক চাকরি পাওয়ার পর সাথে সাথে সেই জায়গায় চলে গেলো।গিয়ে দেখে যে সে কান্না করতেছে।তার পর মুশফিক কে সব কিছু খুলে বললো।মুশফিক তাকে বললো যে,লটারি জিনিস টি ভালো না।আমাদের সৃষ্টি কর্তা যার কপালে যেটা রাখছে সেটাই হবে।তো পরে মুশফিক তাকে তার বাসায় নিয়ে যেতে চাইলো।তো নায়িকা তাকে ডাক দিয়ে তার মুখের বোরখা খুলে তার চেহারা টি দেখালো।মুশফিক তার চেহারা দেখে পুরো মুগ্ধ হয়েছে। তার পর নাটক টি এখানেই শেষ হয়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

তো নাটকটি আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। নাটকের শুরু থেকে লাস্ট পর্যন্ত পুরো কাহিনী অসাধারণ ছিলো।নাটকটি আমার কাছে এক জায়গায় মুগ্ধ করেছে যেটা হচ্ছে, নায়িকা বোরকা পরে নাটকের অভিনয় করেছে।এবং মুশফিক তাকে শুরু থেকে লাস্ট পর্যন্ত দেখার জন্য অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু দেখতে পারে নাই।যখন মুশফিক এবং নায়িকার মিল হলো। তারপর নায়িকা নিজের মন থেকে তার চেহারাটি দেখালো। তবে এটা ঠিক যে লটারি আমাদের জন্য ভালো না।সৃষ্টিকর্তা আমাদের কপালে যেটা রাখছে সেটা হবেই। তাই কখনো আজেবাজে লটারির উপর ভরসা করে কোন কিছু ত্যাগ করা ঠিক না।এখানে একটি লটারির ভরসা করে সে তার খালার বাড়ি থেকে পালিয়ে আসছে।যদি এখানে মুশফিক তাকে মেনে না নিতো তাহলে তার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতো।যাইহোক পরে মুশফিক এবং সেই নায়িকার সঙ্গে তার মিল হয় এবং চেহারাটি দেখতে পায় এখানেই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।তো আপনারা যারা নাটকটি দেখেন নাই আশা করি দেখে নিবেন খুব ভালো লাগবে। তো আজকের মত আমি এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/১০