জসীম মেলায় ঘোরাঘুরি ও কেনাকাটা দ্বিতীয় বা শেষ পর্ব||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘুরাঘুরি ও কেনাকাটা। আমি আগের পর্বে বলেছিলাম বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া ও খেলনায় চড়া।আজ অন্য কিছু শেয়ার করবো।আসলে বাচ্চাদের নিয়ে গেলে তাদের হাজারো বায়না থাকে। একটা পূর্ণ করলে আরেকটা হাজির তাদের চাহিদার শেষ হয় না।তারপরেও চেষ্টা করি তাদের চাহিদা কিছু হলেও পূর্ণ করতে। তো চলুন দেখে নিই আমরা আজকের পূর্বে কি কি কিনেছি ও কিভাবে ঘোরাঘুরি করেছি।
বাচ্চাদের রাউডারে চড়ার পড়ে তাদের খেলনা কিনে দিতে হবে।কি আর করা আগে বাচ্চাদের জিনিস না কিনলে তারা কিছুই করতে দেবে না।তারপর আমার ছোট মেয়ের জন্য সংসারের সকল জিনিস কিনে দিতে হবে।মানে ছোট ছোট হাড়িপাতিল আরকি।তবে এক জোড়া দুইশত টাকা করে। আর আমি এক এক পিস কিনেছে দশ টাকা করে। আসলে বাইশ পিস খেলনা কিনেছি। সাথে গ্যাসের চুলা, বটি, পিড়ি বেলুন ইত্যাদি নিয়েছি আরকি।এই খেলনা গুলো পেয়ে আমার মেয়ে অনেক খুশি। ওদের এই খুশি হাজার টাকা ও পাওয়া যায় না।
এখন চলে আসলাম গাড়ি ও বাড়ি কেনার জন্য। আসলে আমার বড় মেয়ে কিনবে জমিদার বাড়ি। পরে জমিদার বাড়ি কিনতে পারিনি কিনেছি দাদা বাড়ি। দাদা বাড়ি পেয়ে মেয়ে অনেক খুশি, তার বাড়ি হলেই হল।আমার ছোট মেয়ে একটু বেশি চালাক, সে প্রথম হাড়িপাতিল কিনেছে এখন আবার গাড়ি কিনবে।আর বড়টা শুধু বাড়ি হলেই চলবে।কি আর করা যাবে ছোট মেয়েকে আবার একটা গাড়ি কিনে দিয়েছে। এখন বাচ্চাদের কিনার পালা শেষ।
এখন আসলাম নিজেদের জন্য কিছু কিনতে।আসলে কয়েটি থ্রি পিস দেখলাম। আসলে থ্রি পিস গুলো দাম অনুযায়ী খারাপ না। তাই আমার জাএকটা থ্রি পিস নিল।আমি আমার একটা ব্যাগ নিলাম।আসলে মেলায় গিয়েছি কিছু না নিলে কেমন হয়, তাই আরকি একটা ব্যাগ কিনা।
তারপর কিছু কসমেটিকস কিনলাম। আর বাচ্চাদের জন্য টুপি ও কিছু ক্লিপ কিনলাম। এখন কিনাকাটা পর্ব শেষ।
তারপর মেলার চারপাশ দিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করলাম সবাই মিলে।যেহেতু আমরা অনেক লোক গিয়েছিলাম তাই সবাই এক জায়গা হয়ে একটু ঘুরলাম।মেলার ভিতরে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লেগেছে।
এখন চলে আসলাম সার্কাস খেলা দেখার জন্য। অনেক ইচ্ছে ছিল সার্কাস খেলা দেখার কিন্তু অনেক বড় লাইন আর অনেক সময়ের প্রয়োজন তাই চলে আসলাম।তবে কখনো সময় পেলে অবশ্যই সার্কাস খেলা দেখবো।
যাইহোক সব মিলে বেশ ভালোই সময় কেটেছে ও অনেক ঘোরাঘুরি করেছি। মাঝে মাঝে এভাবে ঘোরাঘুরি করলে অনেক ভালো লাগে। আর যাইহোক আমার মেয়ে দুটি কিন্তু অনেক খুশি। আর বাচ্চারা খুশি মানে আমার খুশি। আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু মেলায় গেলে বাচ্চাদের বায়নার শেষ নাই। আপনার মেয়েদেরকে অনেক খেলনা কিনে দিয়েছেন দেখছি। আর নিজের জন্য বেশ কিছু জিনিসপত্র কিনেছেন। আমার কাছে কাচের চুড়ি গুলো খুবই ভালো লাগছে দেখতে। কিছুদিন আগে আমি নিজেও মেলায় গিয়েছিলাম বাবুর জন্য এই হাঁড়ি পাতিল গুলো কেনার জন্য। আমার বাবু যেহেতু এগুলো খুব পছন্দ করে কিন্তু সেগুলো খুব হালকা ছিল যার কারণে আর কেনা হয়নি। তবে পরবর্তীতে কোন মেলা হলে কিনে দিবো। যাই হোক আপু মেলায় ঘোরাঘুরি মুহূর্ত এবং কেনাকাটার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু হাড়িপাতিল গুলো আসলেই হালকা অনেক, তবে বাচ্চাদের পছন্দ তাই কিনে নিলাম।জি আপু পরবর্তী কোন মেলায় গিয়ে বাবুকে কিনে দেবেন। ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চাদের নিয়ে যেকোনো জায়গায় গেলে তাদের আবদার শেষ হয় না কিছুতে। তারা একের পর এক আবদার করে থাকে এবং সেগুলো পূরণ করা লাগে। না হলে খুবই কষ্ট পায় আর যদি আবদার গুলো একে একে পূরণ করা হয় তাহলে তারা ভীষণ খুশি হয়। আপনার ছোট মেয়ে করার জন্য অনেক রকমের হাড়ি পাতিল কিনেছে দেখছি এবং আপনার বড় মেয়ে খুবই সুন্দর দেখতে একটি বাড়ি কিনেছে। সব মিলিয়ে ভালো একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনারা।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের আবদার পূরণ হয়, শুধু বাড়তেই থাকে। ধন্যবাদ আপু
আপু মেলায় বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে,রাইডে চড়ার পর তাদের খেলনা কিনে দিলেন।ওদের দেখে আমার ছোটবেলা মেলায় যাওয়ার কথা মনে পরল।আমি মেলায় গেলে হাড়ি পাতিল কিনেই নিতাম।আর মাটির খেলনার প্রতি খুব আকর্ষন ছিল আমার। আপনাদের ঘুরতে দেখে খুব ভাল লাগলো। আপনি বেশকিছু মেলার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব ভাল লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
জি আপু আমি ও ছোটবেলা এই মাটির হাড়ি পাতিল কিনতাম অনেক, তাই মেয়েকে সব কিনে দিয়েছি।ধন্যবাদ আপু।
মেলায় গেলে বাচ্চাদের কিছু কিনে না দিলে সত্যি কেমন অনেক খারাপ লাগে। আর মেলাতে গেলে তারা তো বিভিন্ন ধরনের গাড়ি দেখে নিতে খুবই অস্থির হয়ে যায়। বাচ্চাদের খেলনা কিনে দিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। মেলাতে সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বাচ্চারা অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে । মেলা ফটোগ্রাফি বেশি দুর্দান্ত হয়েছে। মেলাতে অনেক জিনিসের স্টোর বসেছে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকান, চুড়ির দোকান ,ধরনের খেলনা দোকান দেখছি। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া এমনিতে কিনে আর মেলাতে গেলে সব কিছু দেখে আরো অস্হির হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জসিম উদ্দিন মেলায় গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বিশেষ করে আপনার ছোট মেয়ে সত্যিই অনেক বেশি চালাক যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম। আসলে আমার মনে হয় বাড়ির বড় মেয়েগুলো একটু সাদাসিদে হয় কিন্তু ছোট মেয়েগুলো বরাবরই অনেক বেশি জেদি এবং চালাক হয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় গেলে সেখানে তাদের বাহানা শেষ থাকে না একের পর এক বাহানা ধরিয়ে দেয় আর সেটা পূরণ করতে না পারলে জুড়ে দেয় কান্না। যাইহোক মেয়েদের নিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমার মেয়েদের যতই কিনে দেয় না কেনো একটা না দিলে কান্না করবে।তবে বড়টা একটু চাহিদা কম আর ছোটটার চাহিদার শেষ নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলা ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপনার মেয়েদেরকে সঙ্গে নিয়ে।। আসলে এমন জাঁকজমকপূর্ণ স্থান ভ্রমণ করতে আমারও অনেক ভালো লাগে।।
ছোটদেরকে মেলায় নিয়ে গেলে হাজারো বায়না ধরবেই এটাই স্বাভাবিক বিশেষ করে ছোট ছোট খেলনা দেখলে বেশি করে বায়না আসে।।
যা হোক সব মিলিয়ে অনেক ভালো ছিল আপনাদের ভ্রমণ।।
জি ভাইয়া হাজার রকমের বাইনা ধরে বাচ্চারা, তবে মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু মেলার প্রথম অংশ আমি পড়েছি আজকে আপনের মেলা শেষ অংশটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই মেলার মাঝেতে আপনার দুই মেয়েকেও দেখে নিলাম। মেলাতে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন এবং অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন। আসলে মেলাতে বাচ্চাদের নিয়ে গেলে তাদের খেলনা অন্যান্য জিনিস কেনা শেষ থাকে না। ছোট মেয়েদের হাড়ি পাতিল এর প্রতি আকর্ষণ থাকে। সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রশংসানীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ