||শৈশবের স্মৃতিময় এক মজার কাহিনী ||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে শৈশবের এক মজার কাহিনী আমি আমার বাংলা ব্লগে সব সময় নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি। যাইহোক আমার ফোনটা একটু হটাৎ করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার কারনে বেশি একটা এক্টিভ থাকতে না পারি।তারাবির নামাজ পড়ে এসে বাসায় আসলাম তবে হাতে কোন ফোন নেই। বাসায় একটা ফোন ছিল কিন্তু সেটাও সমস্যা করে।যাইহোক পরে আমার বন্ধুর ফোন নিয়ে আমার কাজ গুলো করছি।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
প্রথমেই বলবো আমরা যারা ছোট ছিলাম তখনকার আমাদের অনেক মজার মজার কাহিনী ছিল। তবে এখন বড় হয়ে সেগুলো আর ফিরে পাই না।আমাদের চোখের সামনে অনেক ছোট ছোট বাচ্চা গুলো খেলা ধুলা করে তাদের খেলা গুলো দেখলেই আগের কথা মনে পড়ে আসে।আমি মূলত আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করবো।আমাদের মধ্যে অনেক জন রয়েছে যারা লাটিম খেলতো,লাটিম বর্তমান একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা।
আগের দিনে এই খেলা গুলো প্রচুর খেলা হত।কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে আগের মত এখন আর কেউ এগুলো খেলে না।কেন যানি এগুলো খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আসলে আমাদের যুগ ডিজিটাল হওয়া এবং কিছু আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমি আগে ক্লাস ৩ তে যখন ছিলাম তখন থেকে লাটিম খেলতাম।কিন্তু এখন নিজের চোখের দেখা এগুলো খেলা হারিয়ে যাচ্ছে। যদিও কেউ খেলে তবে একটু খেলে আর খেলে না। যাইহোক আগের দিনের কথা বলে এখানে শেষ করতে পারবো না।
আমি আজকে একটু বাইরে গেছিলাম মূলত আমার ফোনটা নিয়ে একটা ভাইয়ের কাছে।তো যাওয়ার পথে একটা গ্রামে দেখতে পেলাম কিছু বাচ্চা লাটিম খেলতেছে।তাদের সুন্দর এই দৃশ্য দেখে আমার ছোট বেলার কাহিনী মনে পড়লো।আমরাও একদিন ছোট বেলায় ঠিক তাদের মত লাটিম খেলতাম। তো তাদের সুন্দর দৃশ্য টা দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি।নিজেকে মনে মনে বলতেছি আগের জীবন টা কতোই না সুন্দর ছিল। না ছিল চিন্তা না ছিল খাওয়া দাওয়ার টেনশন সব কিছু তখন ছিল।
আমি যখন ছোট বেলায় লাটিম খেলতাম তখন বাবার টাকা মেরে লাটিমের লতি কিনে আনতাম।কারন লতি ছারা তো লাটিম ঘুরে না।এমনো দিন যা করছি সেটা হচ্ছে যে মানুষের বাঁশ বাঁধা লতি গুলো চুরি করে এনে খেলছি।এই ছোট বেলার কাহিনি কখনোই মন থেকে হারাবে না।আমি এবং আমার এক বন্ধু,আমরা ঠিক দুপুর বেলা এগুলো করে বেড়াতাম।কোথায় কার লতি রয়েছে সেগুলো আমরা খোঁজ করে বেড়াতাম। যাইহোক আগের দিনের কাহিনি বলে শেষ করা যাবে না। আমি তাদের সুন্দর দৃশ্য টা দেখে আমাকে খুবই ভালো লাগছে তাই আপনাদের মাঝে পোস্ট টি শেয়ার করলাম। তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Oppo A57 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
https://twitter.com/Polashislam681/status/1771221363283398856?t=d-KZSBAsHIvd0CvuW_ypxw&s=19
শৈশবের স্মৃতিগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবন কত সহজ ও আনন্দময় ছিল। আপনার লেখায় লাটিম খেলার বর্ণনা এবং সেই সাথে আপনার ছোটবেলার মজার কাহিনীগুলো পড়ে আমার নিজের শৈশবের দিনগুলো মনে পড়ে গেল। আপনি যেভাবে আপনার অতীতের স্মৃতিগুলোকে জীবন্ত করে তুলেছেন, তা অসাধারণ। আপনার লেখনীতে একটি সুন্দর ও সজীব ছবি ফুটে উঠেছে যা পাঠকদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ছোটবেলার কিছু কিছু গল্প মনে পড়লে এখনো খুব হাসি পায় আপনি ছোটবেলায় লাটিম খেলতেন আর বাবার পকেট থেকে টাকা নিয়ে লাটিমের লতি কিনে আনতেন। তবে হ্যাঁ এখন আর আগের মত কোন খেলাই দেখা যায় না তাছাড়া নিজেদের ব্যস্ততায় সেসব ঐতিহ্য যেন হারিয়ে গিয়েছে।
জ্বি ভাই আগের কোন খেলা আর দেখা যায় না।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়লে সত্যি হাসি আনন্দ সবকিছুই মনের মধ্যে জেগে ওঠে। আর মনে হয় যেন কোন একটা ভালোলাগা হারিয়ে ফেলেছি। আসলে শৈশবের দিনগুলো এতটাই মধুর হয় যেখানে আপনি আপনার আব্বার পকেট থেকে টাকা মেরে লাটিম এর লতি কিনতেন, আরো বিস্তারিত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তাই অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপনার এই পোস্ট পড়ে। ঠিক এমন অনেক স্মৃতি আমাদের সকলের জীবনে কমবেশি থেকে থাকে, হয়তো এমন গল্প পড়ার মধ্য দিয়ে মনের মধ্যে জেগে ওঠে সেই স্মৃতিগুলো।
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
শৈশবের অনেকগুলো স্মৃতি থাকে যা আমাদের মনের মধ্যে একটি আলাদা ভালো লাগা নিয়ে আসে৷ যখন এই স্মৃতিগুলো আমরা এখন শুনি তখন আমাদের অনেকটাই ভালো লাগে৷ আপনার এই পোষ্টের মধ্যে আপনি লাটিম খেলার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন৷ এই মুহূর্তগুলো পড়ে বোঝা যায় যে আমাদের শৈশবটা কতটা সুন্দর ছিল৷ এই শৈশবের মধ্যে কতকিছু ছিল৷ তবে এখনকার সময়ে সেরকম ঘটনা নেই বললেই চলে৷ সকলে শুধু মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত৷
বর্তমান যুগ টায় হচ্ছে মোবাইল ফোনের।ধন্যবাদ আপনাকে ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একেবারে৷ মোবাইল ছাড়া কেউ কিছু বুঝে না।
ভাই আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে আমার নিজেরই ছোটবেলার কথা অনেক বেশি মনে পড়ে গিয়েছে। ছোটবেলার এরকম লাটিম খেলা নিয়ে আমার নিজের জীবনেও অনেক স্মৃতি রয়েছে। ছোটবেলায় আমিও প্রচুর খেলেছি লাটিম। আগের দিনের এই ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো এখন একেবারেই দেখা যায় না বললেই চলে। আস্তে আস্তে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এখন তো সবাই মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। অনেক বাচ্চারা রয়েছে তারা তো এই খেলা গুলোর নামও জানেনা। আবার অনেকেই এগুলো দেখেনি।
আগের কোন খেলাই এখন তেমন দেখা যায় না। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে শৈশবের সুন্দর স্মৃতি সবার জীবনেই আছে।আপনি বাচ্চাদের লাটিম খেলার দৃশ্য দেখে আপনার শৈশবের কথা মনে পড়ে।মনে পড়ে কি করে বাবার পকেট থেকে টাকা নিয়ে লাটিমের লতি কিনে আনতেন। কখনো বা মানুষের বাঁধা লতি গোপনে নিয়ে এসে লাটিম খেলতেন। অসাধারণ স্মৃতিচারণ করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শৈশবের মজার স্মৃতি গুলো আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। এখানে সেখানে চলাফেরা করার সময়, অনেক কিছু দেখে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যায় আমাদের। তেমনি কয়েকটি বাচ্চা লাটিম খেলছিল এবং সেটা দেখে আপনার শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে। শৈশবে আমরা কতো মজা করতাম এবং সেই দিনগুলোর কথা মনে পরলে ভীষণ ভালো লাগে। আগের দিনগুলো আসলেই খুব ভালো ছিলো। যাইহোক শৈশবের স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।