||ছোট বেলার মজার এক স্মৃতি:- সাঁতার শিখানো||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে ছোট বেলার মজার এক স্মৃতি আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের অনেক মজার দিন গুলো ছিল। বর্তমান সেই দিন গুলো আর ফিরত পাবো না।আজকে আমি সকালে কোচিং শেষ করে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে বাসার কিছু কাজ কাম শেষ করলাম। তার পর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া শেষ করে একটু রেস্ট নিলাম। রেস্ট নেওয়ার পর আমি পোস্ট লিখতে শুরু করলাম।
আমি সব সময় চেষ্টা করি নতুন কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করার। আসলে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে। আমি যখন দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিলাম। হটাৎ করে ছোট বেলার এক স্মৃতি মনে পরলো।তখন আমি নিজে নিজেকে প্রশ্ন করি।আগের দিন গুলো কতই না সুন্দর ছিল। আর এখন যত দিন যাচ্ছে ততই বড় হচ্ছে আর মাথার উপর প্যারা আসতেছে।যাইহোক ছোট বেলার কথা যখন মনে পরলো সঙ্গে সঙ্গে এই পোস্ট লিখতে শুরু করলাম।আমি ছোট বেলায় যখন স্কুলে পড়া শুনা করতাম তখন ১২ টার দিকে স্কুল ছুটি হত।আর ১২ টার সময় বাসায় এসে অনেক কয়জন মিলে পুকুরে গোসল করতাম।
তো ছোট বেলায় তো সাঁতার জানতাম না। ভয় ভয় করে পুকুরের এক পাশে গোসল করতাম। আর ওখানেই মজা করতাম। তবে আমি দেখছি অনেক জন সাঁতার জানে শুধু আমি জানতাম না। যারা সাঁতার জানতো তাদেরকে বলছিলাম আমাকে সাঁতার শিখাতে। তবে তারা আমাকে সাঁতার শিখাতে শিখাতে মাঝ পথে ছেড়ে দিতো।আমি ভয়ে অনেক কান্না করতাম।তার পর একদিন শুনলাম সাঁতার শিখানোর জন্য সহজ একটা পদ্ধতি রয়েছে।
পদ্ধতি হচ্ছে লাল পিঁপড়ে খেতে হবে।লাল পিঁপড়ে খেলে নাকি সাঁতার শিখানো যায়।তো আমি কি করলাম তার কথা মত একদিন লাল পিঁপড়ে খেলাম।তবে ১-২ টা পিঁপড়ে নয় অনেক গুলো পিঁপড়ে খেয়েছি।আমার এখনো মনে হয় সেই দিনটির কথা। তবে লাল পিঁপড়ে গুলো খেয়ে কিছু টা সাঁতার শিখতে পেরেছি।ওইদিন যত গুলো পিঁপড়ে খেয়েছি সেগুলো এখন ভাবলে অনেক হাসি বের হয়।
আজকে কেন জানি হটাৎ করে আগের কথা গুলো মনে পরলো।যাইহোক এতো সুন্দর একটা মনের ভাব এবং অনুভূতি শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।আমার বাংলা ব্লগে আমরা সবাই নিজের মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পারি এটা আমাদের অনেক বড় একটি দিক।তবে আমার বাংলা ব্লগে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমার বাংলা ব্লগের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।তো বন্ধুরা আজকের মতো এখানে বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Redmi 9A |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
https://twitter.com/Polashislam681/status/1726197834788323386?t=oMf_ogAFIexqvZUyAvAKyg&s=19
ভাই আপনার ছোটবেলার স্মৃতি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার আগে অন্ততপক্ষে দুই ঘণ্টা ধরে পুকুরে গেলাস করতাম। গোঁফে এক প্রকার দাড়ি হয়ে যেত পুকুরের পানির কষে। আপনার মতো আমরা অনেক বন্ধুরা একত্রে গোসল করতাম। সত্যি বলতে সে সব দিন গুলো আর ফিরে যেমন পাবো না তেমন ভুলতেও পারবো না।
জ্বি ভাই আগের দিন গুলো আর ফেরত পাবো না। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
সত্যি ভাইয়া ছোটবেলার স্মৃতি অনেক মধুর হয় এখন মনে পড়লে শুধু হাসি পায়। আসলে আগে সবাই বলত লাল পিঁপড়ে খেলে সাঁতার শেখা যায়। যাইহোক ভাই আপনি লাল পিঁপড়ে খেয়ে সাঁতার শিখেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে শৈশবের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে আমারো ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনি সাঁতার শিখার জন্য লাল পিঁপড়া খেয়েছেন আর আমরা খেয়েছি পোকা খাওয়া আম। আমরা বলতাম এই আম খেলে সাঁতার শিখা যাবে। কিন্তু আমি আজও শিখতে পারিনি। তবে লাল পিঁপড়ে খেয়ে আপনি একটু সাঁতার শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। সত্যিই সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে অনেক হাসি পায়।
ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে মাঝে মাঝে হুট করে আমাদের ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়। তো সেই স্মৃতিগুলো এভাবে গল্প আকারে শেয়ার করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। যাই হোক ছোটবেলায় আমিও শুনেছি যে পিঁপড়া খেলে নাকি সাঁতার শেখা যায়। তার জন্য মনে হয় দু একটা পিঁপড়া আমিও খেয়েছিলাম।হা হা হা সত্যিই এখন সেগুলো মনে পড়লে বেশ হাসি পায়। তবে এই মজার স্মৃতির পাশাপাশি ছোটবেলায় কিছু দুঃখের স্মৃতি থাকে। যাই হোক সেগুলো আর না বলি ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ছোটবেলার এই মজার স্মৃতিটা আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
হাহাহা খুব হাসি পেলো আপনার সাঁতার শেখার পোস্ট টি পড়ে।আসলে সাঁতার শেখার একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে ছোট বেলায় তাই যে কোন ভাবে শিখতেই হবে এমন একটা বিষয় হয়ে দাড়ায় আপনাকে পিঁপড়া খেলে সাঁতার শেখা যাবে এটা মনে হয় মজা করে বলেছিলো।কিন্তুু আপনার কচি মন ওটাকেই সত্যি ভেবে নিয়েছে এবং সরল মনে পিঁপড়া খেয়েই ফেলেছেন । এবং আপনার মনে হয়েছে সেজন্য সেই দিন কিছুটা হলেও সাঁতার শিখতে পেরেছেন আপনার এই বিশ্বাস থেকে একটা কথাই মনে পরে যায়।বিশ্বাসে মিলায় বস্তুু তর্কে বহুদূর।বিশ্বাস করলে সব কিছুই সঠিক মনে হয়।ধন্যবাদ ছোটবেলার সাঁতার শেখার পোষ্টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য
আসলেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক সাঁতার শেখার মজার একটি উপায় জানতে পারলাম 😂। লাল পিঁপড়া খেলে নাকি সাঁতার শেখা যায়। আমি তো সাঁতার পারি না, কালকে তাহলে লাল পিঁপড়া খেয়ে সাঁতার শিখতে হবে। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব মজা পেলাম। যাইহোক এতো মজার একটি স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।