চিংড়ির দেনা-পাওনা(১০% @shy-fox এবং ৫% @abb-school এর জন্য)
নমস্কার বন্ধুরা! হ্যাঁ অনেকটা দিন দেরি করে ফেললাম।প্রথমেই সেই কারণে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।কারণ একটা অবশ্যই আছে।আমি হঠাৎ করেই আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্যর সাথে ঘুরতে গেছিলাম। কোথায় গেছিলাম, কি করলাম সব কিছু নিয়ে কয়েকটা পর্ব অবশ্যই লিখব।কিন্তু আজই বাড়ি ফিরলাম তাই গুছিয়ে লিখতে অন্ততঃ একটা দিন সময় লাগবে।তাই আমি আজ অন্য একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আজ আপনাদের শেখাব চিংড়ির বড়া বানানো আমার স্টাইলে।
উপকরণ
১.২০০ গ্রাম চিংড়ি।
২.একটা মাঝারি সাইজের আলু
৩.এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো
৪.এক টেবিল চামচ বেসন
৫.অল্প হলুদ
৬.হাফ টেবিল চামচ পোস্ত
৭.এক চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা
৮.নুন স্বাদমতো মত
৯.অল্প কালো জিরে
১০.সাদা তেল
প্রণালী
প্রথম ধাপ, চিংড়িগুলো কে পরিস্কার করে বেছে,ধুয়ে নুন এবং হলুদ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ, একটা কড়াইতে সাদা তেল এক টেবিল চামচ দিয়ে হাল্কা করে ভেজে নিলাম।
এখানে চিংড়ি ভাজার আগে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে চিংড়ি যেন ভাজলেও ইংরেজি
বর্ণমালার 'C' এর মত দেখতে হয় যেটা প্রকৃতপক্ষে Cooked অর্থাৎ সঠিক ভাজা।কিন্তু সেটাই যদি দেখতে 'O' এর মত হয়ে যায় তবে তা Overcooked অর্থাৎ অতিরিক্ত ভাজা হয়ে যায় এবং খেতেও রাবারের মত লাগে।তাই চিংড়ি খুব সাবধানে ভাজতে হয়।
তৃতীয় ধাপ, একটা মাঝারি মাপের আলু নিয়ে তার খোসা ছাড়িয়ে গ্রেট করে নিতে হবে। আলু বেশী না দেওয়াই ভালো। চিংড়ির স্বাদ পাওয়া যাবে না।
চতুর্থ ধাপ,গ্রেট করা আলুর সাথে বেসন, চালেরগুড়ো, পোস্ত, কালো জিরে, নুন, হলুদ লঙ্কা বাটা সব কিছু দিয়ে একটু চটকে নিতে হবে।প্রথমেই এক গাদা জল দিলে হবে না। কারণ নুন পড়লেই আলু থেকে জল ছাড়া শুরু হবে। তাই প্রথমেই দেখে নিতে হবে কতটুকু জল প্রয়োজন আদেও।
পঞ্চম ধাপ, সঠিক কন্সিসটেন্সিতে সব মাখিয়ে নেওয়ায পর হাল্কা ভাজা চিংড়ি গুলো এর মধ্যে দেবেন। তবে আমি সবগুলো কে একসাথেই দিয়ে তারপর মিশিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ,এবার সব মিশ্রণটিকে ১৫ মিনিট রেখে দেব।
সপ্তম ধাপ, কড়াই ওভেনে বসিয়ে বেশ খানিকটা তেল দেব। কারণ বড়া ভাজতে তেলটা একটু বেশি লাগে।
অষ্টম ধাপ, তেল গরম হলে তাতে মিশ্রণের থেকে ছোট ছোট অংশ নিয়ে বড়ার আকারে দিয়ে দিতে হবে এবং উল্টে পাল্টে লাল করে ভেজে নিতে হবে।
ভাজা হয়ে গেলে একটা সার্ভিং বোউলে সাজিয়ে সার্ভ করুন সস্ দিয়ে অথবা আমার মতই ভেতো বাঙালী হলে ভাত-পাতলা মুসুর ডাল-চিংড়ির বড়া নিয়ে খেতে বসে পড়ুন।😃 আজ তবে চলি। আবার ফিরে আসব অন্য কোন পোস্ট নিয়ে।
ধন্যবাদ সকলকে।
আপনার এক্টিভিটিস অনেক কম। আপনি অন্যের পোস্টে কমেন্ট করেন না বললেই চলে। আশা করি আপনি নিয়মিত হবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে, অবগত করানোর জন্য। তবে আমি কমেন্ট করতাম না কারণ আমি কটা কমেন্ট করব, তার লিমিটেশন এসবের বিষয়ে অবগত ছিলাম না। কারণ আমি মাত্র এক মাস হল এই কমিউনিটি তে আছি। মোটেই চাই নি যে তাড়হুড়ো করতে গিয়ে কোন ভুল করে বসি। তাই সবটা বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। এখনও যে সব বুঝেছি তা নয়, তবে অনেকটাই আয়ত্ত করেছি আগের দিন হ্যাংআউটে। আমি বাড়ি ছিলাম না। তাই পোস্ট কম করেছি এ কদিন। আশা করি আর কোন অসুবিধে হবে না আপাততঃ, আর হলেও পরবর্তীকালে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের জানাব।
ওকে আপু, কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে আমাদের জানাবেন।
ইউনিক একটা রেসিপি পেলাম চিংড়ি মাছের। চিংড়ি মাছের রেসিপি যেহুতু অবশ্যই সুস্বাদু হয়েছে।সস দিয়ে খেলে মনে হচ্ছে অনেক ভালো লাগবে। রান্নার প্রসেস টা দেখে রাখলাম।সময় করে বানিয়ে খাব একদিন। ধাপগুলো সহজেই উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।