//নাটক রিভিউ:-ভালোবাসা এমনই//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-ভালোবাসা এমনই" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-ভালোবাসা এমনই আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করি। বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে মুশফিক আর ফারহানের নাটক খুবই ভালো লাগে। আজকে যে নাটক টি শেয়ার করবো সেটাও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কারণ মাঝে মাঝে জাহের আলভীর নাটক গুলো দেখা হয়।যাইহোক আপনাদের কাছেও এই নাটকটি অনেক ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	ভালোবাসা এমনই
অভিনয়	জাহের আলভী, ইফফাত আরা তিথি,আরো অনেকে
পরিচালক	ফায়জুল কবির রথী
মুক্তির তারিখ	১ জুলাই ২০২৪
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৫৩.৪৯

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই নায়কের বড় একটা গ্যারেজ রয়েছে।সেখানে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি সার্ভিসিং করা হয়। তো একদিন ঠিক নায়িকার তার গাড়ি নষ্ট হওয়াতে সে সেখানে সার্ভিসিং করানোর জন্য নিয়ে আসলো। গাড়ি সার্ভিসিং করতে এসে নায়ক কে দেখে তার অনেক ভালো লেগে যায়। সে যতগুলো কাজ করে থাকে এবং নায়িকা তাকে এক নজরে দেখে থাকে। এইভাবে প্রায় দিন সে তার গ্যারেজের সামনে এসে গাড়ি নষ্ট করে। একদিন তার দুইটা বান্ধবীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলো।ঠিক তার গ্যারেজের সামনে এসে গাড়িটি নষ্ট হয়ে যায়। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে তোর গাড়ি সবসময় এখানে এসে কেন নষ্ট হয়,,? সে উত্তরা বলে যে, আমি যাকে ভালোবাসি তার গ্যারেজের সামনে তো গাড়ি নষ্ট হবে এটা স্বাভাবিক। তার বান্ধবীরা এই কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো।তারপর ঠিক আগের মত করে গাড়িটি তার গ্যারেজে সার্ভিসিং করানোর জন্য নিয়ে গেলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তবে এখানে নায়ক কিন্তু শুধু একটি গ্যারেজ নিয়ে তার সংসার চালিয়ে যায়। আর ওই দিকে নায়িকা কিন্তু অনেক বড় পরিবারের মেয়ে। নায়ক যে ইনকাম করে মাসে, সে তার একদিনের খরচ তার বাবা তার হাতে দেয়।তো যাই হোক পরে নায়ক কে সে কোনভাবেই ইমপ্রেস করতে পারল না। তার গ্যারেজে বেশ কয়েকজন কাজ করে তারা সবাই তাকে বস বলে ডাকে। একদিন নায়িকা তাদের সব বন্ধুকে বলল যে আপনার বন্ধু কেন আমার দিকে তাকায় না,,? তো তার বন্ধুরা বললো যে আমার বন্ধু এইরকম কোন মেয়েকে পছন্দ করে না।তো তখন নায়িকা বলল যে কেমন মেয়েকে পছন্দ হয়, আমি সেভাবেই তার সামনে এসে দাঁড়াবো। তো ঠিক পরের দিন তার কথা মত নায়িকা সাজিয়ে গুছিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ায়। তারপর নায়ক তার দিকে ঘুরে তাকায় এবং তাকে পছন্দ করে। তখন থেকেই তাদের মধ্যে দুজনের ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো এইভাবে তাদের ভালোবাসা অনেক কয়েকদিন চলে গেলো।নায়িকা পড়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে, আমরা বিয়ে করবো এবং তারা তার বাবার সামনে এসে বলবে।কিন্তু নায়ক এখানে বাদি থাকে, কারণ সে একটি গ্যারেজের মালিক।পরে নায়িকা বলে যে,আমার সব কথা আমার বাবা শুনে।তোমার কথা বললে আমাদেরকে মেনে নিবে।তো নায়ক তার কথা অনুযায়ী তার বাবার সামনে দাঁড়ায়। তার বাবা তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করলো।যখন যানতে পারে যে,সে একজন গ্যারেজের মালিক, তখন সাথে সাথে তার মাথা খারাপ হলো।কারণ সে চাই না তার মেয়ে সামান্য একজন গ্যারেজের মালিকের সাথে বিয়ে হোক। তাকে তার বাবা বিভিন্ন কথা বার্তা বলে অপমান করলো।নায়ক তাকে কিছু না বলে তার বাসা থেকে বেড়িয়ে আসে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তারপরে নায়িকার বাবা তার বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু কোন ভাবেই তার বাবার কথা ফেলতে পারলো না।ঠিক বিয়ে হওয়ার একদিন আগে তার বান্ধবীকে সব কথা খুলে বলে। এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে সে বাসা থেকে পালিয়ে যাবে। এখন এই পালিয়ে যাওয়ার কথা তার মা শুনতে পায়।তবে এটা তার দ্বিতীয় নাম্বার মা ছিল, তার প্রথম মা মারা যায়।তো তার মা তাকে সবকিছু বলে দেয় এবং তাকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করে। ঠিক ভোরের আগেই মেয়েটি পালিয়ে যায়, এখন এই পালিয়ে যাওয়ার কথা তার বাবা শুনে অনেক রাগান্বিত হলো। এবং সাথে সাথে তার একটি গ্যারেজের লোককে ফোন করে বলে যে, যেভাবেই হোক তার লাশ যেন আমার চোখের সামনে এসে পড়ে।এখন সে কি করে গাড়ির ব্রেকের তার কেটে দেয়, এবং তারা একটি গাড়ির সাথে এক্সিডেন্ট করে। এবং সেই সময় নায়ক এবং নায়িকা দুজনেই মারা যায়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

এই নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে, তবে শেষের দিকে এই কাহিনী হবে এটা আমি আশা করি নাই। আসলে এখানেই তার বাবার উচিত ছিল তাদেরকে মেনে নেওয়া। এবং তার মেয়েরও উচিত ছিল যে তার বাবার কথা মতো বিয়ে করা।তবে কিছু কিছু ভালোবাসা রয়েছে যেগুলো ফ্যামিলি মানে না। তার ভালোবাসার কথা মতো পালিয়ে যায়। আসলে এই নাটকে অনেক কিছু শিক্ষা রয়েছে যেগুলো দেখলে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবো।আমি যতটুকু পারছি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।যাইহোক আপনাদের কাছে এই নাটক রিভিউ টি কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং :-১০/৯