||আমার জীবনের বাস্তব গল্প:- পর্ব ৫ ||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে আমার জীবনের বাস্তব গল্প পর্ব ৫। এতি মধ্যে আমি ৪ টা পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।আমাদের মানুষদের মধ্যে কিছু না কিছু গল্প রয়ে থাকে।তবে এগুলো বলার মত কোন জায়গা বা পরিস্থিতি পাওয়া যায় না। তো দেরি না করে শুরু করা যাক। আমার যখন মাদ্রাসা লাইফ শুরু হলো তখন আমি আমাদের দিনাজপুর জেলার বড় একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার চিন্তা ভাবনা করলাম।আর আমি যেটায় ভর্তি হবো সেটা দিনাজপুর অঞ্চলের বড় একটি মাদ্রাসা। এর থেকে আর কোন বড় মাদ্রাসা নেই। তো ভর্তি হওয়ার সময় মাদ্রাসার খরচ কে চালাবে তা নিয়ে টেনশন শুরু হলো।
যাইহোক আল্লাহর রহমতে আমার একটা সম্পর্কে ভাই হয় সে দিনাজপুরে থাকে।তার সেখানেই বাসা রয়েছে। তো ভর্তির দিনে আমি গেলাম। সেখানে ইন্টারভিউ দিয়ে ভর্তি হতে হবে।আমি ইন্টারভিউ দিতে রেডি।আল্লাহর রহমতে সেখানে পাশ করছি তার পর আমাকে ভর্তি নিলো।মাসের খোরাকী ছিল ৮০০ টাকা। এক বছর যাওয়ার পর আমার মাসিক খোরাকী হলো ১,০০০ হাজার টাকা। তবে যে আমার খরচ দিতো সে প্রথম বছরের সব গুলো টাকা দিয়ে দেয়। তার পর দ্বিতীয় বছর এসে একটু সে পাল্টি খেয়ে যায়। কারণ সে আর টাকা দিতে পারে না।
এই কথা গুলো বাসাও বলি নাই আমি।দেখতে দেখতে ৪-৫ মাস হয়ে গেলো।কিন্তু আমার মাসের টাকা ক্লিয়ার ছিল না।মাদ্রাসার বোডিং থেকে আমার খাওয়া বন্দ করে দিলো।পরে আমি অনেক কিছু কষ্ট করে ম্যানেজ করে নিছি।তার পর বাধ্য হয়ে বাসায় এগুলো কথা বলি।আমি এর আগের ৩ নাম্বার পর্বে বলছিলাম যে আমার ৪ নাম্বার ভাই আমাকে খেয়াল রাখবে।আমার কাছে সব গুলো ভাইয়ের মধ্যে আমার ৪ নাম্বার ভাই আমার কাছে প্রিয়।যাইহোক ওইদিকে আর না বলি।
এখানে আসল কথা হচ্ছে। মানুষ সব সময় একরকম থাকে না। আপনি যতই নিজের মানুষ হোন না কেনো।আমার ভর্তি হওয়ার পূর্বে সেও কথা দিয়েছিল যে আমার সব ধরনের খবর রাখবে।কিন্তু আফসোস পরে সেটা আর পেলাম না।এখানে আমি তার কোন দোষ দিতেছি না।কারণ তার পারিবারিক সমস্যা থাকতেই পারে।সেই লোকটি কিন্তু আমার এক বছর খাওয়ার টাকা দিয়েছে।যাইহোক আল্লাহ তায়ালা যেনো তাকে হায়াত দান করেন।তাহলে আজকের মতো এখানে বিদায় নিলাম। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগে।ততক্ষণে আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Redmi 9A |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
https://twitter.com/Polashislam681/status/1741083513032781947?t=4TxtwspM_rrfl-QlmHdX6w&s=19
এর আগে এই ব্লগের কয়েকটি পর্ব আমি পড়েছিলাম। যাইহোক আপনি দিনাজপুরের একটি বড় মাদ্রাসায় ভর্তির জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে পাশ করেছিলেন এবং ভর্তি হতে পেরেছিলেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক আপনার পরিচিত এক ভাই প্রথম বছরে আপনার খাওয়া বাবদ সম্পূর্ণ টাকা মাদ্রাসায় দেয়,এতে করে আপনার অনেক উপকার হয়েছিল। হয়তো লোকটার আর্থিক সমস্যা ছিলো বলে, পরবর্তীতে মাদ্রাসাতে আপনার খাওয়া দাওয়ার খরচ চালাতে পারেনি। সেজন্য আসলেই আপনার সেই ভাইয়ের কোনো দোষ নেই। এই সমস্ত উপকারী মানুষগুলো বেঁচে থাকুক যুগ যুগ ধরে সেই কামনা করছি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই ভাই মানুষ সবসময় একরকম থাকে না। একটানা একটা সময় পরিবর্তন হয় হয়। নিজের জন্য না হয় পরিবারের জন্য পরিবর্তন হয়ে যায়। যাই হোক আপনার চার নম্বর ভাই আপনার অনেকটাই খেয়াল রেখেছে। তবে শেষমেষ হয়তো তার পরিবারের কারনে আর পারেনি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।