অঙ্কন-শীতের মরশুম(১০% @shy-fox এর জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
তারিখ-২৩.১২.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা
আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন।আমিও ভাল আছি। ঠান্ডা যা জাঁকিয়ে পড়েছে, তাতে করে আর কিছুই ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে লেপের তলা থেকে বেরোবো না। কোন কাজও করবো না। কিন্তু মাকে দেখলে বড্ডই কষ্ট হচ্ছে। আমরা হয়তো একদিনের জন্য রেস্ট পাই। বাবা দীর্ঘদিন চাকরি করেছে।এখন রিটায়ার্ড। এখন রেস্টে।কিন্তু মা যবের থেকে সংসারের হাল ধরেছে, তবে থেকে আজ পর্যন্ত শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা ২৪*৭ তার রান্নার ডিউটিটা কিন্তু শেষ হয়নি। সুতরাং তাকে এইভাবে দেখে খারাপও লাগে।ওই কারণে এই শীতে লেপের তলা থেকে বার হতে না চাইলেও, মায়ের সাথে অবশ্যই কাজ করি যাতে কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় আর মা ও একটু রেস্ট পায়।

15931c7a-9e79-438b-be2e-ec9f2ebdc6e2.jfif

আজকেরই কাজ করতে করতে মায়ের সঙ্গে গল্প করছিলাম। শীতকালের সেই আমেজ গুলো এখন আর দেখি না। পাড়ার মোড়ে মোড়ে বা রাস্তার কোণায় এক জটলা হয়ে বসে,বেশ আগুন পোহায় না লোকে তেমন। এই জিনিসটাই যেন হারিয়ে গেছে। আগুন পোহাতে গিয়েও দেখি লোকে মোবাইল টিপছে। এই মোবাইলটাই কি আমাদের কাল হয়েছে? এই মোবাইলে দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে আমরা কত কাজ করে ফেলতে পারি। কিন্তু এই মোবাইলই হয়তো আমাদের জীবন থেকে অনেক বিনোদন কেড়ে নিয়েছে।

যাই হোক আগুন পোহানোর কথা বলতে বলতে যখন কাজ করে নিজের ঘরে এলাম, ভাবলাম আজকে একটা ছবি আঁকা যাক। আর শীতকাল যখন, শীত স্পেশাল একটা ছবি হোক।তাই আজকে আপনাদের সামনে শীতের একটি ছবি আঁকলাম।


ক্রমিকউপকরণ
খাতা
পেন্সিল
ইরেজার
স্কেল
প্যাস্টেল রং
পেন্সিল মার্কার

9237de75-6058-4c09-98ab-44b83d84c074.jfif



প্রথম ধাপ

একটি খাতার চারিদিকে পেন্সিল এবং স্কেল দিয়ে বর্ডার এঁকে নিলাম।

388cb3d0-a716-4997-aa31-fca9d2dd1829.jfif

দ্বিতীয় ধাপ

এবার পাহাড়ে এঁকে নিলাম।

72fc333a-1d2d-4be8-bdb6-55aa71cb7761.jfif

তৃতীয় ধাপ

পাহাড়ের নিচেই একটি ছোট্ট বাড়ি এঁকে নিলাম।

739eb90f-94c6-41e6-8d46-abf6ce07a136.jfif

চতুর্থ ধাপ

এবার বাড়ির পাশ থেকেই একটা রাস্তা এঁকে নিলাম।

f7636695-d9fb-4a77-bd00-f34c25981b92.jfif

পঞ্চম ধাপ

এবার বাড়ির পেছনে আর রাস্তার পাশে, কিছু পাইন গাছের মতো গাছ এঁকে নিলাম।

57d5efb9-0ae1-42c8-a654-a824ac3d87b7.jfif

ষষ্ঠ ধাপ

এবার একটি ছেলের ছবি এমন ভাবে আঁকলাম যে ছেলেটি আগুন পোহাচ্ছে।

0617b013-c34b-4caa-9cd9-6c977d2ece44.jfif

সপ্তম ধাপ

এবার রংয়ের পালা আকাশটিকে পেন্সিল মার্কার দিয়ে আকাশী রং করলাম।

43119b17-e87a-4307-ba09-c4f1c2c75b8c.jfif

অষ্টম ধাপ

পাহাড়টিকে ছাই রং করলাম এবং গাছগুলোর নিচের অংশ তে ডিপ সবুজ রং করলাম।

fbe11e9c-6dd2-40d1-ac99-1942962d48b9.jfif

নবম ধাপ

এবার গাছগুলো সম্পূর্ণ করার পালা। গাছগুলো ডীপ সবুজ রং আগেই করেছিলাম। তার উপরে হালকা সবুজ রং দিয়েছিলাম এবং শেষে হলুদ রং দিয়েছিলাম। দিয়ে রং গুলোকে মিশিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কালো রঙের মার্কার দিয়ে বর্ডার করে নিলাম। গাছের নিচের দিকের গুঁড়িগুলোকে খয়েরী রং করে দিয়েছিলাম।পাহাড়টাকেও বর্ডার করে নিলাম।

9de9ca1c-2101-402f-805f-48eb648aa898.jfif

দশম ধাপ

এবার বাড়িটাকে সম্পূর্ণ রং করলাম এবং তার চারপাশের ভূমিটাকে হলুদ রং করলাম প্রাথমিকভাবে আর রাস্তাটাকে খয়েটি রং করলাম।

b466f656-9363-42a3-b942-be927158fc1e.jfif

একাদশ ধাপ

রাস্তাটাকে সাদা রং দিয়ে একটু ব্লেন্ড করে দিলাম এবং ফুটিয়ে তোলার জন্য পাশ থেকে খয়েরী রঙ করলাম।ভূমিতে হলুদের সাথে সবুজ রং দিয়ে মিশিয়ে দিলাম।

d2660202-aed3-44ac-90d5-8688ae090e71.jfif

দ্বাদশ ধাপ

এবার ছেলেটিকে রং করার পালা।ছেলেটিকে সম্পূর্ণভাবে রং করলাম।তার জামা,টুপি,প্যান্ট সবই রং করলাম।

7ec1fb18-b9d5-495c-bc3e-ec11b56722e8.jfif

ত্রয়োদশ ধাপ

এবার আগুন রং করার পালা। আগুনের নিচে লাল রং। তার উপরে কমলা রং এবং সবশেষ সবচেয়ে উপরে হলুদ রং দিয়ে রং করলাম। রং গুলোকে মিশিয়ে দিলাম। শেষে বর্ডার দিয়ে দিলাম।

b40b66d0-6559-447c-81da-2c94b936ed93.jfif

চতুর্দশ ধাপ

এবার সম্পূর্ণ ছবিটা কে ফুটিয়ে তোলার জন্য একটু বর্ডার দিয়ে দিলাম এবং নিচে নিজের নাম লিখে দিলাম।

5972777e-0086-4041-9b8f-edcda62df8e6.jfif

আমার আঁকা ছবিটি কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন উপস্থাপনা নিয়ে।সকলে ভালো থাকবেন।

🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

পরিচিতি

250c6bf5-0fab-4e98-b28b-2299d4f6bc0f.jfif

আমি পায়েল।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার কাছাকাছি ডাক্তার বিধান রায়ের স্বপ্নের শহর কল্যাণীর বাসিন্দা।একসময় যদিও চাকরী করেছি কিন্তু বর্তমানে ফুলটাইম ব্লগার এবং ভ্লগার।যদিও নিজেকে এখনও শিক্ষানবিশ মনে করি। আর তা ই থাকতে চাই ।সফল হয়েছি কিনা বা কতদিনে হব তা জানি না, কিন্তু নিজের প্যাশনকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছি।বাকিটা আপনাদের হাতে।আশাকরি আমার সাথে যুক্ত থাকলে আশাহত হবেন না।

Facebook
Instagram
YouTube

330c68fa-d267-405f-8d9e-8f34533fedc4.jfif

Vote @bangla.witness as a witness

d3bda13e-40b1-47f0-ae6e-12bd9e3cafa7.jfif

OR

Set @rme as your proxy

79210fdd-a2bc-44f9-b76d-6aa43122ce75.jfif

4HFqJv9qRjVeVQzX3gvDHytNF793bg88B7fESPieLQ8dxHasrbANgiURdsJZbqzojRuxTqrn8BwVMhvjW2bszpJVcHcPW7rxPZLtrPVi9FWSiNoAnyKt4P3qfRidjbh5nr88gtri9qE2ohuC3tavoQ5nX9ihXXuBCWz.jfif

Sort:  
 2 years ago 

আপনি ঠিক বলছেন আপু আসলে মোবাইল আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই মোবাইলের কারণে একজন আরেক জনের সাথে ভাল করে কথাই বলেনা সব সময় মোবাইল টিপে টিপে থাকে।যেখানে একজন আরেক জনের সাথে ভালো ভাবে কথার উত্তর দেয়না সেখানে আগুন পোহানোর কথাই তো আসে না।ছয় ঋতুর মধ্যে আমার একটি প্রিয় ঋতু শীতকাল।সেই শীতকালকে কেন্দ্র করে খুব সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন দেখতে বেশ পছন্দ হয়েছে আমার।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি শীতকালীন দৃশ্য অঙ্কন করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জীবন থেকে মোবাইলটার অপ্রয়োজনীয় সময় বাদ দিলেই সমস্যা মিটবে।

 2 years ago 

বাহ শীত মৌসুমকে ঘিরে আপনি খুব সুন্দর একটি ছবি এঁকেছেন। ছবির মধ্যে বোঝা যাচ্ছে আবহাওয়া শীতে ভরপুর।একটি লোক বসে আগুনে তাপ পোহাচ্ছে। চারপাশে মনে হচ্ছে কুয়াশা বেশ সুন্দর একটি ছবি এঁকেছেন।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

সপ্তাহে দুই একদিন সবার ছুটি হলেও মা দের কিন্তু ছুটি নেই। তাদেরকে নিজের কাজগুলো ঠিকই করতে হয়। ঠান্ডা থাকুক আর যাই থাকুক না কেন। সত্যি আপু তাদের দায়িত্ববোধ আমাদেরকে সব সময় মুগ্ধ করে। যাই হোক আপু আপনি আপনার অংকনের মাধ্যমে শীতকালীন সৌন্দর্য সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আসলে শীতকালে পাড়ার মোড়ে মোড়ে এরকম আগুন পোহাতে দেখতে পাওয়া যায়। সেই দৃশ্যগুলো হয়তো এখন খুবই কম দেখা যায়। তবে স্মৃতির পাতায় সেই দৃশ্য গুলো আজও রয়ে গেছে।

 2 years ago 

হ্যাঁ। খারাপ লাগে মায়ের জন্য। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আসলেই মাকে কাজ করতে দেখলে বসে থাকা যায় না। সকলের ছুটি আছে মায়েদের কোন ছুটি নেই। যাই হোক আসলে এখন মানুষ আগুন পোহাবে কেমনে ,আগুন পোহাতে গেলেই আগুনে পুড়ে যায়। এই শীতকালে কত মানুষ আগুন পোহাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যায়। যাই হোক আপনি বেশ ভালো এঁকেছেন। কালার কম্বিনেশন ভালো ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব ভালো করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনি ঠিক বলেছেন, মানুষ এখন আগুন পোহাতে গিয়েও মোবাইল টিপতে থাকে।আসলে ফোনে খুব উপকারিতা আছে। তার পাশাপাশি অপকারিতাও আছে। যাই হোক আপনার আকাঁ শীতকালের চিত্রাঙ্কনটি খুবই সুন্দর হয়েছে🥰।আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি চিত্রাঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

শীত মৌসুমকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি আর্ট করেছেন দিদি।এটা সত্যি আগের মত শীতের মৌসুমে শীতের দৃশ্য এখন আর চোখে পরে না।এখন সবার হাতে মোবাইল থাকে তাইতো হাত বের করে আগুন পোহানোর দৃশ্য চোখে পরে না আর।আপনি খুব সুন্দর ভাবে আঁকাটি শেষ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এতে কালার করাতে সবুজ প্রকৃতি, পাহাড় খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। সুন্দর একটি দৃশ্য এঁকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি।

 2 years ago 

সত্যি বলতে দিদি অনেক চমৎকার একটি আর্ট করেছেন। বেশ ভালো হয়েছে আপনার আজকের এই শীতের মৌসুমের চিত্রটি । ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

আরে বাহ দিদি তো দেখছি ভালোই চিত্র অংকন করেছেন ৷ আর সত্যি বলতে প্রতিটি কথা যথার্থ বলেছেন ৷ মা হলো পরিবারের মেশিন সেই বিবাহের পর থেকে সংসার আজ পযন্ত প্রতিদিন কাজ করেই যাচ্ছে ৷ তবে আমিও মাঝে মধ্যে মাকে একটু সাহায্য করি ৷ আর মা বলে লাগবে না ৷ তুই কাজ কর ব্যাস আমি কেটে পরি ৷ আসলে মা কী এমনি আসলে মায়ের তুলনা হয় না ৷ আর তাই বলা যায় মা হলো পরিবারের চাবি কাঠি ৷
যা হোক শীতের সকাল গ্রামে এখনও আগুন তাপানো হয় ৷ কিন্তু এটা ঠিক বলেছেন দিদি মোবাইল ফোন এখ এখন অনেকটা জীবন হয়ে দারিয়েছে ৷
ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য ৷

 2 years ago 

একদমই ঠিক।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন দিদি সপ্তাহে দুই বা এক দিন সবারই ছুটি থাকলে, কিন্তু মাদের কোন ছুটি নেই। আসলে আমাদের সবারই উচিত মাকে একটু সাহায্য করার জন্য। এটা সত্যি যে ফোন এসে আমাদের ঐতিহ্য প্রায় শেষ হতে চলছে। আপনার ছবি অংকন চমৎকার হয়েছে। রংগুলো ঠিক ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ।

 2 years ago 

সত্যিই। এটা ভেবেই খারাপ লাগে। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দিদি খুবই সুন্দর চিত্র অঙ্কন করেছেন। সত্যিই শীতের এই দৃশ্যটি আপনি সুন্দরভাবে চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন, চিত্রটি দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76354.05
ETH 3034.69
USDT 1.00
SBD 2.62