DIY এ ওয়াল হ্যাঙ্গিং(১০% @shy-fox এর জন্য)
তারিখ-০৩.১১.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আশাকরি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।আমি যবে থেকে কমিউনিটি তে পোস্ট করছি, আমি চেষ্টা করি আমার পোস্টে যেনো বৈচিত্র্য থাকে।অর্থাৎ সপ্তাহের ৭ দিন আমি চেষ্টা করি ৭ টা ৭ রকম পোস্ট করার।জানিনা আমি কতটা সফল তবে ব্লগিং যাত্রাতে যতদিন আমি থাকব, ততদিন আশা করব আমি এই ধারাবাহিকতা যেনো বজায় রাখতে পারি। এই সপ্তাহে বেশ কিছু ভিন্ন স্বাদের পোস্ট করেছি।তাই আজ ভাবছিলাম কি পোস্ট করব!অবশেষে ঘরের মশারি টাঙানোর হূকটা দেখে ভাবলাম, "আমি তো মশারি টাঙাই না(যদিও গর্বের বিষয় নয়, যা পরিমাণে ডেঙ্গু বাড়ছে অবশ্যই মশারি টাঙানো উচিত।আমার পোস্ট পড়ে কেউ উৎসাহিত হয়ে মশারি ছাড়া ঘুমোতে না।ডেঙ্গু হলে কিন্তু কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। 😆)। আর এই হূকটাও কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।তাহলে বরং ঘরে যা খুচরা হাতের কাজের জিনিস আছে, সেটা দিয়ে একটা ওয়াল হ্যাঙ্গার বানিয়ে ফেলি বরং।"
ক্রমিক | উপকরণ |
---|---|
১ | রঙিন কাগজ |
২ | একটি পুরোনো কার্টোন বাক্সের অংশ |
৩ | সুতো |
৪ | কেঁচি |
৫ | আঠা |
৬ | টুথপিক |
৭ | সেলোটেপ |
৮ | পুঁথি |
প্রণালী
একটি কার্টোন বাক্সের একটি দিক নিয়ে তাকে অষ্টভুজাকৃতিতে কেটে নিলাম।
একটি হলুদ রঙিন কাগজে আঠা লাগিয়ে তা ওই বোর্ডের মধ্যে লাগিয়ে বোর্ডের আকারে কেটে নিলাম।
এবার একটি তুঁতে রঙের কাগজকে প্রথমে বর্গাকারে কেটে সেটাকে কৌনিক বিন্দু বরাবর যুক্ত করে ত্রিভুজাকারে ভাজ করে নিলাম।
এবার ত্রিভুজাকারে আরো দুবার ভাজ করে নিলাম।এবং কেঁচি দিয়ে অর্ধেক পাতার আকারে কেটে নিলাম।
প্রতিটি থেকে ৪ টে করে পাঁপড়ি তৈরী হবে। এবার পাঁপড়িগুলোর এক মাথায় আঠা দিয়ে বোর্ডে লাগিয়ে দিলাম।
এবার টুথপিক নিয়ে একদিকে বিভিন্ন আকারে কেটে লাগিয়ে দিলাম।
এবার পুঁথি নিয়ে প্রতিটি ফুলের মাঝে বসিয়ে দিলাম।
আরো কিছু পাতা বানিয়ে বোর্ডের চারধারে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলাম।সাথে সোনালী রঙের কিছু পুঁথি লাগিয়ে দিলাম আঠা দিয়ে।
এবার তুঁতে কাগজকে শঙ্কুর আকারে ভাজ করে নিলাম এবং আঠা লাগিয়ে দিলাম।
এবার শঙ্কুর ভেতর থেকে একটি সুতো ঢুকিয়ে গিঁট দিয়ে দিলাম যাতে না খুলে যায়।
এবার এই সুতোচারটে সেলোটেপ দিয়ে বোর্ডের পেছনে লাগিয়ে দিলাম। এবং ঝোলানোর জন্য আরেকটি সুতোও লাগিয়ে দিলাম।
ব্যাস। তৈরী হয়ে গেলো আমার বানানো ওয়াল হ্যাঙ্গিং। এবার আর কি? দেওয়ালে ঝুলিয়ে দিলাম।
আজ এখানেই শেষ করলাম বন্ধুরা। আবার আসব নতুন কিছু নিয়ে।
আপনি অনেক ভাল একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। সাত দিনে সাতটি পোস্ট করলে আসলেই পোস্টে বৈচিত্র আসে। হঠাৎ করে মশারি টাঙানোর হুকটা দেখে আপনার মাথায় ওয়াল হ্যাংগিং এর বুদ্ধি এসেছে এটা তো ভালো একটি আইডিয়া দিয়েছেন আপু। আমরা আশেপাশের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জিনিস দেখি এটা থেকে আমাদের একটা আইডিয়া নেওয়া যেতেই পারে। আপনার ওয়াল হ্যাংগিং টি কিন্তু আমার কাছে দারুন লাগলো। কালার কম্বিনেশনটাও চমৎকার করেছেন আপু। পুঁতি বসানের কারণে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগছে।
হ্যাঁ আসলে আমার ঘরটা খুব গরম। ওই কারণে মশারি টাঙানো হয় না। জানলা খুলি না তাই মশাও বিশেষ ঢোকে না।
ইদানিংআমাদের দেশেও মশার প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু মশা অনেক ভয়ানক একটি মশা। তাই আপু আপনিও মশারি টাঙাবেন।আপনি ঘরের পুরনো জিনিস দিয়ে অনেক সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দিদি
অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর কমেন্ট করে আমার দিনটি সুন্দর করে তোলার জন্য।
মশারি টাঙানোর জায়গায় আপনি ওয়াল হ্যাঙ্গিংটি আটকিয়েছেন। এদিক থেকে মশার ওষুধ যে মশারি সেটা কি আপনি জানেন না, মশারি না টানাটালে তো মশা আপনাকে যেকোনো দিন কাঁধে করে নিয়ে যেতে পারে 😀😀 সময় থাকতে সতর্ক হোন। যাই হোক অনেক চমৎকার ছিল আপনার ওয়াল হ্যাঙ্গিংটি
হাহা! সত্যিই ভীষণ প্রকপ মশার।ধন্যবাদ দাদা
তাহলে বলবো গুড নাইট কয়েল ব্যবহার করে দেখেন কি হয়
আমাদের দেশে এখন ডেঙ্গু মশা বেশি দেখা যাচ্ছে। এটি খুবই ভয়ংকর একটি মশা। আপনি ঘরের পুরাতন একই জিনিস দেখে নতুন একটি জিনিস তৈরি করেছেন শক্তি এরকম বুদ্ধি দিয়ে কাজ করার মজাটাই আলাদা। খুবই সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই ওয়াল হ্যাংগিং। অনেক সময় লেগেছে এটি তৈরি করতে দেখে মনে হচ্ছে। কাগজ দিয়ে অসাধারণ জিনিসপত্র তৈরি করা যায়
হ্যাঁ ডেঙ্গুর প্রকোপ ভীষণ বেড়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
আপু আমিও আপনার মতো চেষ্টা করি সাতদিনে সাত রকম পোস্ট করার তবে আমিও জানিনা কতটুকু সফল হতে পেরেছি। যাই হোক আপনার আইডিয়ার প্রশংসা না করে পারলাম না।মশারি টানানোর জায়গা এখন দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আমার কাছে ওয়াল হ্যাঙ্গিং অনেক ভালো লেগেছে এবং সাথে আপনার আইডিয়াও খুব ভালো ছিল। ওয়াল হ্যাঙ্গিং বানানোর ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দিদি। এতে সৃজনশীলতা প্রকাশ পায়।
@payelb আপনার তৈরি করা হাতের জিনিষটা ভালো ছিল। তবে সপ্তম ধাপে ছবিটি দেননি, ওখানে একটা ছবি হবে। তিনটা ফুলের মাঝখানে যে পুঁথি দিয়েছেন ওই ছবিটা সপ্তম ধাপে হবে, বাদবাকি ধাপগুলো ঠিক আছে। এডিট করে সপ্তম ধাপে ছবিটি দিয়ে দিন , নাহলে পোস্টটিতে পরিপূর্ণতা পাচ্ছে না।
সর্বপ্রথম আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর এত দেরিতে রিপ্লাই করার জন্য মার্জনা করবেন। আমি সকাল থেকে সুযোগ পাই নি। আপনার কথা মত আমি সপ্তম ধাপে ছবি অ্যাড করে দিয়েছি।একবার দেখে নেবেন প্লিজ।