//নাটক রিভিউ :-ডিয়ার বস//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-ডিয়ার বস" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-ডিয়ার বস আমি প্রতি সপ্তাহে একটা করে নাটক রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।বাংলা রোমান্টিক নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে বিশেষ করে মুশফিক আর ফারহানের নাটক খুবই বেশি ভালো লাগে। তাই সব সময় মুশফিকের নাটক আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। কিন্তু যেগুলো নাটক আমার কাছে ভালো লাগে সেগুলোও আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি। যাইহোক বর্তমান এখন প্রতি টা দিন, দিনের বেলা রোদ,গরম এবং রাতে করে বৃষ্টি আসে।আবার পরের দিন সকালে রোদ চলে আসে। কিন্তু দিনের বেলা গরমের জন্য বাসায় থাকা যায় না। যাইহোক এখনোও বৃষ্টি হচ্ছে এবং বৃষ্টি উপভোগ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করতেছি।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	ডিয়ার বস
অভিনয়	মুশফিক আর ফারহান,সামিরা খান মাহি,ফারিন খান,আরো অনেকে
পরিচালক	মেহেদী হাসান হৃদয়
মুক্তির তারিখ	০২ ই জুন ২০২৪
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৪২.৪৯

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই মুশফিক তার বাবার অফিসে জয়েন করে।যেইদিন আসবে সেই দিন অফিসের অনেক লোকজন এলোমেলো ছিল।এবং যখন তারা শুনল যে বস আসবে তারা সবাই অফিসের কাজগুলো গুছিয়ে নিলো।এবং সেখানে নায়িকা সেই অফিসের কাজ করছিল। কিন্তু তার কোন টাইমের গ্রান্টি ছিল না। এখন আসলে আবার সাথে সাথে চলে যায়, আবার দেরি করে আসে। তার বান্ধবী তাকে বলল যে নতুন বস আসতেছে তুই সব কিছু গুছিয়ে নে।কিন্তু তার কোন কথা শুনল না। মুশফিক যখন অফিসে জয়েন করলো সঙ্গে সঙ্গে নায়িকা তার অফিস ঘরে গেল। নায়িকার একটাই উদ্দেশ্য ছিল বসকে পটানো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এভাবে আস্তে আস্তে সামিরা খান মুশফিকের কাছে চলে আসলো। কিন্তু নায়িকার একটাই উদ্দেশ্য ছিল বসকে পটে তার হাতে নিয়ে আসতে।এভাবে মুশফিক তার পাগলামি দেখে তার প্রেমে পড়ে গেল। হঠাৎ করে নায়িকা একদিন তাকে অফিসে সারপ্রাইজ দিল। যেটা মুশফিক দেখে অনেক আনন্দিত হলো।এবং মুশফিক তার প্রেমে পড়ে গেল। এভাবে শুরু হয়ে গেল তাদের দুজনের প্রেম কাহিনী।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

একদিন হঠাৎ করে নায়িকা তার বান্ধবীকে বলল।এখন দেখ আমি কয়টায় অফিসে আসি। আর কয়টার দিকে যায় অথচ কিছুই বলেনা আমাকে। যতগুলো কথা ওর বান্ধবীর সঙ্গে বলছিল মুশফিক তার পাশেই সবগুলো কথা শুনছিল।যখন নায়িকা বলল যে আমি ওর সঙ্গে কাহিনী করেছি এবং অভিনয় করছি প্রেমের। তখন মুশফিক এগুলো শুনে অবাক হয়ে গেলো।তারপর থেকেই মুশফিক তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করল। এবং মুশফিকের একটা কাজিন ছিল।তাকে সেই অফিসের এমডি বানিয়ে দিলো।মুশফিকের একটায় লক্ষ্য ছিল তাকে জ্বালানোর জন্য।মুশফিক তাকে ঘন্টায় ঘন্টায় জ্বালানোর চেষ্টা করে। এইদিকে তার কাজিনের সাথে ব্যবহারগুলো দেখে নায়িকা খুবই জ্বলতে থাকে।কারণ মুশফিক তাকে শিক্ষা দিতে চায়।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

একদিন হঠাৎ করে নায়িকা তার অফিসে ঢুকলো এবং তাকে বলল এটা কি হচ্ছে,,? তুমি আমার সঙ্গে প্রেম করে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে কেন প্রেম করতেছো।মুশফিক তার কথাগুলো শুনে শুধু হাসতেছে।তখন মুশফিক বলল, যখন একটা জীবন নিয়ে তুমি খেলা করছো তখন কেমন লাগছিল।নায়িকা যখন সবকিছু বুঝতে পারলো এবং তাকে বলল যে আমি অভিনয় করতে করতে তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।এভাবে নায়িকা তার কাছে অনেক অনুরোধ এবং হাত জোর করল।কিন্তু মুশফিক কোনভাবে রাজি হলো না। তাকে অনেক গালাগালি করে অফিস থেকে বের করে দিল। তারপর হঠাৎ করে মুশফিক শুনে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছে। মুশফিক সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে গেল।এবং সবগুলো বিষয় তার কাছে ক্লিয়ার করে দিল। বলতেছে তুমি যে মেয়েটাকে দেখছো ওটা হচ্ছে আমার কাজিন খালাতো বোন। তোমাকে বোঝানোর জন্য আমি ওর সঙ্গে অভিনয়গুলো করছি। সাথে সাথে তার কাজিন এসে সবগুলো ডাউট ক্লিয়ার করে দিলো।এবং মুশফিক সঙ্গে সঙ্গে তাকে বিয়ে করতে চাইলো। সবকিছুর রাজি হওয়ার পরে তারা সবাই আবার মিল হয়ে গেল।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিল। মুশফিকের প্রতিটা অভিনয় আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এরকম অনেক প্রেম কাহিনী রয়েছে যেগুলো অভিনয় করতে করতে তারা প্রেমে পড়ে যায়। সেম এখানেও ওরকম হয়েছে সে অভিনয় করতে করতে তার প্রেমে পড়ে গেছে। কিন্তু সেটা কখনো প্রকাশ হতো না যখন মুশফিক তাকে জ্বালানোর চেষ্টা না করতো। যখন সে তাকে জ্বালানো শুরু করলো এবং জেলাসি হচ্ছিল তখন সে বুঝতে পারল তার প্রেমের বিষয়টা। যাইহোক নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা যারা এখন নাটকটি দেখেন নাই আপনারা দেখে নিতে পারেন। আশা করছি আপনাদের কাছেও নাটকটি ভালো লাগবে। তাহলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং ১০/৯