DIY-দীপ সাজাই, দীপ জ্বালাই(১০% shy-fox কে এবং ৫% @abb-school এর জন্য)
তারিখ-২০.১০.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
ঈশ্বরের আশীর্বাদে আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।দীপাবলি চলে এলো। একেই বলে বাঙালীর ১২ মাসে ১৩ পার্বন।দীপাবলি তে আমরা বাড়িতে দীপ জ্বালাই সমস্ত খারাপ কে কাটিয়ে,শক্তির আলোতে আমাদের জীবনকে আলোকিত করতে পারি।যদিও এখন বেশীরভাগ মানুষ তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার জন্য মোমবাতিই ব্যবহার করা হয়।কিন্তু প্রদীপের সৌন্দর্য আলাদাই।আর সেই মাটির প্রদীপ কে যদি আরো সুন্দর করার জন্য আমরা নিজেদের হাতেই রং করি, সাজাই তবে অন্তরের তৃপ্তি আরো বেড়ে যায়।
আসলে মনে মনে ভাবছিলাম এবার প্রদীপ আমিই সাজাব।দোকানে গিয়ে দেখি আমার ব্যাগে ৫০ টাকার একটা নোট আর কিছু খুচরো আছে।আমার তো মাথায় হাত।এই টাকায় প্রদীপ,রং,3D লাইনার এগুলো কি আদেও কিনতে পারব? ভাবলাম যাই আগে দেখি তো কোনটার কি দাম।যাক গে "রাখে হরি মারে কে!" সবটাই পেয়ে গেলাম।নিয়ে এলাম ৪টে প্রদীপ, একটা রং আর একটা 3D বর্ডার কালার।
আর কথা বাড়াচ্ছি না।বরং উপকরণ ও প্রণালীটা তাড়াতাড়ি বলে দি।
ক্রমিক | উপকরণ |
---|---|
১ | মাটির প্রদীপ |
২ | রং |
৩ | থ্রিডি বর্ডার |
প্রণালী
প্রথম ধাপ,
চারটে প্রদীপ নিয়ে ভালো করে প্রদীপ গুলো কে মুছে নিলাম যাতে কোন রকম আলগা ধুলো না থাকে।
দ্বিতীয় ধাপ,
এবার লাল রঙ টি কে ভালো করে একটু মিশিয়ে নিয়ে একটা তুলির সাহায্যে প্রদীপের ভেতরে এবং বাইরে রং করে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ,
এবার একটা প্রদীপে 3D বর্ডার দিয়ে একরকম ডিজাইন করলাম। যেহেতু আমি অন্য রঙ কিনি নি। তাই এই 3D বর্ডার দিয়েই সমস্ত ডিজাইন টা করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ,
পঞ্চম ধাপ,
ফাইনাল ছবি টা শেয়ার করলাম।থ্রিডি রং টা যথেষ্ট জমাট বাঁধা ছিলো। তাই আমার আঁকতে খুবই অসুবিধে হয়েছে। হাত ভীষণ ব্যথা হয়ে গেছে।পরের বার আরো সুন্দর করে বানিয়ে শেয়ার করব।
সকলে ভালো থাকবেন।ভালো রাখবেন। আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
সম্ভবত আমি যখন ভেরিফাইড মেম্বার হয়েছিলাম না তার মধ্যে আমি একটি দীপ বা চেরাগ তৈরি করে দেখিয়েছিলাম আমার বাংলা ব্লগে। আজকে আপনার এই দীপ সাজানোর দৃশ্য দেখে এবং বর্ণনা করে আমার স্মরণ হয়ে গেল সেই দিনগুলির কথা। আমি অবশ্য তখন স্টিমিট এর কাজ সম্পর্কে খুবই কম জানতাম এবং নতুন ছিলাম। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো আপনার এই আজকের পোস্ট দেখতে পেরে।
অনেক ধন্যবাদ। 🥰
আসলেই তাই, প্রদীপের সৌন্দর্যই আলাদা। শুধুমাত্র মাটির প্রদীপ কেন যেকোনো কিছুই আমাদের নিজেদের মতো করে সাজাতে পারলে একটা তৃপ্তি লাগে।
মাটির প্রদীপকে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন আপু। থ্রিডি রং টা জমাট বাধার কারণ আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে। লাল রঙের ওপরে সাদা ডিজাইন গুলো সত্যিই অসাধারণ লাগছে।
একদমই তাই। প্রদীপের বিকল্প নেই।আসলে লোকাল দোকানগুলোতে অনেক দিন ধরে মাল তুলে রাখে। তাই হয়তো জমাট বেঁধে গেছে।
আমিও খেয়াল করে দেখেছি এখন বেশিরভাগ বাড়ির ছাদে প্রদীপের বদলে মোমবাতি টাই বেশি দেওয়া হয়। তবে আমার কাছে প্রদীপের সৌন্দর্যটা একদমই আলাদা লাগে। মনের ইচ্ছা থাকলে যেসব কিছুই হয় তারই প্রমাণ কিন্তু আর একবার হাতেনাতে পেয়ে গেলেন। বেশ ভক্তি ভরে প্রদীপে আর্ট গুলো করেছেন। ভালো লাগলো দেখে। পরবর্তীতে আরো যে সুন্দর কাজগুলো করবেন সেগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আমার প্রদীপটাই ভালো লাগে যদিও খাটনী বেশী। তবুও ভালো লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে। আগাম দীপাবলীর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। নিজের হাতে খুবই সুন্দর করে সাজিয়েছেন আপনার দিপ বাটি। আপনার জন্য অনেক অনেক মঙ্গল কামনা করছি।
আপনাকেও আগাম শুভেচ্ছা জানাই দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে। 😇
সত্যিই প্রদীপ এবং মোমবাতির আলো বিষয়টি আলাদা। আরে প্রদীপকে যদি আরেকটু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয় তাহলে তো অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না ৫০ টাকায় আপনি এত কিছু কিভাবে পেলেন। একটু জানার ইচ্ছে ছিল কোনটার দাম কত। আর আপনি যখন প্রদীপ গুলোকে রঙিন করে তুললেন দেখতে ভীষণ আকর্ষণীয় লাগছিল। এই ধরনের হাতের কাজগুলো আমি ভীষণ পছন্দ করি।
আসলে প্রদীপের দাম ছিলো ৫ টাকা। আমার থেকে ৪ টাকা নিয়েছেন কাকু। আর এই ফেব্রিক রঙের দাম ২৩ টাকা। আর 3D বর্ডার এর দাম পঁচিশ টাকা।ফেব্রিক রং কেনার পর বাকি যে টাকা টা ছিলো, সেটার সাথে আমার কয়েনের ব্যাগে থাকা খুচরো পয়সায় ম্যানেজ হয়ে গেছে। 🥰 অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি দীপাবলির জন্য খুব সুন্দর ভাবে মাটির প্রদীপ সাজিয়েছেন। আপনার এই সাজানো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। লালের মধ্যে সাদার কম্বিনেশন যেন একদম ফুটে উঠেছে। খুব সুন্দর ভাবে ধাপগুলো দেখিয়েছেন।এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।