এলোমেলো ফটোগ্রাফি পোস্ট
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আমার তোলা কিছু ছবি শেয়ার করবো। ছবি তোলা এখন নেশা এবং পেশা দুটোই বলতে পারেন আপনারা। যেহেতু ব্লগিং করি তাই লেখালেখির জন্য হলেও ছবি তুলতে হয়। আর এই ছবি তুলতে তুলতে এখন এটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। এখন ভালো কোনো দৃশ্য দেখলে সেটার ছবি না তুললে কেন জানি ভালো লাগেনা। যাই হোক চলুক তাহলে আর কথাটা বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক আজকের ছবিগুলো।
উপরের ছবিতে যেই ফলের দোকানটা দেখতে পাচ্ছেন এই ফলের দোকানটা ঢাকায় অবস্থিত। খেয়াল করে দেখেছি ঢাকার ফলের দোকানগুলিতে দেখি-বিদেশি নানা রকমের ফল পাওয়া যায় সারা বছরই। এমনিতে ঢাকা শহরের বাইরে এত বিচিত্র রকমের ফলের সম্ভারের খুব কমই দেখা মিলে। ছবিটাতে খেয়াল করলে আপনার দেখতে পাবেন এখানে দেশি ফল আমের পাশাপাশি রয়েছে রামবুটান, রক মেলন, থাই ব্যানানা ম্যাংগো আরো নানা রকমের ফল। এতো রকমের ফল দেখে কার না ভালো লাগে বলেন? সেজন্যই এই ছবিটা তুলেছিলাম।
উপরের ছবিটা আমাদের এলাকার নদীর পাড় থেকে তুলেছিলাম। কিছুদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে নদীর ওপারে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই এই ছবিটি তোলা। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন নদীর পাড় পদ্মার ভাঙ্গনের আঘাতে জর্জরিত। তবে নদীর পাড়ের এই ধরনের জায়গাগুলি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকালের সময়টাতে এখানে বসে সময় কাটাতে দারুন লাগে।
এখন ছবিতে আপনার একটি কাঠের তৈরি ব্রিজ দেখতে পাচ্ছেন। গ্রামের ভেতরে একটি খালের উপরে এই ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে। এই ধরনের কাঠের ব্রিজ আমাদের অঞ্চলে এখন দেখা যায় না বললেই চলে। একটা সময় এই ধরনের ব্রিজ প্রচুর দেখা যেতো। তবে এখন সব পাকা ব্রিজ তৈরি করা হয়।
কিছুদিন আগে গ্রামের দিকে ঘুরতে গিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিতে আপনারা যেটা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের স্থানীয় ভাষায় সেটাকে ঢোল কলমি বলা হয়। এই অদ্ভুত নাম কেন দেয়া হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে দীর্ঘদিন পরে এই ফুল টা দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। একটা সময় আমাদের শহরেও এই ফুল প্রচুর দেখা যেতো। কিন্তু এখন শহরে এ ধরনের ফুল দেখা যায় না বললেই চলে।
ছবিতে আপনার দেখতে পাচ্ছেন গ্রামের ভেতরে একটি পানি শুকিয়ে যাওয়া পুকুর। এই পুকুরে বর্ষার সময় প্রচুর পানি হয়। কিন্তু এখন শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় সেই পানি বেশিরভাগটাই শুকিয়ে গিয়েছে। পুকুরের পানির কাছাকাছি আপনারা বেশ কিছু হাঁস দেখতে পাচ্ছেন। আবার পুকুরের পানির ভেতরে বেশ কিছু নৌকাও দেখা যাচ্ছে। যেগুলো ডুবিয়ে রাখা হয়েছে।
এই ছবিতে আপনার তিনটি ভেড়া দেখতে পাচ্ছেন। আমার গত কিছুদিন ধরে ভেড়ার মাংস খেতে খুব ইচ্ছা করছে। তবে আমাদের শহরের মাংস বাজারে ভেড়ার মাংস বিক্রি করা হয় না। আমি মনে করেছিলাম ভেড়ার মাংস মানুষ যেহেতু বেশি মানুষ খায় না তাই এটার দাম হয়তো কম হবে। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম ভেড়ার মাংসের দাম খাসির মাংসের থেকে বেশি। বিষয়টা শুনে আমি বেশ অবাক হয়েছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90
---|---
স্থান | ফরিদপুর, ঢাকা
Uh .... I want this fruits , they make me go crazy when I look them :) I love fresh food :)))
ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ফটোগ্রাফির ফোকাস যথাযথ ছিল যার কারণে সবগুলো ফটোগ্রাফি ফুটে উঠেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদায় ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে সবসময় এই কামনা করছি।
অনেক সুন্দর হয়েছে।