DIY তে কিউট বুকমার্ক (১০% @shy-fox এর জন্য)
তারিখ-২১.১১.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
| ক্রমিক | উপকরণ |
|---|---|
| ১ | সাদা এবং রঙিন আর্টপেপার |
| ২ | আঠা |
| ৩ | কাঁচি |
| ৪ | রঙিন সেলোটেপ |
| ৫ | মার্কার |
| ৬ | স্কেচপেন |
| ৭ | স্কেল |
🧚🏻♀️প্রণালী🧚🏻♀️
🔖প্রথম ধাপ🔖
একটা সাদা আর্টপেপার নিয়ে নিলাম।
🔖দ্বিতীয় ধাপ🔖
এবার এই আর্টপেপারে ১০১০ সেমি অর্থাৎ দৈর্ঘ্যে ১০ সেমি ও প্রস্থে ১০ সেমি করে স্কেল দিয়ে মেপে নিয়ে মার্ক করে নিলাম।*
🔖তৃতীয় ধাপ🔖
এবার যে মাপ নিলাম সেই মাপ বরাবর কেটে নিলাম পেপার টি।
🔖চতুর্থ ধাপ🔖
কাটার পর ঠিক এমন দুটো অংশ আসবে। এখান থেকে একটা অংশ নিয়ে নিলাম।
🔖পঞ্চম ধাপ🔖
এবার কৌণিক বিন্দু বরাবর যুক্ত করে ভাজ করে নিলাম পেপার কে।
🔖ষষ্ঠ ধাপ🔖
আবার কোনাকুনি আরেকটি ভাজ করলাম।
🔖সপ্তম ধাপ🔖
এবার শেষ ভাজ টা খুলে নিচের দিকের অংশকে ঠিক ছবিতে যে ভাবে দেখিয়েছি সেভাবেই উপরে তুলে দিতে হবে।
🔖অষ্টম ধাপ🔖
এবার উপর থেকে যে দুটো মাথা বেড়িয়ে থাকবে সেই দুটো কে ভাজ করে নিচের বিন্দুতে লাগিয়ে দেব।
🔖নবম ধাপ🔖
দুটো দিক ভাজ করার পর ঠিক এমন দেখাবে পেপার টি।
🔖দশম ধাপ🔖
এবার শেষ যে অংশগুলো নামালাম সেগুলোর নীচেই পকেটের মত অংশ দেখতে পাব।দুটো মাথা ধীরে ধীরে সেই পকেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেব।
🔖একাদশ ধাপ🔖
পকেটে ঢোকানোর পর জিনিসটা দেখতে এরকম হবে।
🔖দ্বাদশ ধাপ🔖
এবার একটা রঙিন সেলোটেপকে কেটে নিলাম।
🔖ত্রয়োদশ ধাপ🔖
সেলোটেপটিকে ত্রিকোণাকারে কেটে নিলাম। এবং জোড়ার মাঝ বড়া বড় কেটে নিলাম।
🔖চতুর্দশ ধাপ🔖
ছবির পছন্দ মত চোখ, গোঁফ একে নিলাম।এই বিষয়টাকে একটু কিউট বানানোর জন্য।
🔖পঞ্চদশ ধাপ🔖
আকাশী আর্টপেপার কেটে দুটো কান বানিয়ে নিলাম। ব্যাস তৈরী হয়ে গেলো আমার কিউট বুকমার্ক।
এবার একই পদ্ধতিতে আমি আরো ৩ রঙের তিনটে আর্টপেপার কেটে নিলাম।
যেগুলো দিয়ে আরো ৩টে বুকমার্ক বানিয়ে পছন্দমত আরো কিউট বানিয়ে নিলাম বুকমার্কগুলো।
🔖সর্বশেষ ধাপ🔖
চারটে বুকমার্কই শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। এর মধ্যে একটা তো আমার ব্যাক্তিগত ভাবে সবচেয়ে বেশী পছন্দ কারণ সেটাকে আমি একটু পিকাচুর মত বানানোর চেষ্টা করেছি। পিকাচু আমার সবচেয়ে প্রিয় পোকেমন। আপনার প্রিয় পোকেমন কোনটি? 😀
এবার দেখিয়েদি যে বইয়ের কোণায় লাগিয়ে দিলে ঠিক কেমন দেখাবে এগুলোকে!
তাহলে বন্ধুরা!আমার বানানো বুকমার্ক আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আপনারা কখনও এই ভাবে অথবা অন্যভাবে বুকমার্ক বানিয়েছেন কি না সেটাও জানাবেন। আজ এখানে শেষ করছি। আবার আসব নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। সকলে ভালো থাকবেন।
সত্যি দিদি আমরা যেভাবে বইকে ভালবেসে পড়েছি, এই জেনারেশন মোবাইল কে ভালোবেসে নিয়েছে। এসব বলে আর লাভ নেই।আপনার বুক মার্কটা আমার খুব ভাল লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিলেন, খুব ভাল ছিল।অনেক ধন্যবাদ দিদি।
একদমই তাই। ধন্যবাদ দিদি।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু এখন প্রজন্মের ছেলেরা বই ছেড়ে এরা মোবাইল ধরেছে।আমাদের সময় কালটা অনেক ভাল ছিল ওই সময় মোবাইলের মধ্যে আমরা বেশি আকৃষ্ট ছিলাম না।আমরা বইয়ের উপরে নির্ভরশীল ছিলাম। যাই হোক আপনার বুকমার্কটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বইয়ের প্রেম কমে যাওয়া বড্ড খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ঠিক বলেছেন আপু। এই মোবাইল এসে আমাদের মাঝ থেকে বই পড়ার প্রবণতা কেড়ে নিয়েছে। আমার যখন ফোন ছিলোনা তখন আমি প্রতি সপ্তাহে পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়তাম। কিন্তু এখন মোবাইলেই ডুবে থাকি সারাদিন। যাক বুক মার্ক এর ইউনিক ডিজাইন দেখলাম। আমরা বানাতাম একটু অন্য ভাবে। খুবই সিম্পল। তবে আপনার বানানোটা একদম পার্ফেক্ট হয়েছে দিদি।
একদমই তাই। আমরা যতটা ছোটবেলা বই পাগল ছিলাম। এখন সব বাচ্চারা ততটাই মোবাইল পাগল।
ঠিকই বলেছেন আপু আগেকার দিনের মতো এখনকার মানুষের হাতে আর তেমন বই দেখা যায় না। তবে যারা ভালোবাসে তারা এখনো ভালবাসে। মোবাইল ফোন হওয়ার কারণে বইএর এর প্রতি মানুষের আকর্ষণটা মনে হয় একটু কমে যাচ্ছে। আবার আগের মত হলে মনে হয় ভালোই হতো। আপনি কিন্তু বুক মার্কটি দারুণ তৈরি করেছেন। এই বুকমার্কগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে দেখতে খুবই কিউট লাগে। আপনি কিন্তু অনেক নিখুঁত করে বানিয়েছেন ভালো লেগেছে বেশ। কালার গুলা অনেক সুন্দর ছিল।
হ্যাঁ দিদি এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু এখনকার ছেলে মেয়েরা একটু বড় হলেই দামি দামি মোবাইল নেওয়ার নেশায় মক্ত থাকেন।কি আর বলবো এই প্রজন্ম যে কোথায় গিয়ে থামে সেটাই ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ জানে না।তবে আপনি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন সেটা হচ্ছে বুকমার্ক তৈরি করা।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদমই তাই। ধন্যবাদ দিদি।
যারা নিয়মিত বই পড়েন তাদের জন্য বুকমার্ক একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। খুবই চমৎকার হবে আপনি বুকমার্ক গুলো তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো এসব প্রজেক্ট তৈরি করতে কিন্তু অনেক সময় লাগে এছাড়া পোস্ট করার সময় উপস্থাপনায় একটু সমস্যা হয়। তারপরও আপনি সবকিছু বাধা অতিক্রম করে সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ তবে সংখ্যা টা অনেক কম এখন। ধন্যবাদ দিদি।