//নাটক রিভিউ:-অবুঝ পাখি//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-অবুঝ পাখি" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-অবুঝ পাখি আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটা করে নাটক রিভিউ শেয়ার করি।করার বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে মুশফিকের নাটক সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার। ইয়াশ রোহানের নাটক গুলোও অসাধারণ হয়।তো বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	অবুঝ পাখি
অভিনয়	ইয়াশ রোহান,নাজনীন নিহা,আরো অনেকে
পরিচালক	রুবেল হাসান
মুক্তির তারিখ	২৯ শে আগস্ট ২০২৪
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৫৯:৫৬

---

---

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই নায়ক এবং নায়িকার খুব সুন্দর একটা সম্পর্ক থাকে।তবে এখানে নায়ক তার কলেজের সভাপতি হওয়ার জন্য নির্বাচন আয়োজন করেন।এইদিকে যখন নির্বাচনের কাজে কর্মে ব্যস্ত তখন তার প্রিয় মানুষটিকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেনা।আর প্রতিটা মানুষের প্রতিটা প্রিয় মানুষ একই কথা বলে যে,আমাকে নিয়ে তোমার কোন টেনশন নাই তুমি তোমার কাজে ব্যস্ত থাকো। আসলে এখানে মেয়েরা ছেলেদের ফিলিংসটা বুঝতে পারে না। তারা সব সময় নিজের কেরিয়ার নিয়ে ভাবে না,তারা নিজের প্রিয় মানুষটির জন্যও সব সময় চিন্তা করে।নায়ক যখন তাকে ঠিকমতো সময় দিতে পারতেছে না ঠিক সময় নায়িকা তার কাছে চলে আসলো।সেখানে এসে দেখে তার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতেছে এবং অনেক কথাবার্তা সেখানে চলতেছে। সেখানে এসে নায়িকা তাকে অনেক রাগারাগি করে চলে গেলো।ঠিক পরের দিন নায়িকা তার নিজের হাতে রান্না করে তার প্রিয় মানুষটির জন্য ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে।তাদের সুন্দর একটি রিলেশন চালু হয়।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এইদিকে নায়ক তার ক্যাম্পাসে খুব সুন্দর ভাবে নির্বাচনের আয়োজনের কাজ কর্ম শুরু করে দিলো।ঠিক নির্বাচনের আগে তার বিপরীত দল চলে আসলো।তারপর দুই দলকে ক্যাম্পাসে ডাকা হলো এবং সেখানে অনেক ধরনের শর্ত তাদেরকে বলা হলো। সেখানে সবথেকে বড় একটি শর্ত ছিল যে নির্বাচনের আগে কোন বিয়ে বা কোন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না।এখানে এই কথা শুনে নায়ক কিন্তু খুবই টেনশনে পড়ে গেলো।কারণ তার আগেই নায়িকা ফোন দিয়ে বলছিল যে দ,বিয়ের জন্য আমার বাবা পেশার দিতেছে তুমি বাসায় আসো বাবা তোমাকে ডাকছে।এখন এগুলো শর্ত শোনার পর নায়ক কোনো ভাবেই তার বাসায় যেতে পারলো না। বাসায় না গিয়ে পরের দিন নায়িকা তার কাছে আসলো।সেখানে এসে নায়িকা তাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বার্তা বললো।কিন্তু এখানে নায়কের কিছু করা ছিল না। কারণ সে চাচ্ছে আমি নির্বাচনের পরে বিয়ে করবো।এখন এখানে নায়িকা মানতেছে না, বলে যে বিয়ে করে তুমি নির্বাচন করতে যাও।যখন সবকিছু কথা বার্তা হলো।নায়ক সাফসাফ বলে দিলো আমি নির্বাচনের আগে কোন বিয়ে করতে পারব না।সেই সব কথা শুনে নায়িকা সঙ্গে সঙ্গে কান্না করতে করতে বাসায় গেলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এই ভাবে তাড়াতাড়ি রিলেশনটি এই পর্যায়ে ভেঙ্গে যায়।কিন্তু প্রত্যেকটা দিন নায়ক তাকে খুব মিস করে।এখন সে ক্যাম্পাসের সভাপতি হওয়া বাদ দিতে পারতেছেন এবং তাকেও বাদ দিতে পারতেছে না।কিন্তু সে চাচ্ছে আমি সভাপতি হয় এবং সভাপতি হয়ে তাকে বিয়ে করি।কিন্তু সে কোন ভাবেই বুঝে না,তবে এখানে নায়িকার বাবা তাকে বেশি পেশারে ফেলে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে নায়িকা অন্য ছেলের সাথে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়।এখন এইদিকে নায়ক তার বিয়ের কথা শুনে খুব আফসেট হয়ে গেলো।সে চাচ্ছে এতদিনকার বছরের রিলেশন এত তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যাবে এটা হবে না। এখন সে যে সভাপতি হতে চাইছিলো। সেখানে তার বন্ধুকে সভাপতি হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে দিলো।তার পর সঙ্গে সঙ্গে নায়ক তার বাসায় এসে তাকে ভালোবাসার কথা বলে।এবং এগুলো শোনার পর তার বাবা মা তার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়। এখানে ঠিক বিয়ের দিন,এবং কবুল বলার আগে নায়কের বন্ধুকে বিপরীত দল এসে তাকে মেরে ফেলে।এই খবর শোনার পর সাথে সাথে তার কাছে গেলো।গিয়ে নায়ক আর নায়িকার কথা শুনে না।সেখানে সে কঠোর হয়ে বললো আমি সভাপতি হয়ে তার পর বিয়ে করবো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো তার বন্ধুকে মারার পর তারা কোন ভাবেই বিপরীত দলকে হামলা করেনি।কারণ সে চাছে সুষ্ঠভাবে নির্বাচনটি হয়ে যাক।তো পড়ে নির্বাচনের ফলাফলের পরে দেখা যাচ্ছে নায়ক সেই নির্বাচনের বিজয়ী হয়।বিজয়ী হওয়ার পর ক্যাম্পাসের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক খুশি হন এবং তাকে মোবারক বাদ জানান।ঠিক নায়কের গলায় মালা দেওয়ার আগে নায়িকা সেখানে উপস্থিত হলো।তারপর নায়ক তার কাছে একটু এগিয়ে গেলো।ঠিক নায়ক যেমন তার নির্বাচন ছেড়ে তার কাছে গিয়েছিল এখানেও সেম পজিশনে নায়িকা তার বিয়ে ছেড়ে তার কাছে চলে আসলো। আসার পর নায়িকা তাকে বললো আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না।এগুলো কথা শোনার পর সাথে সাথে সে খুশি হলো।এবং সেই সময় আবার বিপরীত দল এসে নায়িকাকে মেরে ফেলে। মেরে ফেলার পর নাটক টি এখানেই শেষ হয়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

এই নাটক টি দেখতে খুবই ভালো ছিলো।তবে শেষের দিকে এমন সিন দেখবো আশা করি নাই। কিন্তু শুরুর দিকে নাটক টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কারণ তাদের দুজনের অভিনয় অসাধারণ ছিলো।আমি মাঝে মধ্যে ইয়াশ ও নাজনীন নিহার নাটক দেখে থাকি। আপনারা যারা এখনো এই নাটকটি দেখেন নাই। আপনারা সবাই দেখে নিবেন,আশা করছি সবার কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/৮