তারিখ-০৮.০১.২০২৩
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালোই আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা কিউট পেইন্টিং নিয়ে এসেছি। তার আগে আপনাদের কাছে জানতে চাই, আপনাদের ওখানে শীত কেমন পড়েছে? আমাদের এখানে টেম্পারেচার বেশ ভালোই নেমেছে।অর্থাৎ আমার মতো মানুষ যে কিনা সহজে সোয়েটার পড়ে না, সে ও রাত্রিবেলা সোয়েটার পরে ঘুমাচ্ছে। হাহাহা নিজেরই হাসি পাচ্ছে। সারাদিন গায়ে সোয়েটার রয়েছে। একটা সোয়েটার ধুতে দিচ্ছি তো আরেকটা পরে বসে আছি। এভাবেই চলছে। আপনাদের এই শীতে কেমন চলছে সেটা অবশ্যই জানাবেন। আর খাওয়া দাওয়া যদিও বেশ ভালোই চলছে, ভেবেছিলাম ডায়েট করব কিন্তু কিছু আত্মীয় বাড়িতে আসার সাথে আমারও বেশ লাভই হচ্ছে। কারণ টেস্টি খাবার খেতে পারছি। শীত মানে ই সুস্বাদু খাবারের সম্ভার। পিঠে,পায়েস,ভাজাপোড়া এসব শরীর বেশ চাঙ্গা হয়ে যায়। আর তার সাথে কফির পর কফি খাচ্ছি। তবুও ঠান্ডা কমছে না। আপনাদের অভিজ্ঞতা অবশ্যই ভাগ করে নেবেন। কোথাও ঘুরতে গেছেন কিনা সেটাও জানাবেন। আমি যদিও কোথাও ঘুরতে যাইনি কারণ বেশ কিছু কাজ রয়েছে।
যাই হোক আজকে যে উপস্থাপনা নিয়ে এসেছি সেটার বিষয়ে বলি। আজকে ভাবছিলাম কি আঁকবো? হঠাৎ করে মনে পড়লো অ্যাঙ্গরি বার্ড আমার খুব পছন্দের একটা ক্যারেক্টার। সেটাই আঁকা যাক। নিচে উপকরণ এবং প্রণালী রইলো।
ক্রমিক | উপকরণ |
১ | খাতা |
২ | পেন্সিল |
৩ | ইরেজার |
৪ | কম্পাস |
৫ | স্কেল |
৬ | অয়েল প্যাস্টেল |
👩🏼🎨প্রণালী👩🏼🎨
প্রথম ধাপ
খাতায় একটি অংশে বৃত্ত এঁকে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার বৃত্তের উপরের দিকটা একটু উঁচু করে দিলাম এবং তাতে ভ্রূ, চোখ আঁকলাম।
তৃতীয় ধাপ
এবার মাথার উপর পালক গুলোকে দিলাম আর চোখ এবং ঠোঁটটা আঁকলাম।
চতুর্থ ধাপ
এবার আরেকটা ত্রিভুজ আঁকলাম এবং তার উপরের অংশটা একটু বাঁকিয়ে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এবার ত্রিভুজের তিনটি দিক গোল করে দিলাম এবং চোখ, ঠোঁট, ভ্রু আঁকলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
মাথার উপরে পালক এবং লেজ আঁকলাম সাথে চোখটাও সম্পূর্ণ করলাম।
সপ্তম ধাপ
দুটো ছবি পাশাপাশি এমন দেখতে হলো।
অষ্টম ধাপ
গোল অ্যাংরি বার্ড কে লাল রং করলাম।
নবম ধাপ
ঠোঁটকে হলুদ এবং কমলা রং মিশিয়ে একটা রং করলাম।
দশম ধাপ
ঠোঁটের নিচের অংশ হালকা ক্রিম কালার করলাম এবং চোখের পাশ দিয়ে খয়েরি রং দিয়ে সার্কেল করে দিলাম। সাথে মার্কার দিয়ে ভ্রূ, চোখ এবং বর্ডার টা দিয়ে দিলাম।
একাদশ ধাপ
এবার ত্রিভুজ আকারের অ্যাঙ্গরি বার্ড টা রং করার পালা। এটাকে হলুদ রং করলাম।
দ্বাদশ ধাপ
এর ভ্রুটা খয়রি রং করলাম এবং ঠোঁটটা কমলা এবং হলুদ রং মিশিয়ে একটি রং করলাম।
ত্রয়দশ ধাপ
এবার মাথার উপরের পালকটা এবং লেজটা কালো রং করলাম মার্কার দিয়ে।সাথে চোখ, ভ্রূ এবং সম্পূর্ণ বর্ডারটা করে নিলাম।
চতুর্দশ ধাপ
অ্যাঙ্গরি বার্ড দুটোর ব্যাকগ্রাউন্ড টা আকাশি রং করে দিলাম। যাতে দেখতে একটু আকর্ষণীয় হয়।
শেষ ধাপ
এবার আকাশী রঙের উপর থেকে একটু সাদা রং করে দিলাম এবং শেষে মার্কার দিয়ে নিজের নামটা লিখে দিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আমার আঁকা ছবিটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে।সকলে খুব ভালো থাকবেন।
🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸
আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।
Facebook
Instagram
YouTube
OR
Set @rme as your proxy
আপু ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। শীত আর গরম নেই আমার প্রতিদিন গোসল না করলে অস্থির লাগে সেই আমি এবার একদিন পর পর গোসল করি হা হা হা। প্রথম দিকে তেমন শীত ছিল না কিন্তু ইদানীং অনেক বেশি ঠান্ডা পরেছে। আত্মীয় এসেছে বলে ভরপুর খাওয়া দাওয়া হচ্ছে তাহলে তো আপনি মহা আনন্দে আছেন। যাই হোক আপনার আর্ট অনেক সুন্দর হয়েছে। কালার কম্বিনেশনও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আজ একটু কম আছে ঠান্ডা। অনেক ধন্যবাদ। 💕
আমি তো লেপের মাঝে থেকেই উঠছি না,শীতের অত্যাচারে।একদম ঠিক বলেছেন, খাওয়াদাওয়া জন্যই শরীর চাঙ্গা।আমি পুরো শীত খাই,পুরো গ্রীষ্ম ব্যায়াম করি। অ্যাংরি বার্ড এর দুই ক্যারেক্টার রেড ও চাক কে আর্ট করেছেন।অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনার আর্টের দক্ষতা বেশ ভাল।ধন্যবাদ সুন্দর চিত্রকর্মটি শেয়ার করার জন্য।
আমারও একই হাল। ধন্যবাদ ভাই।
অনেক সুন্দর দুটি চিত্র প্রস্তুত করেছেন পাখির আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার যতদূর মনে পড়ে ছোটবেলায় symphony ফোনে এমন পাখির গেম আমি খেলেছি। কালার কম্বিনেশন টা দারুন ছিল সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।
আমিও প্রচুর খেলতাম। অনেক ধন্যবাদ। 💕
শীতে সবারই একই অবস্হা। এই শীতে তো কম্বলের ভেতর থেকে হাত বের করতেি ইচ্ছা করে না।আর আপনি এতো সুন্দর এঙ্গরি বার্ড অংকন করেছেন।দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে।অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর আর্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও লেপের তলা থেকে বেড়োচ্ছি না। ধন্যবাদ দিদি।
আপু এই শীতে অবস্থা একেবারে নাজেহাল🥶।কম্বল থেকে বের হতে খুব কষ্ট হয়।আর আপনার মত আমারও সুয়েটার পড়তে ভালো লাগে না। কিন্তু এই শীতে সুয়েটার না পড়ে আর পারি না।যাই হোক আপনি অ্যাঙ্গরি বার্ড অংকন করেছেন।আগে আমি এই গ্যামস্ টি অনেক খেলেছি।আর এই কার্টুনটিও দেখেছি।এত সুন্দর একটি আর্ট করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।