আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন।আমিও ভালই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে নতুন বছরের প্রথম প্রতিযোগিতা নিয়ে চলে এলাম। এত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের উপস্থিতি টুকু ধরে রাখতে চাই। এটাই পুরস্কার। জেতা না জেতা পুরোটাই আমার কাছে সাময়িক।কিন্তু খাটাখাটনি করে নিজেকে তুলে ধরাটা সবথেকে বেশি জরুরী। নতুন বছরের প্রথম প্রতিযোগিতার টপিক হিসেবে বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা টপিক পছন্দ করা হয়েছে- "নতুন বছর,নতুন ব্যানার"। জানিনা কতটা পেরেছি, তবে মন-প্রাণ থেকে চেষ্টা করেছি। নিজের মতো করে কল্পনার জগতের চিন্তাভাবনা গুলোকে বাস্তবায়িত করার। বাকিটা সমস্তই আপনাদের উপরে।আপনাদের পছন্দ হলেই আমার জয়। নয়তো আরো ভালো করে চেষ্টা করতে হবে। থেমে পড়লে চলবে না বন্ধু। আজকের এই প্রতিযোগিতায় কি করব?ভাবতে ভাবতে ঠিক করলাম পুরোটা ড্রইং করব না।খানিকটা ক্রাফটের ছোঁয়া এতে থাকবে। সেই কারণে ভাইকে(কাকার ছেলে) ফোন করে বললাম আমাকে কয়েকটা বট পাতা দিয়ে যা। সে দেখি হঠাৎ করেই একটা বট গাছের ছোট ডাল নিয়ে হাজির। সেখান থেকে পছন্দমত তিন-চারটা পাতা নিয়ে নিজের কাজ শুরু করলাম। প্রথমে পাতাগুলোকে ধুয়ে নিয়ে সেগুলোকে শুকোতে দিলাম। শুকিয়ে যাওয়ার পরেই আসল কাজ শুরু হল।

সব পাতাগুলোকে রং করে খানিকক্ষণ এভাবে শুকোতে রেখে দিলাম। একটু রোদ খেলে ভালো হবে। পাতাগুলো খানিকটা নরম হবে, তারপর একটু চাপ পড়লেও ফাটার সম্ভাবনা থাকবে না।

বটপাতা গুলোর উপরে বিভিন্ন রঙের ফেব্রিক দিয়ে ডিজাইন করার চেষ্টা করলাম।অতিরিক্ত হিজি বিজি ডিজাইন করিনি।

এই বট পাতাতে লিখে দিলাম- "সৃজনশীলতাই শক্তি। সৃজনশীলতার পরিপূর্ণ করি নিজের ব্লগইং ক্যারিয়ারকে।"
সাথে অ,আ, ক,খ লিখে দিলাম। যেটা আমাদের ব্লগের মূল বৈশিষ্ট্য।

আর্ট পেপারের উপরের দিকে ব্যানারের মতো "আমার বাংলা ব্লগ" লিখে দিলাম।যেটা এই কম্পিটিশনের মূল বক্তব্য।

এবার মোবাইল থেকে স্টিমিট ব্রাউজার ওপেন করলে যে জেনারেল ওয়াল টা দেখায় সেটা বানানোর চেষ্টা করলাম।

ওয়ালপেপারটা বানানো হলে পুরো ব্যাপারটা দেখতে খানিকটা এমনই হয়। তবে সাদা কাগজে আরেকটু ভালো ফুটে উঠত।

পাতাগুলোর চারিদিকে হলুদ রং দিয়ে একটু বর্ডারের মত করে দিলাম। যাতে পাতাগুলো আরেকটু প্রমিনেন্ট দেখায়।আর নিচে নিজের সাইন করে দিলাম।

আজ এখানেই শেষ করছি। কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে। সকলে খুব ভালো থাকবেন।