গোধূলির আগে এবং পরের ছবি(১০% @shy-fox এর জন্য)
তারিখ-২৯.১০.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আশাকরি ঈশ্বরের আশীর্বাদে আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালোই আছি।
আচ্ছা বলুন তো প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের কার না ভালো লাগে।আমি তো নিজেকে মাঝে মাঝে nature child বলে ফেলি। ওই খানিকটা নিজেকে নিজেই ভূষিত করা আর কি। প্রকৃতিতে ঘুরতে আমার ঠিক যতটা ভালো লাগে, প্রকৃতির ছবি আঁকতে ঠিক ততটা ভালো লাগে। যদিও আমি বড় মাপের কোন আর্টিস্ট তো নই। তবুও নিজের সৃজনশীলতা নিয়ে আমার কোন রকম হীনমন্যতা নেই। অন্ততঃ যতটা পারি তুলে ধরার চেষ্টা করি।তার মানে কি আর ভুল ভ্রান্তি হয় না? অনেক হয়। অনেকের চেয়ে অনেক বেশীই হয়। কিন্তু এই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারে যুক্ত হওয়ার পর মনে হয় ভুল ভ্রান্তি হলেও এই পরিবারের মানুষেরা আছেন যারা সহজেই এবং সরল ভাবেই আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারবেন যাতে আমি নিজেকে শুধরে নিতে পারি। আর ভুল করছি বলে থেমে থাকলে তো আর ভুল টা সংশোধন হবে না।
কথাতেই তো আছে-
practice makes perfect.
তাই একরকম চেষ্টা করছি পারফেক্ট হওয়ার জন্য।
আজ আমি একটি প্রাকৃতিক পরিবেশের ছবি এঁকেছি।যদিও এটা অন্য একটা ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই আঁকা।তবে হুবহু সেই ছবি টা আঁকি নি।
এই ছবিতে আমি জল রং এবং প্যাস্টেল রং একসাথে ব্যাবহার করেছি।
আসুন কথা আর না বাড়িয়ে উপকরণ এবং প্রণালী বলে দি।
ক্রমিক | উপকরণ |
---|---|
১ | বোর্ড |
২ | খাতা |
৩ | পেন্সিল |
৪ | ইরেজার |
৫ | কম্পাস |
৬ | স্কেল |
৭ | প্যাস্টেল রং |
৮ | জল রং |
৯ | স্কেচপেন |
প্রণালী
একটি খাতা নিয়ে তার চারপাশে বর্ডার করে নিলাম।সাথে একটা কম্পাস দিয়ে চাঁদের জন্য গোল করে নিলাম একদিকে।
এবার ধীরে ধীরে জল রঙ দিয়ে আকাশটা বেগুনী এবং পিংক রঙ করে নিলাম পর্যায়ক্রমে।
এবার অন্যদিকে নীল, কমলা এবং হলুদ করে নিলাম অন্য দিকে।
এবার ভূমিটা একদিক একটু উঁচু এবং একদিক একটু নীচু করে কালো রং দিয়ে ভরে নিলাম।
এবার একদিকে চাঁদ টা সাদা রং করলাম।
এবার অন্য দিকে অস্তমিত সূর্য কে হলুদ রং করলাম।
এবার অয়েল প্যাস্টেল রং দিয়ে শুধু আকাশ টা রং করলাম।জল রংগুলো যা যা ব্যবহার করেছিলাম।অয়েল প্যাস্টেলও সেগুলো ব্যবহার করব।
দু দিকের আকাশই অয়েল প্যাস্টেল দিয়ে রং করে নিলাম।এখানে জল রংয়ের উপর অয়েল প্যাস্টেল ব্যবহার করায় বিষয়টা ভীষণই স্মুথ হয়েছে।
এবার নীচে ছোট ছোট ঝাউগাছ এঁকে দিলাম। একদিকে সবুজ রং দিয়ে, অন্য দিকে কালো রং দিয়ে।সব শেষে গোধূলির দিকে একটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে এবং সন্ধ্যের দিকে একটি মেয়ে বসে আছে এঁকে দিলাম।
নীচে নিজের নাম লিখে এবং তারিখ দিয়ে ছবিটি শেষ করলাম।
এখানে ছবিটি প্রধানত গোধূলি অর্থাৎ সূর্যাস্তের ঠিক আগের মূহুর্তে এবং সূর্যাস্তের ঠিক পরের মূহুর্তে প্রকৃতির কেমন রং পরিবর্তন হয় তা দেখানো হয়েছে। যদিও এর অন্তর্নিহিত অর্থ যথেষ্ট গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু আমি এখানে ছবি আঁকলাম, তাই অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করলাম না।আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন কিছু নিয়ে।সকলে ভালো থাকবেন।
গোধূলির আগে ও পরের অবস্থায় আপনার তৈরি করা আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি আর্ট এর মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে গোধূলির আগেও পরের অংশগুলো আমাদের সাথে ফুটে তুলেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ। 😊
আপনি বড় মাপের আর্টিস্ট না হলেও অনেক সুন্দর চিত্রাংকন করেছেন। গোধূলির আগে ও পরের বিষয়টি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। পুরো অংকনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল দিদি।
অনেক ধন্যবাদ দিদি। ভালো লাগলো।
যেকোনো কাজ নিজের মতো করে করতে পারলেই অনেক শান্তি পাওয়া যায়। বড় মাপের আর্টিস্ট যে সবাইকে হতে হবে তার কোন মানে নেই। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী যতটুকু পেরেছো সেটাই অনেক।গোধুলির আগে ও পরের দুটো দৃশ্য দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে। তোমার আর্টের হাত অনেক ভালো। চালিয়ে যাও অনেক ভালো কিছু করবে। শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দিদি। ❤
সত্যি কথা বলতে ভুল ভ্রান্তি আমাদের সবার হয়। তবে আমরা এমন একটি পরিবার পেয়েছি যেখানে আমরা নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাই। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সবাই পাশে থেকে উৎসাহ দেয়। সত্যিই আপু আপনার এই পেইন্টিং দারুন হয়েছে। গোধূলি লগ্নে প্রকৃতি যেমন নতুনভাবে সেজে ওঠে তেমনি গোধূলির পরেও অন্য রকমের আভা তৈরি করে। দুটি চিত্র যেন প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি। দারুন ছিল আপু।
অনেক ধন্যবাদ বোন পাশে থাকার জন্য।