ডিমের ডেভিল 😈(১০% @shy-fox এবং ৫% @abb-charity এর জন্য)
তারিখ-২৮.১২.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| ১.হাঁসের ডিম | ৩টে |
| ২.আলু মাঝারি | ২ টো |
| ৩.গোটা জিরে | ১/৪ চা চামচ |
| ৪.গোটা ধনে | ১/৪ চা চামচ |
| ৫.মৌরী | ১/৪ চা চামচ |
| ৬.শুকনো লঙ্কা | ১ টা |
| ৭.কাঁচা লঙ্কা | ১টা |
| ৮.সাদা তেল | ১ কাপ |
| ৯.নুন | স্বাদমতো |
| ১০.হলুদ | ১/২ চা চামচ |
| ১১.গোল মরিচগুঁড়ো | ১/৪ চা চামচ |
| ১২.আদা বাটা | ১/২ চা চামচ |
| ১৩.লঙ্কা বাটা | ১/২ চা চামচ |
| ১৪.বেসন | ৪ টেবিল চামচ |
😈প্রণালী😈
প্রথম ধাপ
প্রথমে মশলাগুলোকে একসাথে এক জায়গায় নিয়ে নিলাম।যাতে করে ভাজার সময় পরিমাণটা বুঝতে সুবিধা হয়। আপনারা দেখতেই পারছেন,আমি কত কম মশলা নিয়েছি। কারণ আমার মাত্র ছটা চপ ভাজার আছে। অতিরিক্ত মশলা দিলে কিন্তু খুবই উগ্র গন্ধ বেরোবে। যেটা খেতে খারাপ লাগবে। এই মশলাটা দেওয়া হয় একটা ভাজা ভাজা ফ্লেভার পাওয়ার জন্য। আর কিছুই নয়। তাই যেমন চপ ভাজবেন ঠিক সেই হিসেবেই মশলাটা নেবেন।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার একটা শুকনো খোলা তে চপের মশলাটা ভেজে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
হামান দিস্তাতে মসলাটাকে ঠান্ডা হওয়ার পরে গুঁড়িয়ে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
আলুগুলোকে সেদ্ধ করে নামিয়ে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
আলুতে গুঁড়ো করা মশলা,হলুদ, লবণ,হাফ চা চামচ আদা বাটা এবং কাঁচালঙ্কা কুঁচি দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার আলুটাকে ভালো করে মেখে নিলাম।
সপ্তম ধাপ
এবার একটি কড়াই গরম বসিয়ে, তাতে দেড় চা চামচ সাদা তেল দিয়ে দিলাম গরম হওয়ার জন্য।
অষ্টম ধাপ
এবার আলুটাকে খানিকটা সাঁতলে নিলাম ওই তেলের মধ্যে।
নবম ধাপ
চার টেবিল চামচ বেসন নিয়ে নিলাম এবং তাতে পরিমাণমতো নুন হলুদ এবং লঙ্কা বাটা দিয়ে দিলাম।
দশম ধাপ
এবার পরিমাণ মতো জল দিয়ে বেসনটা গুলিয়ে নিলাম। আপনারা এই পর্যায়ে এখানে বেকিং সোডা দিতে পারেন। কিন্তু আমি বেকিং সোডা অ্যাভয়েড করি।খুব পাতলা বা খুব ঘন ব্যাটার হবে না।
একাদশ ধাপ
তিনটে হাঁসের ডিমকে মিডিয়াম বয়েল করে নিলাম। যাতে কুসুমটা একটু নরম থাকে। ফলে খেতে আরো সুস্বাদু হবে। ক্রিমের টেক্সচার পাওয়া যাবে।
দ্বাদশ ধাপ
একটি পাত্রে নুন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মেশিয়ে নিলাম।
ত্রয়োদশ ধাপ
গোলমরিচ গুঁড়ো এবং নুনের মিশ্রণটি কুসুমগুলোর উপর অল্প অল্প করে দিয়ে দিলাম।
চতুর্দশ ধাপ
আলুটাকে সমান ছয় ভাগে ভাগ করে নিলাম।
পঞ্চদশ ধাপ
এবার প্রত্যেকটা ডিমের কুসুম যেদিকে আছে সেদিকে আলুটা কেমন ভাবে লাগিয়ে দিলাম যেন পুরোটাকে একটা আস্ত ডিম মনে হয়।
ষোড়শ ধাপ
সব আলুগুলো ডিমের সাথে লাগিয়ে নেওয়ার পরে, এইভাবে ১৫ মিনিট রেখে দেবো সেট হওয়ার জন্য।
সপ্তদশ ধাপ
এবার কড়াইয়ে এক কাপের মতো তেল দিয়ে, তেলটিকে গরম করতে দিলাম।
অষ্টাদশ ধাপ
তেল গরম হলে ডিম কে বেসনে ডুবিয়ে এইভাবে তেলের উপর দিয়ে দিলাম।
উনবিংশ ধাপ
বেসনের কোটটা যতক্ষণ না ভালো করে সোনালী-লালচে রংয়ের আভা আসছে, ততক্ষণ ধরে ভেজে যেতে হবে।
শেষ ধাপ
ভালোমতো ভাজা হয়ে গেলে একটা সারভিং প্লেটে তুলে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল আমার বাঙালি স্টাইলের ডিমের চপ বা এক ডেভিল বা ডিমের ডেভিল। এবারে উপরে একটু বিটনুন ছিটিয়ে সস এবং শসা কুঁচি দিয়েও খেতে পারেন অথবা ভাতের সাথে ডাল দিয়েও খেতে পারেন।
আপু খুব মজাদার রেসিপি নিয়ে এসেছন। এর আগেও আমি একবার খেয়েছিলাম এই রেসিপি। এই রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয় ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ☺
প্রথমে নামটা শুনে অপরিচিত লাগছিল কিন্তু আমরা এটাকে ডিম আলুর চপ হিসেবেই চিনি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ডিমের চপও বলি আমরা।
ডিমের ডেভিল নাম শুনেছি কিন্তু খাওয়া হয়নি। আপনি ডিমের ডেভিল বানানোর খুব সুন্দর এবং ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়েছেন শুনে খারাপ লাগছে। আশা করি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবেন। আপনার বাবা মা আপনার কষ্ট দেখে নিজ থেকেই আগ্রহ নিয়ে ভেজে দিয়েছে এবং ছবিও তুলেছে। রান্নার প্রণালী খুব ভাল ছিল। আমারও মুরগীর ডিমের থেকে হাসের ডিম বেশি ভাল লাগে। ধন্যবাদ দিদি।
ধন্যবাদ দাদা।
ডিমের ডেভিল আর ডিমের চপ যাই নাম হোক না কেন খেতে কিন্তু দারুন লাগে।শীতে এমন ভাজাভুজি করে খেতে বেশ মজাই হয়।আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন, দেখে খুব ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
ধন্যবাদ দিদি।
সত্যিই রেসিপিটা দেখতে অনেক মজাদার।আমিও ট্রাই করবো ইনশাআল্লাহ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।