//নাটক রিভিউ:-তোমার অপেক্ষায়//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-তোমার অপেক্ষায়" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম।আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-তোমার অপেক্ষায় আমি প্রতি সপ্তাহে একটা করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে মুশফিক আর ফারহানের নাটক অনেক ভালো লাগে। আমি যে নাটক টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	তোমার অপেক্ষায়
অভিনয়	মুশফিক আর ফারহান,আইশা খান,আরো অনেকে
পরিচালক	প্রীতি দত্ত
মুক্তির তারিখ	২৩ শে আগষ্ট ২০২৪
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৫১.৩৯

---

---

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই মুশফিক এবং নাটকের নায়িকার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।বিয়েটি কিন্তু খুব বড় করে হয়েছিল।তো বিয়ে করার পর তারা বাসায় খুব সুন্দর ভাবে সংসারের দিকে ফোকাস দিল।আর আপনারা তো সবাই জানেন যে নতুন বিয়ে করা বউকে সবাই দেখতে আসে। ঠিক এখানেও যখন আসে বউ নিয়ে আসে অনেক লোকজন তার বউকে দেখতে আসছিল। তো এইভাবে তাদের বিয়ের পাঁচ ছয় দিন চলে গেল।মুশফিক বাইরে একটি জব করতেছিলো।তো যখন তার ছুটি শেষ হয়ে গেল সে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলো।এখন তাদের নতুন বিয়ে হয়েছে এইজন্য তার বউ যেতে দিতে চাচ্ছিল না।তারপরেও মুশফিক অনেক কষ্ট করে এবং বুঝে বুঝে সে চলে গেলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো মুশফিক যাওয়ার পরে তার যে কলিগ গুলো ছিল। এবং তার দলে যেগুলো কাজ করত তারা সবাই তাকে অভিনন্দন জানালো।তো তারা বলতেছে আপনি নতুন বউ রেখে কেন অফিসে আসছেন। অনেক ধরনের কথা বার্তা তারা বললো।এবং তাদের কথা শুনে মুশফিকের মনটা ভেঙ্গে গেল।পরে মুশফিক ভেবে দেখতেছে অফিসেও তেমন কোন কাজ নেই। এইজন্য তার বসের কাছে গিয়ে ছুটির আবেদন করলো।তো বস ছুটি দিতে চাইলো। কিন্তু তাকে বলল কোরবানির আগে কোন ছুটি দেওয়া হবে না আর।এখন মুশফিক তার বসের কথায় রাজি হয়ে বাসায় আসলো।তবে সে যে বাসায় আসবে তার বাসার লোকজন কেউ জানতো না। এবং তার বউ ও এ বিষয়ে জানতো না।সে চাচ্ছিল সবাইকে সারপ্রাইজ দিবো এইজন্য কাউকে না বলে বাসায় চলে আসছে।এখন চুপি চুপি বাসায় ঢুকতে গিয়ে তার বাবা দেখতে পায়। তার বাবার চোর মনে করে তাকে জড়িয়ে ধরলো।এবং চোর চোর বলে বাড়ির লোকজন সবাইকে ডাক দিলো।তো পরে দেখে যে এটা কোন চোর নয়।পরে বাসায় এসে সবার সঙ্গে ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করলো।এবং তার বউয়ের সঙ্গে খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো মুশফিা বাসায় এসে তার স্ত্রীর সঙ্গে খুব সুন্দর একটি ভালোবাসা ও মহাব্বত শুরু হয়ে গেলো।এখন মুশফিকের বাসায় তার একটি ছোট বোন ছিল। তো মুশফিকের বাবার বন্ধুর ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দিতে চায়। এবং তারা প্রস্তাব নিয়ে তাদের বাসায় চলে আসলো।এখন এই প্রস্তাবে কেউ কোনো অমত জানালো না সবাই রাজি হয়ে গেলো।এখন সবকিছু বিয়ের কথা বার্তা ঠিক হওয়ার পরে তার বাবা টেনশনে পড়ে গেলো।তার বাবা বলে কিছুদিন আগে তোর বিয়ে দিলাম। এখন এর বিয়ে দিবো এত টাকা আমি কই পাবো।তো মুশফিক তার বাবাকে বললো টাকার টেনশন তুমি করিও না।আমি টাকার ব্যবস্থা করবো।তো পরে মুশফিকের যখন ছুটি শেষ হয়ে গেল তখন সে অফিসে চলে আসলো।এখন ঠিক কোরবানির ছুটি হওয়ার আগের দিনে সে মার্কেটে মার্কেট করতে গেলো।মুশফিক সবার জন্য ভালো ভালো কিছু মার্কেট করে নিলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো ঠিক ছুটির দিন মুশফিক এবং তার কলিগের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাসা আসার জন্য প্রস্তুতি নিলো।তবে মুশফিকের বউ এদিকে কিন্তু প্রেগনেন্ট ছিলো।এই বিষয়টি মুশফিক কে বলতে চাইছিল কিন্তু সে চাচ্ছিল সরাসরি তাকে এ বিষয়টি বলবো।সে দেখতে চাচ্ছিল তার আনন্দের মুখটি কেমন হয়।তো তারা আসার সময় তার কলিগের একটি ফোন আসলো । এখন মুশফিক তার পেছনে বসে থেকে ফোনটি বের করে তার কানে লাগিয়ে দিলো।ঠিক কথা বলতে বলতে তার মোটরসাইকেলের সামনে একটি ট্রাক চলে আসলো।এখন তারা গাড়িটি ঠিকমতো কন্ট্রোল না করে অ্যাক্সিডেন্ট করে ফেললো।এখন এই বিষয়টি শোনার পর বাড়ির সবাই কান্নাকাটি শুরু করলো।মুশফিক তার বাবা হওয়ার স্বপ্নটা পূরণ করতে পারলো না।এবং তার বউ তাকে খুশির সংবাদটি ঠিকমতো জানাতে পারলো না।তো পরে নাটকটি এখানেই শেষ হয়ে যায়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

আসলে মুশফিকের অভিনয় এবং তার প্রতিটা নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এই নাটকটি ও শুরুতে এবং মাঝখানে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।শেষের দিকে যে কাহিনীটা করছে এটা আমার কাছে খুব খারাপ লেগেছে।আসলে সব বাবা এবং সব মায়ের আশা থাকে তারা সন্তানের বাবা মা হবে। এইদিকে মুশফিক তার বাবা হতে পারল না এবং বাবা হওয়ার সুসংবাদটি তাকে দিতে পারল না।আসলে এই বিষয়টি খুব দুঃখজনক।যাই হোক নাটকটি দেখে খুব ভালো লেগেছে। আপনারা যারা এখনো নাটকটি দেখেন নাই দেখে নিবেন।আশা করছি সবার কাছে নাটকটি ভালো লাগবে। তো আজকের মত আমি এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/৯