//আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ২৩//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ২৩" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

Source

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ২৩ আমি ইতি মধ্যে আপনাদের মাঝে ২২ টি পর্ব শেয়ার করছি।আশা করছি আজকের পর্ব টি পড়ে খুবই ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

আমি এর আগের পোস্টে আপনাদেরকে বলছিলাম যে,হঠাৎ করে বাবার ব্যাথা ওঠার কারণে আমি পার্বতীপুর থেকে ইনজেকশন নিয়ে আসি।তো সেই ইনজেকশন গুলো আমি বাসায় এসে আমার ভাইয়ের দ্বারায় করে নিলাম।তো আপনার হয়তো সবাই জানেন যে, আমি ছোট থেকে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। এখন আমি এবং আমার বাবা আমরা কোথায় খাবো না খাবো সেগুলো নিয়ে কিন্তু আমাদের অনেক টেনশন।আর ওই সময় আমার বাবা অনেক অসুস্থ ছিলো।তো আমার বাসা থেকে একটু দূরে দুই নাম্বার ও তিন নাম্বার ভাইয়ের বাসা।তারা আমাদের বাসা থেকে অন্য বাসায় থাকে। তো আমার তিন নাম্বার ভাই সে সব সময় আমার বাবাকে খাওয়ায়তো।তো এখন বাবা যেহেতু অসুস্থ এজন্য বাবা তার বাসায় গিয়ে খাইতে পারে না। যখন বাবা সুস্থ ছিল যখন খাওয়ার ইচ্ছা তখনেই বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতো।কিন্তু এখন যেহেতু অসুস্থ সেটা তো আর বাসায় গিয়ে খেয়ে আসা সম্ভব না। তো এই ভাবে অনেক কয়দিন ধরে আমার তিন নম্বর ভাই বাসায় এসে বাবার জন্য খাবার দিয়ে যেতো।

তো এইভাবে ১০-১৫ দিন পর হঠাৎ করে তারা খাবার দেরি করে দেয়। মানে সময় মত আমার বাবা খাইতে পারে না। আর আমি তো বড় ভাইয়ের বাসায় খাইতাম সময় মতো।এখন চোখের সামনে বাবা যদি সময় মত খেতে না পারে তখন দেখতে কেমন লাগে আপনারাই বলেন,?হয়তো আমাদের এিরকম কিছু সমাজ রয়েছে যারা শুধু নিজের চিন্তা ভাবনা করে। আসলে একটা পরিবারে যদি কেউ অসুস্থ থাকে তাদের সবার উচিত।সময় মতো খাওয়ার ব্যবস্থা করা এবং খেয়াল রাখা।আসলে আমি এখানে মনে করি যে আমার পুরো ভাই তাদের বউদের কোথায় উঠবস করে।এইরকম অনেক পরিবার রয়েছে যারা শুধু বউয়ের কথায় কাজ করে।আসলে যারা বউয়ের কথা মত কাজ করে এবং নিজের বাবা মাকে ভুলে যায় তারা কখনো সন্তান না।হয়তো এই কথাটা শুনতে খারাপ লাগে কিন্তু বাস্তবতা এরকমই।যে বাবা-মা ছোট থেকে তাকে বড় করলো এবং লালন পালন করলো।এখন শেষ বয়সে এসে তার সন্তান যদি থাকে মনে বা খেয়াল না রাখে তাহলে এই দুঃখ প্রকাশ করার মতো না।

তাই আমাদের সবার উচিত যে,বাবা মা যে অবস্থায় থাকুক না কেনো তার সব সময় খেয়াল রাখা।আমরা যদি বাবা মাকে ফেলে নিজেই সুখে থাকতে চাই। তাহলে কখনোই আমরা সুখে থাকতে পারবো না। কারণ আজ হোক বা কাল হোক এক সময় আপনি একই অবস্থায় সম্মুখীন হবেন।হয়তো আমি এই কথাটা বানিয়ে বলতেছি তবে এই কথা আমার বানানো না।বাবা মার সাথে আমরা যেমন আচরণ করবো ব্যবহার করবো ঠিক আমরাও একদিন সেই ব্যবহারের ফল পাবো।এখন আমরা যদি বাবা মার সাথে ভালো আচরণ করি। তাহলে ঠিক আমরাও ছেলেদের কাছে ভালো ব্যবহার পাবো।তাই কখনো কারো সঙ্গে হিংসা বা খারাপ আচরণ করা আমাদের উচিত না।তো আমার বাবা অসুস্থ হয়ে আমি আমার ভাইদের কে ভালো করে চিনে ফেলছি।আমার বাবা যতদিন অসুস্থ ছিল আমি সব সময় তার পাশে ছিলাম। এবং আমি সব সময় চেষ্টা করতাম ভালো কিছু করার।আমার বাবা আমাকে অনেক ধরনের কথা বলছিলো।যেটা তার বুকের মধ্যে চাপিয়ে রাখা হয়েছিলো।এখন একটা চাপিয়ে রাখা কথা যদি আমাকে বলে তাহলে তো বুঝতেই পারছেন কতটা কষ্টের কথা।

এখন আমি যেহেতু দেখতেছি যে বাবার সময় মত খাওয়া দাওয়া আসতেছে না। সঙ্গে সঙ্গে ভাইদের বাসায় চলে গেলাম আমি। সেখানে গিয়ে দেখি যে ভাত রান্না হয়েছে কিন্তু এখনো বাবার জন্য ব্যবস্থা করে নাই। যখনই আমি বাসায় পৌঁছালাম তখনই গিয়ে বললাম যে, বাবার জন্য ভাত এখনো নিয়ে আসেন নাই কেন,,? সঙ্গে সঙ্গে উত্তরে বলে যে ভাত দিয়ে আসার মানুষ নাই। কাজ কর্ম ফেলে কেমন করে দিয়ে আসবে।এই কথাটা শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো।তখনই আমি বুঝে গেলাম যে আমার বাবার জন্য কারো কোন মাথা ব্যথা করে না।তারা চায়নিজেদের স্বার্থের জন্য কাজ করি।বাবা যখন সুস্থ ছিল তাদের জন্য অনেক কিছু করছে।আর আজ সামান্য ভাতের জন্য বাবাকে অনেক ভোগান্তি ভোগ করতে হচ্ছে। যাইহোক এখানে আরো কিছু কাহিনি রয়েছে যেগুলো আমি পরের পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।তবে আমাদের সবার উচিত বাবা মার সাথে কোনদিন বা কোন সময়ে খারাপ ব্যবহার না করা।তো আজকের মতো আমি এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

---

ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ

ডিভাইস	Tecno camon 20
ফটোগ্রাফার	@polash123
লোকেশন	দিনাজপুর

---

🌸আমার পরিচয়🌸

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

You can also vote for @bangla.witness witnesses

Vote for @bangla.witness