||জেনারেল রাইটিং:-আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ১২||
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে আমার জীবনের বাস্তব গল্প:-পর্ব ১২ আমি আপনাদের মাঝে ইতি মধ্যে ১১ টা পর্ব শেষ করছি। আপনারা যারা ১১ টা পর্ব পড়ছেন তারা অবশ্যই সব কিছু বুঝতে পারবেন।তো আজকে তারাবির নামাজ পড়ে একটু রেস্ট নিলাম। আজকে কেন জানি হটাৎ করে খারাপ লাগা শুরু হলো। সারাদিন রোজা থাকি তাই মনে হয় আজকে একটু খারাপ লাগছিল। যাইহোক আমি যেহেতু প্রতি নিয়ত পোস্ট করি তাই আজকেও আপনাদের মাঝে পোস্ট টি হাজির হলাম। বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি এর আগে আপনাদের মাঝে বলছিলাম যে আমার মাদ্রাসায় পড়া লেখা করতে খুবই সমস্যা হয়েছিল। তো মানুষের জীবনে কোন না বাস্তব গল্প থাকে যেগুলো আমরা কোথাও শেয়ার করতে পারি না। আমি আমার বাংলা ব্লগকে খুবই ভালো বাসি যার কারনে আমি সব কিছু এখানে শেয়ার করি।যাইহোক একটা ছেলের বড় মানুষ হতে হলে তার কেউ কেউ না সাহায্য লাগব।যখন একটা গাছের মধ্যে কোন আয়ু থাকে না মানে যেই গাছ মরে যাবে এটা নিশ্চিত। আর যদি এই গাছ বাঁচাতে হয় তাহলে তার সব ধরনের চিকিৎসা চালিয়ে যায়।
তো আমি বলতে চাচ্ছি যে আমাদের মত কিছু মানুষ রয়েছে যেগুলো বেঁচে থেকেই মরে যাচ্ছে। যার মুল কারন হচ্ছে ফ্যামলির খারাপ অবস্থা। তো সেই ফ্যামলিতে থাকতে হলে তাকে অনেক কিছু সেক্রিফাইস করতে হয়। ঠিক তেমনি আমিও আমার ফ্যামলির জন্য অনেক কিছু সেক্রিফাইস করছি।আমাকে যখন মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম। আর মাদ্রাসাটা ছিল আমাদের বাসার পাশেই। তবে আমার মা এবং বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে হাফেজ করাবে।
আমি প্রথমেই বলছিলাম যে আমার ছোট বেলায় মা মারা যান।আমি আমার বড় আব্বার বাসায় পড়ে বড় হয়েছি। যাইহোক মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর আমার খাওয়া দাওয়া সব ব্যবস্থা ছিল বাসা থেকে। তবে আমার বাসা থেকে প্রতিদিন কে খাবার নিয়ে আসবে সেটা নিয়ে হলো বড় সমস্যা। তবে আমি আর আমার বাবা দুইজনে ৩ নাম্বার ভাইয়ের কাছে খাওয়া দাওয়া করতাম।তো এগুলো সমস্যা হওয়ার পর ৩ নাম্বার ভাইয়ের বউ খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে দিলো।পরে আমার ২ নাম্বার ভাই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলো।
প্রতি দিন আমার খাবার ২ নাম্বার ভাবি মাদ্রাসায় দিয়ে আসতো।এমনকি দিন গেছে রাতে ভাত হয় নাই কিন্তু রাত ১২ টার পরেও আমার মাদ্রাসায় গিয়ে ভাত দিয়ে আসতো।আমি সব সময় আমার ২ নাম্বার ভাবিকে পেয়েছিলাম। আমার সব ধরনের সমস্যা সে করে দিতো।যাইহোক আমার ৩ নাম্বার ভাবি হয়তো আমাকে চায়নি। এখানে আরো অনেক কাহিনি রয়েছে বাকি কাহিনি পরের পর্বে শেয়ার করবো।কিন্তু একটা বিষয় হচ্ছে যে ছোট বেলায় যে মানুষ একটা মানুষের পাশে থাকে তাকে যেনো আমরা কখনোই ভুলতে না পারি।কারণ বর্তমান যুগে মানুষ কারো উপকার করলে পরে তাকে চিনেই না।হ্যাঁ এটা বাস্তব কথা। তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Redmi 9A |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
আপনার জীবনের গল্প এবং সংগ্রামটা কিন্তু আসলেই অনেক কষ্টের ভাই। কারণ যে মানুষের মা মারা যায়, তার থেকে বড় দুঃখী এই পৃথিবীতে আর কেউ হতে পারে না। সব থেকে আপনার যে সমস্যাটা বেশি ছিল, সেটা হল খাওয়ার সমস্যা। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন ভাই। যাইহোক, আশা করি একসময় সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।