||একজন কতবেল বিক্রিতা||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।আজকে আপনাদের মাঝে একজন কতবেল ওয়ালা নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের পেশাদার মানুষ রয়েছে। কারো পেশা ছোট আবার কারো বড়।তবে সব পেশাদার মানুষকে এক চোখে দেখতে হবে।এইরকম ছোট পেশাদার মানুষকে নিয়ে আমরা অনেক কথা বার্তা বলি।তবে এগুলো করা ঠিক না।আমরা যেই পেশায় করি না কেনো সেটা আমাদের কাছে অনেক বড়।পেশা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।আমি আপনাদের মাঝে যে ছবিটি উপস্থাপন করছি এটা হলো এক বয়স্ক ব্যক্তি।সে এই ভাবে কতবেল বিক্রি করে।
আজ থেকে প্রায় ২ মাস আগে একটা শহরে গেছিলাম। শহরে একটা কাজে গেছিলাম। যাইহোক কাজ শেষ করে রাস্তা দিয়ে আসতেছি।আসার পথে দেখি একটা বয়স্ক লোক রাস্তার পাশে বসে আছে। আমি দূর থেকে তার দৃশ্য দেখতেছি।লোকটির বয়স অনেক হবে।তবে তাও সেই লোকটি তার পেশা ধরে আছে।কারণ তাকে এই পেশা দিয়ে তার জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।লোকটিকে দেখে একটু খারাপ লাগলো। আমি দূর থেকে কিন্তু তার ব্যবসার দৃশ্য দেখতেছি।
পরে আমি সেই লোকটির কাছে গেলাম।এবং তাকে কিছু প্রশ্ন করলাম। চাচাকে বললাম চাচা আপনি কত দিন ধরে এই ব্যবসা করেন।চাচা উত্তরে বলে এটা আমর অনেক দিন ধরে ব্যবসা চলে।আমি এই ব্যবসা দিয়ে আমার সংসার চালায়।লোকটির এই কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। কারণ এই যুগে এবং এতো বয়স্ক লোক এই পেশার উপর দিয়ে তার জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। তবে তার এই দৃশ্যটি সবার কাছে একটু খারাপ লাগবেই।তবে এই বয়স্ক লোকটি তেমন একটা চলা ফেরা করতে পারে না। হাঁটতেও তার অনেক কষ্ট হয়।
আমি ওই লোকটির সাথে কিছু কথা বলার পর তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম কতবেল গুলো কত করে বিক্রি করছেন।আমার কিন্তু কতবেল অনেক পছন্দের। কতবেল খেতে খুবই ভালো লাগে। এমনকি কতবেলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আমি সেই লোকটির কাছে একটা ২০ টাকা দিয়ে কতবেল নিলাম। কতবেল টি অনেক সুস্বাদু ছিল।খেতে খুবই ভালো লাগছে আমার কাছে।আমাদের দেশে এইরকম যারা ছোট ব্যবসায়িক রয়েছে তাদের কাজ থেকে কিছু ক্রয় করা আমাদের কর্তব্য।এবং তাদেরকে সম্মান করতে হবে।তাহলে আজকের মতো এখানে বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Redmi 9A |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
https://twitter.com/Polashislam681/status/1733074172719587430?t=va2QKjhjK-OwBVsyyHyqIg&s=19
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইজান। কদবেল মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে এমন বিক্রেতা প্রায় রাস্তার পাশে লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন বাজার এরিয়ায়। আমাদের উচিত এই সমস্ত মানুষগুলোকে সম্মানের চোখে দেখা এবং তাদের সহায়তা প্রদান করা। বেশ ভালো একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে অনেক খুশি হলাম।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
কদবেল খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে ।এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। আপনি কদবেল বিক্রেতার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করেছিলেন এবং পরে ২০ টাকা দিয়ে একটি কদবেল কিনেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে আমাদের দেশে এখন অনেক মানুষ আছে যারা বৃদ্ধ বয়সেও নিজের জীবিকা নিজেই তৈরি করে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
একদম ঠিক বলেছেন ছোট হোক বা বড়ো কাজ তো কাজেই।কদবেল গুলো সত্যি খুব লোভনীয়। অনেক বয়স্ক লোকটি জিবনও জীবীকার তাগিদে এই বয়সেও এসে ব্যাবসা করছে।আসলে এরকম চিত্র আমাদের দেশে অহরহ। আপনি কদবেল কিনে খেয়েছেন এবং ভালো ছিলো কদবেলটি জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য