//যুগ যুগ টিকে থাকা বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র//

in আমার বাংলা ব্লগ9 days ago
আসসালামু আলাইকুম:-আদাব
"যুগ যুগ টিকে ধরে থাকা বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র"
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"
কভার ফটো

InCollage_20240805_222434656.jpg

"Incollge App থেকে তৈরি"

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে যুগ যুগ টিকে থাকা বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। কালকে হঠাৎ করে দেখি ফোনের ডাটা অফ তাই কালকে কোন পোস্ট বা কমেন্ট করতে পারি নাই। যাইহোক আজকে আবার আগের মত নেট চালু করে দিয়েছে। জানি না বাংলাদেশ এখন কোন অবস্থায় রয়েছে। তবে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেনো সব কিছু থেকে আমাদের হেফাজত করে।তো বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক।

তো বন্ধুরা আপনারা হয়তো টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন আজকে আমি কি বিষয় নিয়ে পোস্ট করবো।আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র নিয়ে কিছু কথা বলবো।আমরা যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তারা সকলেই এই জিনিস গুলো চিনে থাকবে। আর বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র আমাদের প্রতিটা বাড়িতে কাজে লেগে থাকে।আমি আপনাদের মাঝে যেগুলো বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র শেয়ার করবো। সেগুলো অনেক যুগ ধরে টিকে থাকা জিনিস। তবে আমাদের দেশে আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে।আগের যুগের মানুষ প্রতিটা বাসায় এইরকম বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করতো।কিন্তু আফসোস আমাদের এই জিনিস গুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আর এই গুলো আমাদের এখন ঐতিহ্যের খাতায় পরে গেছে।তবে আমাদের সবার উচিত এই ধরনের ঐতিহ্য গুলো টিকে রাখা।

IMG_20240707_201523_652.jpg

তো আপনারা যে ফটোটি দেখতে পাচ্ছেন।এটা হলো বাঁশের তৈরি "কুলা" আমরা যারা গ্রামা অঞ্চলে বসবাস করি আপনারা সহজেই এই জিনিস টি চিনতে পারবেন।এই জিনিসটি হচ্ছে আমাদের অনেক কাজে আসে।যেমন আমরা আমন ধান ইরি ধান এগুলো মারাই করি। মাড়াই করার পর ধান গুলো যখন মাটিতে পড়ে থাকে সেগুলো পরিষ্কার করার জন্য এই কুলাটির প্রয়োজন পড়ে।আমি ছোট থেকে এই কুলাটির ব্যবহার আমাদের বাসায় বা গ্রাম অঞ্চলে দেখে আসতেছি।তবে বর্তমান যুগে কিছু কিছু প্লাস্টিকের জিনিস বের হয়েছে।আর বেশির ভাগ মানুষ এখন প্লাস্টিকের উপর প্রাধান্য দিচ্ছে।তবে আমি মনে করি যে, প্লাস্টিকের থেকে বাঁশের তৈরি জিনিস গুলো অনেক মজবুত হয়।আর এই কুলার মধ্যে আমরা খুব সহজেই সব কিছু জিনিস পরিষ্কার করে নিতে পারি।এই কুলাটি আমাদের অনেক উপকারে আসে।

IMG_20240707_201516_050.jpg
IMG_20240707_201427_476.jpg

এবার আপনারা যে বাঁশের তৈরি জিনিসটি দেখতে পাচ্ছেন। এটা হচ্ছে বাঁশের তৈরি "ডালা"। এই বাঁশের তৈরি ডালা আমাদের অনেক কাজে আসে। যেমন আমাদের ঘর বাড়ি বা কোন কিছু পরিষ্কার করার জন্য এই ডালা টার প্রয়োজন পড়ে। আমি মনে করি যে বাঁশের তৈরি প্রতিটা জিনিস আমাদের কাজে লাগে। আর এখন কিছু কিছু আধুনিক বের হয়েছে যা আমাদের বাঁশের তৈরি জিনিস গুলো তেমন ব্যবহার হয় না।আগের যুগের মানুষ এই জিনিস গুলো ব্যবহার করতো।আমাদের দেশটি ডিজিটাল হওয়াতে অনেক কিছু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে।তবে আমরা জানি যে আমাদের ঐতিহ্যগুলো টিকে রাখা আমাদের কর্তব্য।কিন্তু খুবই আফসো যে আমাদের এই জিনিস গুলো আমরা ব্যবহার করি না বা টিকে রাখতেও কোন সময় মনে করি না।এখনো প্রতিটা বাসায় দেখবেন যে প্লাস্টিকের জিনিস এবং প্লাস্টিকের পণ্য দিয়ে ভর্তি। আর আমি যেটা গ্রাম অঞ্চলে দেখছি যে গ্রাম অঞ্চলে অনেক সুন্দর এবং অনেক কিছু তারা টিকে ধরে আছে।শহরে কিন্তু এই জিনিস গুলো দেখাই যায় না।

IMG_20240707_201416_113.jpg

এবার আপনাদের মাঝে যে ফটোটি আমি শেয়ার করলাম। এটা হচ্ছে বাঁশের তৈরি "খাঁচা" আমরা হয়তো এই জিনিস গুলো দেখছি তবে এলাকা ভেদে নাম গুলো অন্য হতে পারে।তবে যাই হোক এই বাঁশের তৈরি খাঁচাটি আমাদের অনেক উপকারে আসে।আমরা যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তারা হাঁস, মুরগি,ছাগল ইত্যাদি অনেক কিছু পালন করে থাকে।তবে হাঁসের বাচ্চা, মুরগির বাচ্চা,ছাগলের বাচ্চা এগুলো হেফাজত করার জন্য এই খাঁচাটি আমাদের কাজে লাগে।আর বাঁশের তৈরি প্রতিটা জিনিস অনেক মজবুত হয়। এভং এই কারণে এই জিনিস গুলো অনেক দিন টিকে থাকে।আমরা গ্রাম অঞ্চলে লক্ষ্য করলে এই জিনিস গুলো এখন খুব কম দেখা যায়।কেন যেন দিন দিন এই জিনিস গুলো হারিয়ে যাচ্ছে।আজ থেকে নব্বই শতকের কথা মনে করলে তারা কিন্তু এই জিনিস গুলো খুব ব্যবহার করতো।বাঁশের তৈরি প্রতিটা জিনিস আমাদের এখন ঐতিহ্য।আর এই ঐতিহ্য গুলো আমাদের টিকে রাখা সবার কর্তব্য।

IMG_20240707_201530_970.jpg
IMG_20240707_201422_120.jpg

বাঁশের তৈরি জিনিস গুলো সবাই এগুলো বানাতে পারে না।যাদের এই বিষয়ে দক্ষ এবং জানা আছে তারা এই জিনিস গুলো তৈরি করে বিক্রি করে।তবে আমি যদি আমার ছোটবেলার একটা কথা বলি। সেটা হচ্ছে যে আমার ছোট বেলায় অনেক গ্রাম অঞ্চলে দেখতাম। কিছু মানুষ এইরকম বাঁশের তৈরি জিনিস তৈরি করে গ্রাম অঞ্চলে বিক্রি করতো। তারা গ্রামে এসে সবাইকে ডাকত।তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি জিনিস পাওয়া যেতো।এমনকি ওই সময় দামও খুব কম ছিলো।আর এই জিনিস গুলো প্রতিটা গ্রামের বসত বাড়িতে দেখা যেতো।তাহলে এখানে বোঝা যাচ্ছে যে,আগের যুগে এই জিনিস গুলো খুবই মূল্যায়ন করতো।তবে এখন এই জিনিস গুলো গ্রাম অঞ্চলে খুবই কম দেখা যায়। কম বলতে গেলে ভুল হবে, একদম দেখাই যায় না। আগে বাজার ঘাটে এ জিনিস গুলো খুব কম দেখা যেতো।কিন্তু তারা এ জিনিস গুলো তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে। কারণ বাজারে এখন অনেক ধরনের জিনিস বের হয়েছে প্লাস্টিকের পণ্য। আর আগের যুগের মানুষ যে ইনকামটা করতো। এখন তারা ওই ইনকাম টা করতে পারে না।

IMG_20240707_201434_152.jpg

যাই হোক তাদের বাপ দাদার পেশা গুলো এখন টিকে ধরে আছে।তারা ছোট বেলায় এই জিনিস গুলো শিখছে যার কারণে এখন তারা কর্ম করে খেতে পারছে।এবং তারা চায় তাদের বাপ দাদার ঐতিহ্য গুলো টিকে রাখতে।তবে আগের মতো তারা এখন আর গ্রামে গ্রামে গিয়ে পণ্য বিক্রি করে না। যাইহোক আগের কথা গুলো মনে করলে কেমন যেন লাগে। আমি আপনাদের কাছে আবারো বলতেছি যে, আমাদের ঐতিহ্য গুলো টিকে রাখা আমাদের কর্তব্য। আর আমি এই জিনিস গুলো খুব কম দেখতেছি।আগে গ্রাম অঞ্চলে দেখতাম আর এখন বাজারে গিয়ে দেখতে হচ্ছে। তাও আবার বেশি না দুই থেকে তিনটি দোকান। তারা তাদের পেশা নিয়ে অনেক আনন্দিত।আমি আমাদের বাজার থেকে ছবি গুলো সংগ্রহ করছি।তো বন্ধুরা আজকের মত আমি এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।



1.png


ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ
ডিভাইসTecno camon 20
ফটোগ্রাফার@polash123
লোকেশনদিনাজপুর

1000001273.gif

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

🌸আমার পরিচয়🌸
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

banner-abb_New.png

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

standard_Discord_Zip_2-1.gif

banner-abbVD.png

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য 💞"ধন্যবাদ"💞

Sort:  
 8 days ago 

ঠিক বলেছেন আমাদের এই ঐতিহ্যটা এখন অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। বলতে গেলে এই ধরনের জিনিসপত্র এখন খুব কম দেখা যায়। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই আমাদের সবার উচিত আমাদের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা।

 8 days ago 

বাঁশের তৈরি করা এই জিনিসগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় এই জিনিসগুলো বেশি দেখা হতো। এখন খুব একটা দেখাই যায় না। ভাই আপনার শেয়ার করা পোস্টের মাধ্যমে বাঁশের তৈরি করা বিভিন্ন রকমের জিনিস দেখে ভালো লাগলো।

 8 days ago 

আজ আপনি বাশের তৈরি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বাঁশের তৈরি করা বিভিন্ন জিনিসগুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। এখন সচারঅচার এই জিনিসগুলো দেখা যায় না।আপনার ধারণা করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ হয়েছে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60666.25
ETH 2702.51
USDT 1.00
SBD 2.43