ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি (১০% @shy-fox এবং ৫% @abb-school এর জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
তারিখ-১১.১০.২০২২
নমস্কার বন্ধুরা

আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।আজ আপনাদের সামনে আমি যে বিষয়টিতে আলোকপাত করতে চাই তা হলে গ্রুপের অ্যাডমিন প্যানেল থেকে বিবেচিত একটি বিষয়, "ফেলে আসা জীবনের বন্ধুত্বের স্মৃতি"। টপিকটা পেয়ে সেদিনই শেয়ার করেছিলাম।কারণ ভেবেছিলাম লিখব।যতই প্রতিকূলতা থাকুক জীবনে কিন্তু বন্ধু তো বন্ধুই। তাদের নিয়ে যে কোন পরিস্থিতি তে লেখা যায়।

বন্ধু মানে একটু পাশে থাকা,
বন্ধু মানে হাতে হাত রাখা
বন্ধু মানে অবুজ অভিমানে
তবুও বন্ধু কারন বন্ধু জানে
বন্ধু মানে এলোমেলো পথচলা
বন্ধু মানে বলা আর না বলা
বন্ধু মানে একটু বাড়াবাড়ি
তাইতো তুমি নেই বলে চোখভাড়ি

50d372e7-f28d-4529-8343-4b59ee95ac14.jfif

সত্যি বলতে বন্ধু সার্কেল কোনদিনই আমার বিশাল বড় ছিলো না। ভীষণ কম্প্যাক্ট এই বিষয়ে আমি। কারণ আমি ভীষণ ইন্ট্রোভার্ট একজন মানুষ।এই কারণে সবার সাথে কথা বলে উঠতে পারি না নিজে থেকে যেচে।আজ আমি আমার জীবনের এখন পর্যন্ত সর্বস্তরে যত বন্ধু ছিলো, এসেছে, চলে গেছে সবাইকে নিয়ে জমে থাকা স্মৃতি ভাগ করে নেব। সাথে নিজের উপলব্ধিও ভাগ করে নেব।

প্রথমেই বলে রাখি আমার বাবা চাকরি সূত্রে একটা বড় সময় উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে কাটিয়েছেন।
আমার জন্মের পরপরই আমায় আলিপুরদুয়ার নিয়ে যায় মা বাবা। সেখানেই ধীরে ধীরে বড় হই। সেখানে আমার প্রথম বন্ধু হয় দাদু।অর্থাৎ যে বাড়িতে ভাড়া থাকতাম সেই বাড়ির মালিক। দাদুর সাথে সকাল থেকে শুরু হত আমার তান্ডব।দাদুকে নেলপলিশ পরানো, কপালে টিপ পরিয়ে দেওয়া, আবার পুতুল খেলা, দাদুকে ওষুধ খাইয়ে দেওয়া, হামান দিস্তা দাদুকে পান ছেঁচে দেওয়া।
একদিন ঘুম থেকে উঠেই মা কে বলি, "আমায় জামা পরিয়ে দাও দাদুর কাছে যাব।"
মা দেখি কাঁদছে আর বলছে, "দাদু আর নেই।"
আমি বললাম, "কোথায় গেছে মা? টিঙ্কু বিবির (দাদুর মেয়ে) বাড়ি?"
মা উত্তরে বলল, "দাদু স্টার হয়ে গেছে।"
গিয়ে দেখি উঠোনে কেমন ভাবে শুইয়ে রেখেছে।
জানেন, কত ডাকলাম, "দাদু ওঠো, খেলবে না? ওষুধ খাইয়ে দেব তো!"
উঠলো না আর।


যদিও বিষয়টার গুরুত্ব তখন না বুঝলেও এখন তো বুঝি, কেমন না ফেরার দেশে চলে গেছিলো দাদু।এরপর কিছু বছরের জন্য আমরা আবার কল্যাণী, আমরা বাড়ি ফিরি।এখানে আমার সাথেই আমার সমবয়সী আমার বোন কোয়েল ছিলো। সমস্ত দুষ্টুমি, খেলাধুলা সবটাই ওর সাথে। কাকুদের শার্ট গায়ে গলিয়ে, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে খেলতাম, নিকো পার্ক ঘুরতে যাই,ঘোড়া চালাই,রান্নাবাটি আরো কত কি!

8f99e9f3-8af5-4209-ac1e-1f6992cbed82.jfif
উপরে ছোটবেলার ছবি আর নীচে বড়বেলার। বাঁ দিকে কোয়েল এবং ডানদিকে আমি।


এরপর আমাদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার পালা। আমার আর কোয়েলের প্রাইমারি স্কুল আলাদা ছিলো।প্রথমদিন স্কুলে গিয়েই তো কেঁদে ভাসিয়েছি। আমি একটা বেঞ্চে বসে কাঁদছি, হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে দেখি একটা মেয়ে হাসছে।
আমায় বলছে, "কাঁদিস কেনো? এই দেখ আমি কাঁদি না।"
আমি উঠে গিয়ে ওর পাশে বসলাম,জিজ্ঞাসা করলাম, "তোর ভয় করছে না? বাবা চলে গেছে যে?"
উত্তরে বলল, "না ভয় কেন করবে?স্যাররা ভালোবাসবে, লজেন্স দেবে। আমার মা বলেছে।"
আমি বললাম,"তোর নাম কি?"
বলল, "মধুমিতা আইচ"
সেদিন থেকে আমার আর ওর বন্ধুত্ব শুরু। সেই বন্ধুত্ব এখনও আছে।যদিও সময়ের সাথে সাথে স্তর পরিবর্তন হয়েছে। গাঢ়ত্বও কমেছে। কিন্তু ভাঙে নি।

980df5e7-d571-48e1-905f-82554abc7744.jfif
মধুমিতা এবং আমি। মধুমিতা কে আইবুড়োভাত খাওয়ানোর সময়। ওর বিয়ের আগে।


এরপর বাবা আবার পোস্টিং নেয় উত্তর বঙ্গ কোচবিহার। মনটা খারাপ হয়ে যায়। কোয়েল,মধুমিতা কারও সাথে দেখা হবে না।কোচবিহার যাওয়ার পর আবার স্কুলে ভর্তি হই। সেখানে গিয়ে বন্ধু হয়, তমা। এতটাই ভালোবাসতো আমায়, জানিনা কেনো? আমি ওকে এতো ভালোবাসতে পেরেছি কিনা জানি না। সবসময় বলত তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমায় একবার বইমেলা থেকে একটা বই ও গিফ্ট করেছিলো।

9e4c46d9-6814-465e-b569-d1632d024da8.jfif
তমার সাথে কোন ছোটবেলার ছবি নেই। কিন্তু ওর দেওয়া গিফ্ট এই বই টা আছে।

ওদের বাড়ি কতবার কত কিছুতে ইনভাইট করেছিলো কি বলব!আমিও তেমন ইনভাইট করতাম। কিন্তু আমার মধ্যে সেই তীব্রতা অনুভব করতে পারতাম না ওর মধ্যে যেটা ছিলো। ক্লাস ফাইভে যখন উঠলাম, তার সেকশন A ছিলো আর আমার সেকশন B।
তমার মা নিজেই স্কুলে গিয়ে বললেন, "আমার মেয়ে কে B সেকশনে ট্রান্সফার করুন পায়েলের সাথে।
স্কুল থেকে বলা হয়েছিল যে একবার B তে গেলে কিন্তু ওখানেই থাকবে।
কাকিমা বললেন, " আমার আপত্তি নেই।"
এরপর টিউশন পড়া, স্কুলে যাওয়া, বাড়ি ফেরার, বিকেলে খেলা, সবই একসাথে করতাম।একদম হরি-হর আত্মা যাকে বলে।

d60d07f5-26a4-403f-8560-6b9124c94461.jfif
এই যে তমা, বড়বেলায়।


এরপর বাবা ট্রান্সফার নিয়ে পুরোপুরি বাড়িতেই ফিরে আসে। আসার দিন দুজন দুজনকে ধরে খুব কেঁদেছিলাম।আর তো দেখা হয় নি। তবে স্মৃতি হিসেবে বইটা রেখে দিয়েছি। এখন যেটুকু কথা হয় তা ওই স্যোশাল মিডিয়ায়। এরপর বাড়ি এসে স্কুলে যাদের সাথে বন্ধুত্ব হয় তার মধ্যে বেশীরভাগই ছিলো নামে বন্ধু কিন্তু পেছনে ছুড়ি মারার মানুষ।তাই এই স্মৃতিচারণায় তাদের জায়গা নেই। সুখের পায়রারা সুখ নিয়েই থাকুক।

এবার আসি সবচেয়ে গাঢ় বন্ধুত্ব নিয়েই যাদের নিয়ে বলব তাদের ২ জন আমার স্কুলেই পড়তো। কিন্তু বন্ধুত্ব গাঢ় হয় কলেজে গিয়ে।তাদের আমার বিভিন্ন ছবিতে, পোস্টে দেখেছেন আপনারা।শর্মিষ্ঠা,শম্পা, ঋতুপর্ণা আর শ্রীপর্ণা।আমার জীবনের 'জিগড়ি ইয়ার' ওরা। আজ পর্যন্ত যত বিপদে পরেছি। সব সময় একরকম ঝাঁপিয়ে পড়েছে উদ্ধার করতে। সেই ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। ভালো বুদ্ধি দেওয়া থেকে শুরু করে কোথাও যেতে হলে, এক কথায় আমার সাথে চলে যাওয়া, কোন কিছুতেই না নেই। আর আমি যদি কোন কিছু নিষেধ করি ঠিক অভিভাবকের মতই শোনে আর বলে, "তুই পচা বুদ্ধি দিবি না জানি, ভালোর জন্যই বলছিস যা বলছিস। "

বন্ধু নামের কোন পদবি নেই
বন্ধুর ঠিকানা হাত বাড়ালেই
বন্ধু ডালের ফাঁকে পাখির বাসা
বন্ধু মানে ভালোবাসা আর মন্দবাসা
বন্ধু পাতায় জমা শিশির কণা
বন্ধু একটা ভুলের একশ ক্ষমা
বন্ধু তুমি ফিরে এসো তাড়া তাড়ি ।।

d57644c2-28de-416c-a706-0ffb6ab5ffac.jfif
এখানে আমি,শ্রীপর্ণা,ঋতুপর্ণা, শর্মিষ্ঠা, (বামদিক থেকে)- মাম্পির বিয়েতে।


যখন আমি পুণে তে ছিলাম। আর এক রকম খারাপ মানুষের কবলেই পড়েছিলাম, তখন একদিন রাতে ব্যালকনি তে গিয়ে চুপচাপ শর্মিষ্ঠা কে কল করি।বলি,"আমায় বাঁচা। আমি বাড়িতে কিছু বলতে পারছি না।এখানে থাকলে আমি মরে যাব।"


আমার বান্ধবী কোন কিছু না ভেবেই রাত্রি ১.৩০ টার সময় আমার ভাই কে কল করে। সব জানায় আমার অবস্থা।ভাই শুনে সাথে সাথে বাবা কে ডেকে তুলে সব ঘটনা জানায়।
এরপর যতদিন না আমি বাড়ি ফিরে ২৪*৭ আমরা সাথে কল, মেসেজ করে টাচে থাকতো। শর্মিষ্ঠা, ঋতুপর্ণা এবং শ্রীপর্ণা এই তিনজনই। আর যদি কখনও আমার সাড়া শব্দ না পেতো, সাথে সাথে আমার বাড়িতে জানাতো। ফোনের পর ফোন। একদিন ঘুমিয়ে গেছি দুপুর বেলা। ঘুম থেকে উঠে দেখি ২৫ টা মিস্ড কল। ভেবেছিলো হয়তো হত হয়েছি।

9b03086c-eb85-4860-b18a-b5cab8861fb8.jfif
শম্পার জন্মদিনে। এমন বন্ধু দেখেছেন? নিজের জন্মদিনে বান্ধবী কে এমন সাজিয়ে খাওয়ায়?

তারপর যখন ঘুম ভেঙে ফোন করলাম, শুনি অঝড় নয়নে কাঁদছে। বলছে, "ভেবেছিলাম ওরা তোকে শেষ করে দিয়েছে। তুই ঠিক আছিস তো? আমরা আরেকটু হলেই থানায় যেতাম।"

আমি সেদিন বুঝেছিলাম যে ভালো বন্ধু এখনও পাওয়া যায়। ওরা সব সময় আমায় মোটিভেট করে গেছে যে, "তুই ফিরে আয়, জীবনটা এই ভাবে শেষ হয় না। তোরও ভালোভাবে বাঁচার অধিকার আছে।নতুন করে শুরু করার অধিকার আছে।"
ঐ তিনটে মাস আমার জীবনে যে ঝঞ্ঝা গেছে, সেখান থেকে বার হয়ে আসার পেছনে আমার বন্ধুদের অবদান অনেকটা।আমার বাড়ি ফিরে আসার পেছনে ওদের অবদান অনেকটা। এই স্মৃতিগুলো আমি কখনওই ভুলব না।

d6a97f02-a919-494a-a3f8-8d153ffe92e6.jfif
'ভ্যালেন্টাইন্স ডে' তে সামনে আমি, পেছনে মাম্পি(বাম দিকে) তার পাশে ঋতুপর্ণা, একদম পেছনে শর্মিষ্ঠা।আমাদের ভ্যালেন্টাইন আমরাই।

আমি আমার পুরো জীবনের বন্ধু বা বান্ধবী দুইই অনেক পেয়েছি। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু বা বান্ধবীর সংখ্যা ভীষণ হাতে গোনা। আমার অভিমত এটাই যে মেশো সবার সাথেই। কিন্তু বন্ধু সবাইকে বানিও না। সবাই বন্ধু ট্যাগটার যোগ্য হয় না। সত্যিই হয় না।


🌸🌸🌸ধন্যবাদ🌸🌸🌸

4HFqJv9qRjVeVQzX3gvDHytNF793bg88B7fESPieLQ8dxHasrbANgiURdsJZbqzojRuxTqrn8BwVMhvjW2bszpJVcHcPW7rxPZLtrPVi9FWSiNoAnyKt4P3qfRidjbh5nr88gtri9qE2ohuC3tavoQ5nX9ihXXuBCWz.jfif

Sort:  
 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন দিদি বন্ধু হয় হাতে গোনা কয়েকজন। সবাই বন্ধুর ট্যাগ ওপাওয়ার যোগ্যও নয়। কঠিন সময় হতে যখন বের হতে পেরেছেন তখন সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন অবশ্যই । আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

আপনার শেষ কথাটা দারুন লেগেছে, সবাই বন্ধু ট্যাগ টা পাওয়ার যোগ্য না সত্যিই। অনেক সুন্দর করে জীবনের প্রতিটা ধাপে পাওয়া সেরা বন্ধুদের ছোট ছোট স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দিদি। ভালো লাগলো খুব। তবে শুরুতে আপনার বন্ধু দাদুর ঘটনাটি সত্যিই খুব ইমোশনাল। আর জীবনের খারাপ সময়ে যে বন্ধু গুলো পাশে থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছে তারা আসলে বন্ধুর চাইতেও বেশী কিছু। এই বন্ধুত্ব গুলো টিকে থাকুক আজীবন। ভালোবাসায় মোড়ানো থাকুক এই সম্পর্ক গুলো।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাকে এতটা ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

আসলে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন যদি না করা হতো তাহলে আপনার এই অনুভূতিগুলো বা স্মৃতিগুলো ভেসে উঠতো না এবং আমরা জানতে পারতাম না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

এই কমিউনিটি তে প্রতইটি প্রতিযোগিতাই যেন আমার ধুলো জমে যাওয়া স্মৃতি কে মন করিয়ে দেয়। ধন্যবাদ। 😊

 2 years ago 

যাক শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য

 2 years ago 

আসলেই সবাই বন্ধু ট্যাগ পাওয়ার যোগ্য না।আমি জানতাম একটা মেয়ে নাকি একটা মেয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারে না।কিন্তু আপনাদের বন্ধুত্ব দেখে ধারনা পালটে গেল।আজীবন টিকে থাকুক আপনাদের বন্ধুত্ব।

 2 years ago 

মেয়ে কি ছেলে কি, সবাই বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার যোগ্য না।তবে আমার বন্ধুরা ভীষণ সাপোর্টিভ। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনার বন্ধুদের এক একটা গল্প পড়তে হবে সব ভালো লাগছে। ঠিকই বলেছেন প্রথম শুরু থেকেই আপনার দাদুই আপনার বন্ধু। কোয়েল, মধুমিতা আপনার সব বন্ধুর সাথে বন্ধুত্বের কথাগুলো ভীষণ ভালো লাগছিল পড়তে। প্রত্যেকটা বন্ধুত্ব যেন স্মৃতির পাতায়। আবার দেখলাম জন্মদিনে একটা বন্ধু আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে খাওয়ার সাজিয়ে খাওয়াচ্ছে। এই বিষয়টা সব থেকে বেশি ভালো লাগলো।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে, তবে বেশীরভাগই স্মৃতি এখন। 😞

 2 years ago 

বন্ধুত্ব মানেই অন্যরকম একটি অনুভূতি।
আরে বন্ধুত্ব তোর সাথে কাটানো সময়গুলো কখনো ভোলার মত হয় না। কারণ সেগুলোর মাঝে থাকে হাসি কান্না দুঃখ মজা মাস্তি ঠাট্টা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের।
আর আপনার ফেলে আসা বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তটি পরে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার ও আপনার বন্ধুদের জন্য শুভকামনা রইল

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59131.70
ETH 2599.11
USDT 1.00
SBD 2.40