টান টান উত্তেজনায় তিনটে দিন(১০% @shy-fox এর জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
তারিখ-১৫.০১.২০২৩
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে খুব ভালো আছেন।আমিও ভালই আছি। অন্তত সাময়িকভাবে এখন রিলাক্স আছি।আমার আগের পোস্টটি আপনারা হয়তো জেনেছেন যে আমার মাসতুতো ভাই তনয়ের গলব্লাডারের একটা অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। সেই নিয়েই এত ব্যস্ততা এই কদিন। আজ এই কদিনের হুজ্জুকি আপনাদের সঙ্গে একটু ভাগ করে নিচ্ছি। এই কদিন বলতে আজ আপনাদের সঙ্গে প্রধানত হসপিটালে যেদিন অপারেশন করাতে নিয়ে গেলাম সেদিনের অভিজ্ঞতা টি ভাগ করব।
সত্যি বলতে আমার মাসি, মেশো বা ভাই এরা এখানে থাকে না। তারা আসামে থাকে। সেই কারণে ভাষাগত একটা জড়তা কাজ করে। আর নতুন জায়গায় এলে আমরা যে কেউই একটু আড়ষ্ট হয়ে থাকি। এই ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার কাজ করেছে। সেই কারণে পুরো দায়িত্বটাই আমি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছি। যদিও সমস্ত খরচাপাতি সবটাই মেশো করেছে। তবে সমস্ত দায়িত্বটা আমি চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে সামলানোর।

358b8cb2-70c1-42d1-a9b9-53364f721a6b.jfif

ওরা আমাদের বাড়িতে এসেছিল জানুয়ারির পাঁচ তারিখে। তারপর ডাক্তার বাবুকে দেখানোর পরে ডাক্তার বাবু অপারেশনের ডেট দেন। তবে আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে বারাসাতে ডাক্তার বাবুর নিজের নার্সিংহোম কেয়ার অ্যাপ কিওরে অপারেশন টা হবে বলে ঠিক করা হয়। আমাদের বাড়ি থেকে বারাসাত যেতে গাড়িতে এক ঘন্টার মত সময় লাগে। যথারীতি শুক্রবার সকালবেলা বাবা একটা গাড়ি ঠিক করে দেয়। সেই গাড়িতে করে আমি মাসি,মেশো তনয় এবং আমার বাবা আমরা পাঁচজনে মিলে রওনা দি সকাল ৭:১৫ নাগাদ। পৌঁছে যাই সকাল প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ। রিপোর্টিং টাইম ছিল নটা। তাই সময় মতই রিপোর্টিং করে নিয়েছিলাম।এরপর আমাদের এক পরিচিত কাকুকে ফোন করলাম যিনি ডাক্তারবাবুর পরিচিত।বললাম এটাই যে আমার ভাইয়ের ১৭ বছর বয়স। আর ও সকাল থেকে না খেয়ে রয়েছে। বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলে ওর শরীর অবশ হয়ে যায়। ও মাথা ঘুরিয়ে যায়। ফলে যদি কাকুর পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে ডাক্তারবাবুকে যেন বলে ভাইয়ের অপারেশনটা একটু আগে আগে করে দিতে। ডাক্তারবাবু স্বনামধন্য একজন ডাক্তার। নাম ডক্টর তপনজ্যোতি ব্যানার্জি। প্রায় দিনে ৩০-৩৫ টা করে সার্জারি করেন। ফলে তার মনেও থাকে না কখন কার সার্জারি করবেন। তাই ডাক্তার বাবুকে সেই কাকুর মাধ্যমে বলে দেওয়াতে ডাক্তার বাবুর নির্দেশে ভাই কে ভর্তি করিয়ে নেওয়া হল।আধঘন্টার মধ্যে ওকে ওটিতেও নিয়ে যাওয়া হলো। ওটিতে নিয়ে যাওয়ার আগে একবার দেখা করে এলাম। আহা এত মিষ্টি করে হাসছিল তাকিয়ে! মায়া হচ্ছিলো।ভাবছিলাম,"এইটুকু বাচ্চা ছেলে, তার এমন রোগটাই ভগবান দিল? আর কি করা যাবে?

6a4f8037-55d5-4f55-8512-0754fe7e40c8.jfif

তারপরে ওকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হল।টানা ওটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ওর নাম্বার আর আসে না। এক বন্ধুর কাছে শুনেছি ডাক্তারবাবু ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করে দেন। কিন্তু প্রায় দু-আড়াই ঘন্টা হয়ে যাওয়ার পরও ওর অপারেশন হচ্ছে না দেখে একটু টেনশনে পড়ে গেলাম।কিছুক্ষণ পরে দেখলাম ডাক্তার বাবু বেড়িয়ে আসছেন। বললাম, "ডাক্তারবাবু তনয়ের অপারেশন হয়ে গেছে?" বললেন, "আমি একটা ফাংশানে যাচ্ছি। এই সামনেই।এসেই ওর অপারেশন টা করব। তার আগে দুটো অপারেশন করেছি। এর পরে ওর টাই করব।"

892e1f36-aa8a-4186-94ac-64de48e08f33.jfif

ডাক্তারবাবু ঠিক ১৫ মিনিট পরে ফিরে এলেন।কিন্তু প্রত্যেকটা মিনিট আমাদের কাছে এক একটা যুগের মত কাটছিল। মনে হচ্ছিল সময় যাচ্ছে না কেন তাড়াতাড়ি? অপারেশনটা হচ্ছে না কেনো? হঠাৎ করে অপারেশন চলাকালীন ডাক্তারবাবু গার্জিয়ান কে ডেকে পাঠালেন।আমার মাসি প্রায় ওখানে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল। আর কোন গার্জিয়ানকে ডাকেনি। তবে তনয়ের গার্জিয়ান কে কেন ডাকছেন? আমার বাবা সাহস করে ভিতরে গেলেন। বাবা ভিতরে যাওয়ার পরে প্রায় ৭-৮ মিনিট হয়ে গেল।বাবা বেরোচ্ছে না দেখে আমার আরো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।আমি পায়েচারি করেই চলেছি ওটির সামনে। হঠাৎ করে বাবা বেরিয়ে এলো, এসে বলল, "তনয়ের গলব্লাডার অপারেশন তো হয়ে গেছে।কিন্তু সাথে ছোট্ট করে হার্নিয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই ডাক্তারবাবু জিজ্ঞেস করেছেন হার্নিয়ার অপারেশনটা কি উনি করে দেবেন? নাকি ওরা পরে করাবে?মাসি কোন ডিসিশন দিতে পারল না। আমার মনে হয় এই সময়ে কোন মা ই সঠিক ডিসিশন নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে থাকে না। আমার বাবাকে আমার মাসি নিজের বাবার মত শ্রদ্ধা করে। সেই কারণে আমার বাবাকে বলল, "জামাইবাবু আপনার যেটা ঠিক মনে হয় আপনি সেটাই বলে দিন।ডাক্তার বাবুকে আমার বাবাও ভেতরে গিয়ে বলল, "স্যার সম্পূর্ণটা আপনার উপর ছাড়লাম।আপনার যেটা ঠিক মনে হবে বাচ্চা ছেলেটার জন্য, আপনি সেটাই করবেন। " ডাক্তারবাবু বললেন ঠিক আছে। যদি হার্নিয়ার অপারেশন করে দিই তাহলে সেটা একটু বড় অপারেশন। আমার আরো ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট বেশি লাগবে। আপনারা অপেক্ষা করুন।ভয় পাবেন না।"

bd00cb56-a14d-4aa2-86fa-bba1cae32083.jfif

আরো ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে ভেবে শরীর অবশ হয়ে আসছিল। সকালবেলা কেউই কিছু খেয়ে যায়নি।আর কারোই পেটে যেন খিদেও ছিল না। ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট পর প্রায় দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওটির লাল লাইটটা নিভে গেল। এবার আমাদের উত্তেজনা আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। কিছুতেই ডাক্তারবাবু আর ডাকছেন না। কিছুক্ষণ পর একজন নার্স বেরিয়ে আসলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, "তনয় পাল এর অপারেশন টা কি হয়ে গেছে?"নার্স বললেন, "হ্যাঁ হয়ে গেছে। স্যার আপনাদের সাথে একটু কথা বলবেন।" সেটা শুনে আবার চিন্তা তৈরি হলো মনে। আবার উনি কি বলবেন?

cd6cf5df-0269-4ab5-8372-12a1e5f5de3d.jfif

বাবা গুটি গুটি পায়ে আবার ঢুকে গেল ভেতরে। কিছুক্ষণ পরে হাসিমুখে বেরিয়ে এলো। বাবার হাসি মুখ দেখে, একটু বুকে জল পেলাম। বলল, "আরে ডাক্তারবাবু তো লাঞ্চ করছেন।আমাকে দেখেই হেসে বললেন,"খুব ভালো অপারেশন হয়েছে। আর সব থেকে ভালো লেগেছে যে আপনারা আমার উপরের ডিসিশন ছেড়ে দিয়েছেন। যা আজকাল অনেকেই করে না। আমার উপরে ডিসিশন ছাড়ার কারণে আমি ওর অপারেশনটা করে দিয়েছি। বাম দিকটা পরিষ্কার করে দিয়েছি। ডান দিকে হালকা একটা আভা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেটা ভয়ের কিছু নেই।"
বাবার মুখ থেকে কথাগুলো শুনে কত বড় যে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছিলাম তা আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। তারপর তনয় কে বেডে দিয়েছে। ভিজিটিং সময় আমাদের বলে দেওয়া হয়েছে বিকেল পাঁচটা থেকে ছটা। সুতরাং অনেকগুলো ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

a49017cf-e596-4b06-9b8b-e9bed76930a1.jfif

গিয়ে পাশেই একটা ঘরোয়া হোটেলে ঢুকলাম। এবার খুব খিদে পেয়েছিল। খাবারো প্রায় শেষ। ভাত, ডাল,অল্প ভাজা আর ডিমের ঝোল ছিল। সেটাই তৃপ্তি করে খেলাম। খিদের পেটে সেই খাবারই অমায়িক লাগছিল।তারপরে পাশেই একটা বাচ্চাদের পার্ক ছিল। সেখানে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারণ রিসেপশনে বসার মত জায়গা মোটেই ছিল না।

যখন পৌনে পাঁচটা বাজলো, এবার আমরা রওনা দিলাম নার্সিংহোমের দিকে। গিয়ে ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এক এক করে দেখা করে এলাম ভাইয়ের সাথে। ভাইকে শুধু জিজ্ঞেস করলাম, "ভাই শরীর ঠিক আছে?"ও থামস আপ করে দেখালো ও ঠিক আছে।

ab6dc211-e0e3-48aa-bcee-98b23d208224.jfif

তারপর সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি চলে এলাম। ওকে যে আয়া মাসি দেখাশোনা করছিলেন, উনি ঠিক নিজের নাতির মতনই ব্যবহার করছিলেন ভাইয়ের সাথে।
ভাইয়ের মাথায় হাত রেখে বলছিলেন, "বাবু যত ঘুমোবে, তত সুস্থ হয়ে উঠবে তাড়াতাড়ি।তাই ঘুমাও।"আমাদের আস্থা দিলেন, "কোন চিন্তা নেই। আমি আছি। তোমরা নিশ্চিন্তে যেতে পারো। আর যখনই প্রয়োজন হবে, রিসেপশনের নাম্বারে ফোন করে খোঁজ নিতে পারো।"

আমরা নিশ্চিন্ত হয়েই বাড়ি চলে এলাম। তবে একটা দিন না কাটা পর্যন্ত একটু উদ্বিগ্ন মন ছিল। বাড়ি ফিরে রাত্রিবেলা একবার সাড়ে নটায় আর একবার রাত্রে সাড়ে বারোটায় ফোন করে ভাইয়ের খোঁজ নিয়েছিলাম। প্রত্যেকবারই তারা ফোন ধরে খুব সুন্দর ভাবে উত্তর করেছিল। কোন রকম বিরক্তি প্রকাশ করেনি। ভাইয়ের আপডেট খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছিল। সত্যি বলতে আজকালকার দিনে হাসপাতালে মানুষ এত তাচ্ছিল্য এবং অবহেলার ব্যবহার পায়,সেখানে দাঁড়িয়ে এরকম একটা জায়গায় এরকম ব্যবহার সত্যিই অমায়িক।

36cc1095-e83f-4516-9a01-c1f9f5f9967f.jfif

আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে। ভাই এখন ভালো আছে। আপনারা আশীর্বাদ করবেন ও যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। ও আজ বাড়ি ফিরেছে। সকলে খুব ভালো থাকবেন।

🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

পরিচিতি

250c6bf5-0fab-4e98-b28b-2299d4f6bc0f.jfif

আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।

Facebook
Instagram
YouTube

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

Vote @bangla.witness as a witness

d3bda13e-40b1-47f0-ae6e-12bd9e3cafa7.jfif

OR

Set @rme as your proxy

79210fdd-a2bc-44f9-b76d-6aa43122ce75.jfif

4HFqJv9qRjVeVQzX3gvDHytNF793bg88B7fESPieLQ8dxHasrbANgiURdsJZbqzojRuxTqrn8BwVMhvjW2bszpJVcHcPW7rxPZLtrPVi9FWSiNoAnyKt4P3qfRidjbh5nr88gtri9qE2ohuC3tavoQ5nX9ihXXuBCWz.jfif

Sort:  
 2 years ago 

সত্যি বলতে আপনার লেখাগুলো পড়েছিলাম আর আমি নিজেও টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম সত্যিই টানটান উত্তেজনা একটা বিষয়, হাসপাতালে প্রতিটা মিনিট যে কতটা সময় সেটা উপলব্ধি করতে পারছি বিষয়টা যদি অপারেশন করার ক্ষেত্রে হয় তাহলে মাথায় অনেক কিছু কাজ করে।

 2 years ago 

আমার এর আগে এমন ওটির সামনে অপেক্ষা করার অভিজ্ঞতা ছিলো না। কি যে চিন্তায় কেটেছিল বলে বোঝাতে পারব না।

 2 years ago 

আপনি অনেক মহৎ একটি কাজ করলেন রোগীদের সেবা করে।আসলে অনেক মানুষ আছে যারা দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা করার জন্য আসেন একটু সহযোগিতা পেলে অনেক বেশি খুশি হয়।ভালোই ভালো অপারেশন টা হয়ে গেল জেনে অনেক ভালো লেগেছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক ভালো করে সেবা যত্ন করেছেন রোগীর।

 2 years ago 

ও আমার ভাই হয়।মাসির ছেলে।🙂

 2 years ago 

আপু আপনার লেখাটি পড়ছিলাম আর বুকের ভিতর ডিপ ডিপ করছিল কারণ অপারেশনের কথা শুনলেই আমার ভয় লাগে। তারপরে আবার অপারেশনের মাঝখানে যদি ডাক্তার বাবু ডেকে পাঠায় তাহলে তো ভয়ের মাত্রা আরো অনেক গুন বেড়ে যাওয়ার কথা। আর মায়েরা এই সময় সিদ্ধান্ত দিতেও পারে না ডাক্তারের উপর সিদ্ধান্তটা ছেড়ে দেওয়াতে ভালো হয়েছে ডাক্তার নিজের মত করে অপারেশনটা করতে পেরেছে। যাক শেষ পর্যন্ত ভালই ভালই অপারেশনটা হয়েছে এটা শুনে ভালো লাগছে। নিজের আপন জনের এরকম কোন সমস্যা হলে মুখে খাবার দেওয়া টা আসলেই অনেক কষ্টকর।

 2 years ago 

সেটাই দিদি। এতে ডাক্তার বাবুও খুশি হয়েছেন। আর ভাইও বিপদমুক্ত হয়েছে।

 2 years ago 

আপু আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে যতই ভিতরে যাচ্ছি ততই কেমন যেন গা শিহরিত হয়ে উঠছিল। কারণ আমি অপারেশনের নাম শুনলে অনেক ভয় পাই। এরপর যখন আপনার ভাইয়ের অপারেশনের এমন বর্ণনা শুনলাম তখন যেন সম্পূর্ণ ঘটনা শুনার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেছি। একটা অপারেশনের পর আরেকটা করবে কিনা তার সব দায়িত্ব ডাক্তার বাবুর উপর ছেড়ে দেওয়াতে হয়তো এত ভালো অপারেশন হয়েছে। তবে অপারেশন করার সময় বার বার এমন অভিভাবক ডাকলে অনেক ভয় লাগে। সব হাসপাতাল এক নয়। এমন কিছু হাসপাতাল আছে যাদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার আশা করা যায় না। তবে আপনার কাছ থেকে হাসপাতালের রিসেপশনের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব পালন করার জন্য।

 2 years ago 

আপনি খুবই যথাযথ কথা বলেছেন। কি যে চাপে কেটেছে!

 2 years ago 

সত্যি দিদি আপনি অনেক ভালো একটা কাজ করেছেন।আসলে আপনার মেশোরা হয়তো অনেক দূর থেকে এসেছে তাই হয়তো সব কিছু চেনা না।যাইহোক আপনি উনাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। এটা সত্যি হাসপাতালের এক মিনিট মানে এক যুগের মতো লাগে।আর আপনার বাবা ডাক্তারের ওপর অপারেশন ছেড়ে দিয়ে অনেক ভালো করেছে । আর হাসপাতালে গেলে ক্ষুদা সহজে লাগে না। দোয়া করি আপনার ভাই তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি। একদমই ঠিক বলেছেন।

 2 years ago 

প্রথমেই তনয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।আশা করি জলদিই সে সুস্থ হয়ে উঠবে। প্রিয়জনের অসুস্থতা যে কত উৎকন্ঠার তা যার হয় সেই বোঝে,তারউপর এতটুকু বাচ্চার এমন অসুস্থতা হলে চিন্তা বেশিই হয়। ভগবানের ইচ্ছায় সব ঠিকঠাক ভাবে মিটে গেছে,এটাই শান্তনা। এজন্য ভগবান কে ধন্যবাদ আর ডাক্তার বাবুকেও।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই। আমি তনয় কে জানাব তোমার শুভ কামনা।

 2 years ago 

আপু আপনি এবং আপনার পরিবার তাহলে অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। একটি অপারেশন করার সময় অন্য একটি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্যি অনেক কঠিন ছিল। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখা ভীষণ কঠিন। অপারেশন সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধীরে ধীরে তনয় সুস্থ হয়ে উঠবে এই প্রার্থনাই করি।

 2 years ago 

তা একটু চিন্তা তো ছিলোই। এখনও বায়প্সি রিপোর্ট দেয় নি। চিন্তা এখনও কমে নি।

 2 years ago 

তনয়ের জন্য সত্যি খুব খারাপ লাগলো। আপনারা অনেক বিপদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।বিপদেই মানুষ মানুষের পাশে থাকে। এক অপরেশনের মাঝে আবার ডাক্তারের ডাক সত্যি ই অনেক ভয়ের।যাক শেষে অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে জেনে অনেক ভাল লাগলো। নিজের মাসির ছেলের এমন অবস্থা হলে কিছু মুখে দেয়া যায় না আসলে। আপনার দায়িত্ববোধ দেখে সত্যি ই মুগ্ধ হলাম।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য দিদি।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ দিদি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 59838.11
ETH 2384.78
USDT 1.00
SBD 2.51