বাচ্চাদের পরিক্ষা দেখার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।

বাচ্চাদের পরিক্ষা দেখার অনুভূতি

20230822_100439.jpg

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছি অন্য রকম একটা পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো। বাচ্চাদের পরিক্ষা দেখার অনুভূতি। আসলে গত সপ্তাহ ধরে আমার বড় মেয়ের পরিক্ষা চলছিল। আসলে আমি মেয়েকে পরিক্ষার হলে দিয়ে প্রতি দিন চলে আসি।তবে একদিন মেয়ে বায়না ধরল, তার পরিক্ষার সময় থাকতে হবে। ওর বান্ধবীর আম্মু থাকে আমি কেনো থাকি না।আমি যদি না থাকি তাহলে সে পরিক্ষা দেবে না।কি আর করব আগে তো মেয়েকে পরিক্ষা দিতে রাজি করি।তারপর বললাম ঠিক আছে আমি থাকব।এটা বলে মেয়েকে নিয়ে চলে গেলাম। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।

20230822_100439.jpg

20230822_100432.jpg

আমার মেয়ে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। তবে সরকার থেকে ওদের সিট দিতে বলেছে। আসলে আগের প্রাইমারি আর এখনকার প্রাইমারি এক নয়। যাইহোক একজন টুর বাচ্চা আর একজন থ্রির বাচ্চা। যার যার রোল অনুযায়ী সিট ফেলছে।তারপর আমি গিয়ে বসিয়ে দিলাম। এখন বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। ইতিমধ্যে ক্লাসে টিচার চলে আসলো খাতা নিয়ে। তারপর সবাইকে খাতা দিলাম। আসলে ওদের হলে যে টিচার ছিল সে ছিল আমার জা। যদিও বাচ্চাদের প্রশ্ন দেয়নি। তারপর আমি ক্লাসের ভিতরে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর আমার মেয়ের খাতার দিকে দেখলাম সে কি লিখছে।তখন দেখলাম ঠিক ভাবে নাম, শ্রেণী রোল, বিষয় সব লিখেছে।তারপর সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম।

20230824_140102.jpg

20230824_140058.jpg

20230824_135805.jpg

তারপর চলে গেলাম ক্লাস ফাইভ ও ফোরের পরিক্ষা দেখতে। তখন মনে হচ্ছিল সত্যি এমন দিন যদি আবার ফিরে আসতো। আসলে শৈশবের সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না। আমার মনে হয় শৈশব আমরাও এমন আবদার করেছি। তবে এটা ঠিক আমরা কিন্তু আমাদের বাচ্চাদের মতো সব আবদার পূর্ণ করতে পারিনি।যদি ও পরিক্ষার হলে বারান্দায় থাকা ও নিষেধ তবে আমি ও কিন্তু থাকিনি। সেই দিন কিছু সময় থেকেছিলা তাও আবার অন্য ক্লাসে। প্রথমে বাচ্চারা বেশ ভালো করে লেখা শুরু করলো।

20230824_135802.jpg

Color Splash_20239171127339.png

1693499418475.jpg

ইতিমধ্যে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তারপর অনেক সময় দাঁড়িয়ে থেকে ভাবলাম আমি চলে যায়।আবার পরিক্ষা শেষ হলে আসব।তারপর দেখলাম পিঁছের একটা বাচ্চা বারবার সামনের বাচ্চার সাথে কথা বলছে। সত্যি এমন দৃশ্য অনেক দিন পরে দেখলাম। আসলে আমরা ও ছোট বেলা এভাবে পরিক্ষার সময় আশেপাশে তাকাতাকি করতাম।সত্যি এই শৈশব জীবন অনেক ভালো।অনেক দিন পর এভাবে বাচ্চাদের পরিক্ষা দেখে কিছু সময়ের জন্য ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম।সত্যি এমন অনুভূতি গুলো অনেক আনন্দের। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনফরিদ পুর

2GZpiygLZbndtMBNRVUJ19to2HA8AJHhDzhWy6HXkpbABs3wVi77RWv7qwHBXVEN3qzVymfDrdF7YupEDxp2dxQk8bz63txFqiUxURWQ1BudgH7GRTX4aoe8KcTgjL...rqmazngaQSFCEE1jXrmR7g8aaRttRx4JkC2twxSFfTuT37LxyiG5FBmgWctHLy1bxhovdtRWRZAhst4UtrYW1GhfoWLVYrog3FtTpgC8XsdEsddY2raMrKZQgM.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScQy7C44Q43NAfhUa73Y1nHv3cvSKChk62pnPhuqhkLAnzA47j47NEp6Q4f9dRCvyy31KSeqyMAMi2Tg2svDUEiUHJR3KGZmtezgQhN2HrwQ.png

Sort:  
 11 months ago 

পরীক্ষার হলে পেছনের দিকে সীট পরলে যে কী খুশি লাগতো! যে চান্স পেলেই একটু কথা বলা যাবে 😅😅। আপনার পোষ্ট এর শেষের দিক পড়ে সেই কথা মনে পড়ে গেলো। যাই হোক, আপনার মেয়ের পরীক্ষার জন্য শুভকামনা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু পিঁছনের দিকে সিট পড়লে অনেক খুশি হতাম,ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

পরীক্ষার মাঝখানে গার্জেন পক্ষকে এভাবে ঢুকতে দেওয়া তো মোটেও ঠিক নয়। এ সমস্ত বিষয়গুলো পরিবারকে আগে থেকে প্র্যাকটিস করে রাখা উচিত কারণ পরীক্ষার বিষয়টা সেটা শুধু শিক্ষকদের দায়িত্ব থাকে নিয়ন্ত্রণ করা। যাইহোক বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর সচেতন মূলক একটি পোস্ট তবে আরো সচেতন হওয়া উচিত।

 11 months ago 

আসলে ভাইয়া গার্জেনরা কেউ ঢোকে না, বাইরে দাড়িয়ে থাকতে হয়।আমি প্রশ্ন দেবার আগে ছিল। পরে অন্য ক্লাস আমার জার সাথে কিছু কথা বলেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

মেয়ের পরীক্ষা চলছে।সেই সুযোগে বাচ্চাদের পরীক্ষা দেখার অনুভূতি নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন। আসলে বাচ্চাদের পরীক্ষা দিতে দেখে নিজের সেই ছেলেবেলার কথা মনে পরে যায়।ফটোগ্রাফিগুলো দেখলাম ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার মেয়ের জন্য।

 11 months ago 

মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু

 11 months ago 

আপনি তো দেখছি পরীক্ষার হল খুব সুন্দর করে পরিদর্শন করলেন। ভালোই হলো আপনার একটা অভিজ্ঞতা হল। আসলেই বাচ্চাদের পরীক্ষার সময় মাঝে মধ্যে থাকলে বাচ্চারা বেশি অনুপ্রাণিত হয়। একেক জনের গার্ডিয়ানের অবস্থা দেখে অন্যান্য বাচ্চারা কিন্তু হতাশ হয়। তো খুব সুন্দর একটি অনুভূতি অনুভব করতে পারলেন। বাচ্চার পরীক্ষা দেখার অনুভূতি অসাধারণ ছিল।

 11 months ago 

সত্যি আপু বাচ্চারা অন্যদের যা দেখে সেটাই করতে চায়, ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

আপনি তো দেখছি পরীক্ষার হল গুলো বেশ সুন্দর ভাবেই পরিদর্শন করছিলেন। আসলে প্রতিটি স্কুল এই পরীক্ষার সময় গার্জেনদের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। এবং বাচ্চাদের কে বেশ শান্ত ভাবেই পরীক্ষা হয়। কেননা এসব বিষয়গুলো তবে শুধু শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালন করতে পারে। ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45