||লাইফস্টাইল:-হঠাৎ করে নাম করা মান্নান বিরিয়ানি হাউজ হোটেলে খাওয়া দাওয়া||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
|---|
 |
|---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে চলে আসলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে লাইফস্টাইল:-হঠাৎ করে নাম করা মান্নান হোটেলে খাওয়া দাওয়া আমরা বাঙালি জাতীয়, আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ সবাই খাওয়া পছন্দ করে।আমি যে বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে আসলাম সেটা আসলে কয়েক দিনে নাম করা হোটেল হয়ে গেছে।এই বিষয় নিয়ে অনেক মানুষ কনফিউশান হয়েছে, আসলে কেমন করে এই হোটেল হটাৎ করে এতো মার্কেট পেয়ে গেলো।তো বন্ধুরা দেরি না করে তাহলে আসল কথায় যাওয়া যাক।
 |
|---|
আজকে থেকে প্রায় ৪ মাস আগের এগুলো ছবি সংগ্রহ করা,আসলে আমি নিজেও জানি না এগুলো ছবি আমার ফোনে রয়েছে। আজকে হঠাৎ করে ভাবতেছি যে কি নিয়ে পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।তো দেখতে দেখতে এগুলো ছবি আমার চোখে পড়লো।তো সেই বিষয় নিয়ে পোস্ট লেখা শুরু করলাম।যদিও ছবি গুলো অনেক আগের কিন্তু ছবি গুলো দেখেই সাথে সাথে সেই অনুভূতি মনে চলে আসলো।তাই সঙ্গে সঙ্গে আমিও পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। আমাদের বাসা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এই মান্নান হোটেলে অবস্থিত,তবে আমরা মেন উদ্দেশ্য করে এখানে খাওয়া দাওয়া করতে আসি নাই।
 |
|---|
আমরা ছিলাম দুইজন, আর সেই সময় ছিল আমার ফোনের সেলফি টা নষ্ট। তো আমাদের প্রধান কাজ ছিল দিনাজপুর শহরে, আর দিনাজপুর শহরে যেতে হলে এই মান্নান হোটেলে পার হয়ে যেতে হয়।তো আমরা যাওয়ার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে গেছিলাম, আসার সময় এই হোটেলের সামনে দিয়ে আসতে হয়েছে। তো আসার সময় দেখি দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে এখানে খাওয়া দাওয়া করতেছে,আমরাও জানতাম যে এখানে হাঁসের মাংসের জন্য বিখ্যাত। এখানকার হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে।
 |
|---|
আর মানুষ শুধু আসে তাদের হাঁসের মাংসের জন্যই।তো আমরা আসার সময় দেখি অনেক মানুষ যাওয়া আসা করতেছে এই হোটেল থেকে, তো আমরাও ভাবলাম যে আজকে এখানেই হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খেয়ে বাসায় যাবো।কথা শেষ না হতেই আমরা সেই হোটেলে চলে গেলাম, হোটেলের পরিবেশ টাও বেশ সুন্দর ছিল। তবে হোটেল টা যদি কোন শহরে হয়তো তাহলে আরো বেশি মার্কেট পেতো।হোটেল টা হচ্ছে মেন রোডের পাশেই, এই জন্য মানুষ চলাফেরা করার সময় সেই হোটেলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে।তাদের হোটেলে শুধু হাঁসের মাংসই বেশি চলে,অন্য আইটেম ছিল কিন্তু তারা সেগুলো এলাও করে না।
 |
|---|
তো আমরা গিয়ে সাথে সাথে অর্ডার করলাম।তারাও খুব দ্রুত আমাদেরকে হাঁসের মাংস দিয়ে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করলো।তো হাঁসের মাংস গুলো যে এতো টেস্ট ছিল আপনাদের কে এখানে বলে বুঝাতে পারবো না।আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে হাঁসের মাংস গুলো, মনে হচ্ছে হাঁসের মাংস এটা না, অন্য কিছু দিয়ে খাচ্ছি। তো খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর আমরা বাইরে চলে আসলাম। আমাদের কাছে হাঁসের মাংসের প্লেট নিয়েছিল ১৫০ টাকা করে,যেহেতু এটা নতুন আর এমনিতেই গ্রাম অঞ্চলের দিকে পরতেছে তাই মনে হয় এমন দাম।যাইহোক আমার কাছে হাঁসের মাংস গুলো দারুণ লেগেছে, সময় পেলে আবার সেই মান্নান হোটেলে খেতে যাবো।তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
| ডিভাইস | Tecno camon 20 |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @polash123 |
| লোকেশন | দিনাজপুর |
 |
|---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
 |
|---|
| আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
|---|
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বিরানি খেতে অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করে। ফরিদপুরে মান্নান হোটেলে যে হাঁসের মাংস অনেক ভালো পাওয়া যায় সেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। হাঁসের মাংস আমার অনেক পছন্দের। যদি কখনো ফরিদপুরে যাই তাহলে অবশ্যই মান্নান হোটেলে যাব। ১৫০ টাকায় ভালো করে খাওয়া যাবে। যদি ও আপনার ছবিগুলো তোলার চার মাস আগে এখন হয়তো দাম আরো বেড়ে যেতে পারে। তাও হাঁসের মাংস বলে কথা দাম বেশি হলে কোন সমস্যা নেই যেহেতু পছন্দের খাবার। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমারো হাঁসের মাংস অনেক পছন্দের আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে যাই। আর সে সব জায়গায় যাওয়ার পরে আমরা কিছু ছবি তুলে থাকে। অনেক সময় এগুলো মনে থাকে না ঠিক এমনই ঘটনা আপনার সাথে ঘটেছে। যাক শেষ পর্যন্ত বিরানি হাউজ হোটেলে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এখন তো অনলাইনের মাধ্যমে গ্রামের অনেক হোটেল গুলো বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর খাবারের মান ভালো হলে দিনদিন জনপ্রিয়তা বাড়বেই। যাইহোক হাঁসের মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। শীতের দিন হাঁসের মাংস দিয়ে চিতই পিঠা খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া ভাতের সাথে খেতেও দারুণ লাগে। আপনারা মান্নান হোটেলে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই হঠাৎ বানান এভাবে হবে। আশা করি ঠিক করে নিবেন।
জ্বি সংশোধন করছি,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মান্নান হোটেল এন্ড বিরিয়ানী হাউজে গিয়ে হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খেয়ে দারুন অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আসলে কিছু কিছু হোটেল আছে যারা দুই একটা জিনিষের জন্যই বিখ্যাত। এই যেমন মান্নান হোটেল হাঁসের মাংসের জন্য বিখ্যাত। দুরদুরান্ত থেকে মানুষ হাঁসের মাংস খেতেই এখানে আসে। যায়হোক জায়গা অনুযায়ী দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ।
আমিও তেমন দাম জানি না বলে এমন দাম নিয়েছে। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।