//আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ২০//
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ২০। আমি আপনাদের মাঝে ১৯ টি পর্ব শেয়ার করছি।এবং আমি চায় বাকি পর্ব গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার।আমার বাংলা ব্লগে আমার নিজের কাহিনি বা অনুভূতি শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু ব্লগ শেয়ার করার।এখানে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে তখন খুবই ভালো লাগে। যাইহোক প্রতি টা মানুষের পিছনে কিছু না কিছু কাহিনি রয়েছে। আর এই কাহিনি সবার সামনে বলা যায় না।আমি আপনাদের মাঝে সব গুলো বিষয় শেয়ার করি।এবং আগামী দিনও শেয়ার করার চেষ্টা করবো।তো বেশ কিছু দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল। মানে বৃষ্টি তো আর নয় শুধু আকাশ খারাপ করা।একটু পর পরেই বৃষ্টি হচ্ছিল। যাইহোক আজকের আবহাওয়া টা বেশ সুন্দর, কারণ হালকা রোদ আর বাতাস।আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আজকের আবহাওয়া টা।তো বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি আজকে ১৯ তম পর্ব শেষ করে ২০ তম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার।তো আমার এই পর্ব গুলো যারা পড়ছে তারা খুব সহজেই সব কিছু বুঝতে পারবে।তো আমি এর আগে বলছিলাম যে আমার বাবাকে সব পরিক্ষা করার পর বাসায় নিয়ে আসছিলাম। আসলে পরিক্ষা করার পর রিপোর্ট সেইরকম খারাপ ছিল না।এমনকি ডাক্তার আবার তাকে পরিক্ষা করার জন্য বলে।কিন্তু আমার বাবার যে সমস্যা সেটা ধরা পরেনি।তবে কিছু কিছু নার্স এর কাছে শুনছি যে এটা আমার বাবার বয়সের কারণে হয়েছে। আমার বাবার সমস্যা ছিল পায়ে, ঠিক মত হাঁটতে পারতো না। হাঁটলেই পা ব্যথা করে,এই জন্য নার্স বলে এই রোগীকে নিয়ে বাসায় যান।বাসায় গেলে হয়তো ভালো হবে,এবং ভালো কিছু খাইতে পারবে।তো আমরা তার পরেও কিছু দিন সেখানে ছিলাম। পরে দেখা যাচ্ছে আমার বাবা কাউকে চিনতে পারতেছে না। এই দৃশ্য দেখার পর আমরা নিজেকে সামলাতে পারলাম না।
এমনকি আমার বাবা খেতে চাচ্ছে না। ২-৩ দিন না খেয়ে ছিল, শুধু পানি পান করছিল। যদি তাকে খাইতে বলি সে খাই না। আর এইরকম দৃশ্য দেখার পর আমরা কি থাকতে পারি বলেন,,,? তার পরের দিন বাবা হঠাৎ মেন্টালী টর্চার শুরু করলো।বাবার কাছে যে যাচ্ছে তাকেই বকা দিচ্ছে।যখন বাবার এমন অবস্থা সাথে সাথে বাসায় ফোন দিয়ে সবাইকে আসতে বললাম। তার পর তারা সবাই চলে আসলো।এখন বাবার সামনে যে যাচ্ছে তাকেই বলে কে তুমি,? এগুলো দেখার পর আমার চোখ দিয়ে ঝরঝরে পানি বের হলো।আমার বড় ভাই যখন বলে বাবা আমি, তার পরেও তাকে চিনে না। এমনকি আমার বাবার আদরের সন্তান ছিলাম আমি,আমাকেও চিনে না। এগুলো দেখার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে কান্না করে দিলাম। তার পর ভাই এবং আরো আত্মীয় স্বজন ছিল তাদেরকে বাসায় যেতে বললাম। আমার বাবাকে দেখি সে সব সময় ঘুমিয়ে থাকে।এমনকি ঘুম পাড়তে পাড়তে শরীর দূর্বল করে ফেলছে।শরীর দিয়ে একেবারে হাড্ডি দেখা যাচ্ছে। তাই পরে আমরা এগুলো দেখার পর বাবাকে বাসায় নিয়ে আসতে প্লান করি।এখন যেহেতু রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে তারা তো চাইলেই রিলিজ দিবে না। কারণ তাদের বড় স্যারের পারমিশন ছাড়া তারা কিছু করতে পারবে না।
তো আমরা দুইজন, আমি এবং আমার বন্ধু। দুইজনে একটা বড় স্যারের কাছে গেলাম রিলিজ নিতে।সে কিন্তু রোগীকে ভালো না দেখা পর্যন্ত রিলিজ দিবে না। এখন আমরা আমার বাবার পরিক্ষার রিপোর্ট দেখালাম, সে রিপোর্ট দেখে বলে এখন এই রোগীর রিলিজ হবে না। তার পর আমরা অনেক ঝামেলায় পরে গেলাম। এখন এইদিকে বাবা বলে আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও,এখানে আর ভালো লাগতেছে না।এর পর আমি এবং আমার বন্ধু ও আমার ভাবি তিনজনে ডিউটি করা নার্স এর কাছে গেলাম। তাদেরকে বললাম যে এইরকম কাহিনি। আমাদের রোগী এখানে থাকে চাচ্ছে না। আর রোগীকে এখানে রাখলে সে আরো দিন দিন তার শরীর পরে যাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে বাসায় নিয়ে যাবো।কিন্তু তারাও বলে যে বড় স্যার রিলিজ দিলে নিতে পারেন। ওখানে আরেকটা ম্যাডাম ছিল সে বলে তোমরা নিতে পারো কিন্তু সর্ত আছে।সেটা হচ্ছে আমাদের এখানে সাক্ষর দিয়ে আপনারা রোগী নিতে পারেন।কারণ তারা তখন সেই রোগীর কোনো দায়ভার নিবে না। তারা চাচ্ছে যে বাসায় গিয়ে কিছু হলে আমরা সেটার কোনো দায় থাকবো না।
আমরা তাদের সর্ত অনুযায়ী সাক্ষর দিয়ে রিলিজ নিলাম। কারণ বাবা এখানে থাকলে হয়তো ভালো হত কিন্তু বাসায় যাওয়া জরুরি ছিল। বাসায় না গেলে হয়তো তারা শুধু দিন দিন পরিক্ষা দিয়েই যেতো।আর আমরা পরিক্ষা করতাম আর টাকা নষ্ট করতাম।কারন আমরা বুঝতে পারছি যে বাবার কোন সমস্যা নেই, জাস্ট বয়সের কারনে পা ব্যথা করে।এর পর আমরা বাবাকে নিয়ে বাসায় রওনা দিলাম। ওখানে যা কিছু ছিল সব ঠিকঠাক করে এবং ভর্তির টাকা দিয়ে চলে আসলাম। ওখানে বাবাকে ব্যথা কমানোর জন্য শুধু ইনজেকশন দিতো।আমি মনে করি ইনজেকশন দিয়ে আমার বাবার শরীর নষ্টর পথে গেছিলো। যাইহোক আল্লাহ তায়ালা যা করে বান্দার মঙ্গলের জন্য করে।আমরা সবাই সেফটি বাসায় পৌঁছে যায়। তার পর বাসায় এসে কি হলো এটা পরের পর্বে শেয়ার করবো।আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
https://x.com/Polashislam681/status/1809466080408031288?t=5POiv7vxbe2N1IcCxPD-3A&s=19