DIY স্কেচপেনদানি(১০% @shy-fox এবং ৫% @abb-school এর জন্য)
তারিখ-২১.১০.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আশাকরি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।অনেক দিন ধরেই ঘরে কিছু পুরোনো হাবি জাবি কৌটো জমে ছিলো। তা দীপাবলি তে সাফাই করতে গিয়ে মা ওগুলো ফেলেই দিচ্ছিলো।কিন্তু আমি দেখলাম সেগুলোর মধ্যে আমার ২০১৫ তে কেনা ফাস্ট্রাকের একটা ঘড়ির কৌটো রয়েছে।ভাবলাম রেখে দি। যদি কোন কাজে লাগে। এরপর ঘর গোছাতে গিয়ে দেখলাম স্কেচ পেন গুলো বড্ডই আগোছালো হয়ে আছে। ওমনি মাথায় বুদ্ধি চলে এলো।
ভাবলাম আগের দিন জুয়েলারী বক্স বানানোর জন্য বেশ কিছু রঙিন কাগজ বেচে গেছিলো। সেটা কেই কাজে লাগাই।
এবার আর কি? যেই ভাবা সেই কাজ।বানিয়ে ফেললাম আমার স্কেচপেনদানি।আসুন বলে দি কি কি লাগবে।আর কি ভাবে বানাবেন।
ক্রমিক | উপকরণ |
---|---|
১ | রঙিন তুঁতে কাগজ |
২ | আঠা |
৩ | কেঁচি |
৪ | পেন্সিল |
৫ | ইরেজার |
৬ | জলরং |
৭ | তুলি |
৮ | রঙিন সেলোটেপ |
৯ | 3D লাইনার |
১০ | স্কেচপেন |
১১ | খাতা |
প্রণালী
প্রথম ধাপ
প্রথমে একটা খাতার এক কোনায় পেন্সিল দিয়ে একটা ছোট ঘর করে নিলাম যাতে পুরো পাতা টা নষ্ট না হয়।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার এই ঘরের মধ্যে ছোট করে পু বিয়ারের মুখ আঁকলাম।
তৃতীয় ধাপ
এবার পু বিয়ারের পুরো মুখ হলুদ রং করে দিলাম এবং মুখের ভেতর লাল রং করলাম, জিভ টা গোলাপী করলাম, আর জামার কলার টা লাল রং করলাম।
চতুর্থ ধাপ
পু বিয়ার কে কালো বর্ডার দিলাম স্টেচপেন দিয়ে। নাক, ভ্রূ এবং চোখ টাও কালো স্কেচ পেন দিয়ে এঁকে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এবার পু বিয়ারের মুখ টা খাতা থেকে একদম বর্ডার বরাবর বারতি অংশ টা কেটে বাদ দিয়ে নিয়ে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার রঙিন তুঁতে কাগজ টার ভেতরের দিকে ঘড়ির বাক্সটা বসিয়ে তার প্রস্থ টা দেখে নিলাম। এবং সেই অনুসারে পেন্সিল দিয়ে একটা লম্বা দাগ কেটে নিলাম যাতে সাইজে সমস্যা না হয়।
সপ্তম ধাপ
এবার কাগজের মধ্যে লম্বা বরাবর ভেতরের দিকে আঠা দিয়ে নিলাম এবং ঘড়ির কৌটোতে মুড়িয়ে নিলাম।
অষ্টম ধাপ
এবার কেটে রাখা পু বিয়ারের ছবিটার পেছনে আঠা লাগালাম।এবং তা কৌটোর উপর লাগিয়ে দিলাম।
নবম ধাপ
এবার 3D আউট লাইনার দিয়ে পু বিয়ারের মুখের পাশে 'Poo' লিখে দিলাম।
দশম ধাপ
এবার রঙিন সেলোটেপ দিয়ে কৌটোর ব্যাস বরাবর বর্ডার দিয়ে দিলাম যাতে একটু আকর্ষণীয় হয়।
ব্যাস তৈরী হয়ে গেলো আমার স্কেচপেনদানি।
আজ এখানেই শেষ করলাম।কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।আবার আসব অন্য কোন পোস্ট নিয়ে।
আইডিয়াটা বেশ ভালো। তবে ফিনিশিংটা আরো ভালো হলে আরো ভালো লাগতো। আরও সুন্দর সুন্দর কিছু হাতের কাজ দেখার অপেক্ষা রইলাম।ধন্যবাদ।
আসলে রঙিন পেপারটা খুবই পাতলা। তাই আঠা লাগানোতে এমন ক্রাম্প হয়ে গেছে।মোটা পেপার হলে এটা হত না। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
আপনিতো অনেক ক্রিয়েটিভ দেখছি। আপনার মা ফাস্টট্র্যাকের ঘড়ির বাক্সটা ফেলে দিচ্ছিল। আপনি তা এনে রেখে দিয়েছেন। তারপর একটি পু বিয়ার একেছেন। রঙিন কাগজ বাক্সের চারপাশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে পু বিয়ারের স্টিকার তাতে লাগিয়ে দিয়েছেন। খুব সুন্দর হয়েছে এবং ভাল লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ দিদি।
আমি তেমন ক্রিয়েটিভ কিনা জানি না, তবে চেষ্টা করছি একটু একটু করে শেখার। সহযোগিতা করবেন দাদা।
আরে বাহ বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করেন দেখি আপনি 👌 এক কথায় মিষ্টি লাগছে পুরো ব্যাপারটা। আর আপনার পু বিয়ারের জন্যই হয়তো এত সুন্দর ফুটে উঠেছে কলমদানিটা। কালার পেপারটা আর একটু মোটা ধরনের হলে কাজের ফিনিশিং টা আরো বেশি সুন্দর হতো মনে হয়। তবে চমৎকার ছিল পুরো আইডিয়াটা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 😇
আমার বাংলা ব্লগ diy পোস্ট খুবই পছন্দ করে। ভালো করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ সাপোর্ট করার জন্য। আমি সবসময় চেষ্টা করব কোয়ালিটি কন্টেন্ট পোস্ট করার।
আপু আপনার আইডিয়াটা অনেক ভালো হয়েছে ফেলে দেওয়া জিনিস গুলো নিয়ে খুব সুন্দর একটি স্কেচপেনদানি বানিয়ে নিয়েছেন। আপনার পু বিয়ারের জন্য এটি দেখতে আরও বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য । আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।