||নাটক রিভিউ:- সিক্রেট লাভ||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

নাটক রিভিউ:- সিক্রেট লাভ। "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ পোস্ট। আমি ফাঁকা সময় পেলে মাঝে মাঝে নাটক দেখি। নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর প্রতি সপ্তাহে একটা করে নাটক রিভিউ পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।তবে এই নাটকটি দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল।তাই ভাবলাম আজকে এই নাটকটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আশা করি সবার ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	সিক্রেট লাভ
অভিনয়	ইয়াশ রোহান,এবং তানিয়া বৃষ্টি
পরিচালক	প্রীতি দত্ত
মুক্তির তারিখ	১৫ সেপ্টেম্বর
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৪৪.৩৮

সংক্ষিপে কাহিনী

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই ইয়াশ রোহান এবং তানিয়া বৃষ্টির ঘনিষ্ঠ বন্ধু তারা।এবং তারা ফুফাতো খালাতো ভাই বোন।ইয়াশ সব সময় তার দাদুর কাছে টাকা চায় কিন্তু তাকে কোন টাকা দেওয়া হয় না। কারণ সে এর আগে টাকা নিছিলো কিন্তু কোন কাজে করতে পারে নাই।একদিন ইয়াশ তানিয়াকে বলে আমি আজকে রাত্রে দেরি করে বাসায় আসবো।আমি যখন বাসায় আসবো তোকে ফোন দিবো তুই দরজা টা খুলে দেইস।সে দরজা খুলতে গিয়ে তার দাদুর কাছে ধরা পরে।এবং সবাই তানিয়া কে গালি দেই।বলে তোর জন্য সে এতো রাত করে বাসায় আসে।পরে তানিয়া অনেক কষ্ট পায় সে অনেক কান্না করে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এইদিকে ইয়াশ তানিয়া কে বলে যে ভাবেই হোক দাদুর কাছ থেকে ১০ লাক্ষ টাকা নিতে।কিন্তু তারা কি করলো তার দাদুর জন্মদিনের আয়োজন করলো।সেখানে দেখা গেলো তানিয়াে চাচাতো ভাই এসেছে। সেই সেখানে পার্টিসেপ্ট করলো।তার চাচাতো ভাই তানিয়ার জন্য একটা গিফট নিয়ে আসছে।আর এই গিফট তাকে দিতে ওই সময় সব কিছু ইয়াশ দেখে ফেলে।পরে সব কিছু শেষ হওয়ার পর। তানিয়া তার দাদুর কাছে গেলো।সে অনেক গুলো কথা বলার পর টাকার কথা বলে দিলো।কিন্তু যখন শুনলো ১০ লাক্ষ টাকা লাগবে।তার একটু সন্দেহ হলো।তবেও সে টাকা দিতে রাজি হলো।তাকে ১০ লাক্ষ টাকার চেক দিলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এইদিকে ইয়াশ যে ১০ লাক্ষ টাকা নিয়েছে সেটা সবার কাছে জানা জানি হয়ে গেছে। সে ১০ লাক্ষ টাকা দিয়ে বিদেশ যাবে।পরে তানিয়ার দাদু তার উপর অনেক মন খারাপ। তানিয়ার দাদু বলে আমি তোকে বিশ্বাস করে টাকা দিলাম আর তুই তাকে দিলি টাকা।পরে তানিয়া তার দাদুর কাছে মাফ চেয়ে নিলো।আর ওই সময় ইয়াশ তার কাছে গেলো।তাকে অনেক সরি বললো। কিন্তু সে অনেক কান্না করলো।বলতেছে তোর জন্য সব জায়গায় আমি ছোট হই।কি চাস বলতো।পরে তাদের দুইজনের অনেক কথা হলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এইদিকে তানিয়ার চাচাতো ভাই তার দাদুর কাছে গিয়ে বিয়ের আলোচনা করে।তার চাচাতো ভাই তানিয়া কে বিয়ে করতে চায় এটা জানিয়ে দিলো।কিন্তু তার দাদু শুনে রাজি হয়ে গেলো।তার দাদু তানিয়া কে সব বললো।তানিয়াও রাজি। তার দাদু যা বলবে সে মেনে নিবে।এগুলো ইয়াশ শুনার পর তানিয়া কে অনেক বকাবকি করলো। কিন্তু তানিয়া তার দাদুর মত।তার পর তানিয়ার চাচাতো ভাই আসলো ইয়াশ রোহান এবং তানিয়ার চাচাতো ভাইয়ের অনেক বকাবকি শুরু এবং ঝগড়া লেগে গেলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তার পর তানিয়া ও তার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো। বিয়ের দিন ঠিক ওই সময় তানিয়ার চাচা চলে আসলো। এবং তার চাচা এই বিয়ে মেনে নিবে না।যদিও তাদের জোর করে বিয়ে হয় কোনো দিন তাদেরকে বাসায় তুলে নিবে না। এই কথা শুনে সবাই অবাক। আর তানিয়া মন খারাপ করে ঘরে চলে গেলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তার পর তানিয়া যখন ঘরে চলে আসলো ওই সময় ইয়াশ তার কাছে আসলো।ইয়াশ বলে তোর বিয়ে হয় নাই আমার জন্য ভালোই হয়েছে। তানিয়া বলে কেনো।তখন ইয়াশ তাকে প্রপোজ করলো। তানিয়া বলে এটা বুঝাতে তোকে ১০ মাস লেগে গেলো।গাধা তুই তাও বুঝতে পারিস না।আমি তোকে অনেক ভালোবাসি।তার পর তাদের দুইজনের মিল হয়ে গেলো। এবং দুইজনের বিয়ে হয়ে গেলো।

ব্যক্তিগত মতামত

নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কিছু দিন যাবত ইয়াশ রোহানের নাটক গুলো বেশি দেখা হচ্ছে। তার নাটক গুলোও দারুণ হচ্ছে। এই নাটকটি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আপনারা যারা এখনো দেখেন নাই দেখে নিতে পারেন।আশা করি সবার ভালো লাগবে নাটকটি।তো বন্ধুরা আজকের মতো এখানে বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

---

---

👇নাটকের লিংক👇